|
|
|
|
টুকরো খবর |
মায়ের মদতে ধর্ষণ, পুলিশের দ্বারস্থ কিশোরী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক কিশোরীর উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল তারই মেসোমশাইয়ের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় মেয়েটির মা মদত দিত বলেও অভিযোগ। সোমবার রাতে ওই কিশোরী পুলিশের কাছে এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ধর্ষণের (৩৭৬ ধারা) মামলা রুজু হয়েছে। তবে অভিযুক্ত মেসোমশাই ‘পলাতক’। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে ওই কিশোরী। আপাতত তাকে একটি হোমে রাখা হয়েছে। অভিযোগকারী কিশোরী নবম শ্রেণির ছাত্রী। সদর ব্লকে দিদার বাড়িতেই সে ও মা থাকত। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির বাবা’র সঙ্গে তার মায়ের দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্ক নেই। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেয়েটির বাড়িতে তালা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “মেয়ের সঙ্গে মায়ের প্রায়ই ঝগড়া হত। বাইরে থেকে আমরা চিৎকার শুনতে পেতাম। মেয়েটির মেসোমশাইও এখানে আসতেন। তবে, এমন ঘটনার কথা ভাবতেই পারি না।” তাঁর বক্তব্য, “অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তা হলে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।”জানা গিয়েছে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পরিচিতদের মারফৎ পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় ওই কিশোরী। যোগাযোগ করে এক আইনজীবীর সঙ্গে। সোমবার জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত ও জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠির সঙ্গেও দেখা করে সে। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মেয়েটির মায়ের সঙ্গে তার মেসোমশাইয়ের ‘বিবাহ বহির্ভূত’ সম্পর্ক রয়েছে। মেসোমশাই তার উপরেও শারীরিক নির্যাতন করত। এ কথা বলতে গেলে মা ঘুরে ওই নাবালিকার উপরেই অত্যাচার করত। কখনও শারীরিক ভাবে, কখনও মানসিক ভাবে। মেসোমশাই তাকে মোবাইলে অশ্লীল ছবি দেখাত বলেও অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী। |
সম্মান বাঁচাতে কোদালের কোপ, মৃত্যু কেশপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বাড়িতে ঢুকে এক যুবতীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল এক মাঝবয়সী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর সম্মান বাঁচাতে সেই যুবতী কোদাল দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেন। জখম শেখ সালাউদ্দিনকে (৪৫) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে কেশপুরের দামোদরচকের ঘটনায় পুলিশ বছর বাইশের ওই যুবতী ও তাঁর মাকে আটক করেছে। রাতেই গ্রামে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি প্রবীণ ত্রিপাঠি ও এএসপি (সদর) কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। এসপি পরে বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।” ওই যুবতী জানান, দেড়-দু’বছর ধরে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন পাশের গ্রাম দোগাছিয়ার বাসিন্দা, বিবাহিত সালাউদ্দিন। কয়েক বছর আগে ওই যুবতীর বাবা মারা যান। যুবতীর অভিযোগ, এ দিন ওই ব্যক্তি তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। সম্মান বাঁচাতেই তিনি কোপ মারেন সালাউদ্দিনকে। |
মোগলমারিতে আলোচনাসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
সোমবার এক আলোচনাসভা হল মোগলমারিতে। স্থানীয় তরুণ সেবা সঙ্ঘ ও পাঠাগার, দাঁতন ভট্টর কলেজের বৌদ্ধবিদ্যা বিভাগ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে এক প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। তরুণ সেবাসঙ্ঘ প্রাঙ্গণে ‘অতীত ইতিহাসের আলোকে মোগলমারি, বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শন’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যোগ দেন। ছিলেন এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রোজেক্টারের সাহায্যে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রাপ্ত সামগ্রী ও বৌদ্ধবিহারের কাঠামো দেখানো হয়। এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মোগলমারি খননকার্যের ডিরেক্টর অশোক দত্ত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মনিকুন্তলা হালদার, দাঁতন কলেজের শিক্ষক অন্নদাশঙ্কর পাহাড়ি প্রমুখ। এ ছাড়া, ছিলেন দাঁতন কলেজের অধ্যক্ষ পবিত্র মিশ্র, ভারতীয় জাদুঘরের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও মূর্তিতত্ত্ববিদ অনুসূয়া দাস-সহ প্রমুখ। |
এসএফআইয়ের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রিভিউ সংক্রান্ত ‘দীর্ঘসূত্রতা’ কাটানো, বিএ-বিএসসি-বিকম পার্ট ৩ পরীক্ষা চলাকালীন প্রশাসনিক নজরদারি রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা, প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের মতো ঘটনা যাতে না- ঘটে সে জন্য আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দ্বারস্থ হয়ে এসএফআই। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পন্ডা, অনিমেশ পাল, সৌমিত্র ঘোড়ই প্রমুখ। সৌগত বলেন, “আমরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়েই উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।” তাঁর বক্তব্য,“ এখনও পার্ট- ২ এর অনেক বিষয়ের রিভিউয়ের ফল প্রকাশিত হয়নি। অথচ, পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়ে গিয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। |
কম্পিউটার চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত অফিস থেকে চুরি গেল একটি কম্পিউটার। ঘটনাটি শালবনি থানার মধুপুরের। এখানেই রয়েছে দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। সোমবার রাতে কে বা কারা দরজা ভেঙে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে দু’টি কম্পিউটারের একটি নিয়ে পালায়। মঙ্গলবার সকালে পঞ্চায়েত কর্মীরা অফিসে এসে দেখেন কম্পিউটার রুমের তালা ভাঙা। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। শালবনির বিডিও জয়ন্ত বিশ্বাসকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে স্থানীয় কারও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তদন্তে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|