মঙ্গলবার ভোরে অন্য পথ ধরে জয়পুর জঙ্গলে চলে গেল হাতির পাল। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ দুটি ‘হুলা পার্টি’-র দল গোঘাটের নকুণ্ডা এবং শ্যাওড়া পঞ্চায়েত এলাকায় বিচরণ করা হাতির দলকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্ত দিয়ে গড়বেতা জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আধ কিলোমিটার যাওয়ার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের মাংরুল, সুলতানপুর প্রভৃতি গ্রামের মানুষ টায়ার জ্বালিয়ে দেন। সেই আগুনের শিখায় থমকে দাঁড়ায় হাতির দল। ২৮ জন সদস্যের দু’টি হুলা পার্টির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় প্রায় ২৪টি হাতির দল। হাতির দিক পরিবর্তনের খবর বন দফতর মারফত গোঘাটের দু’টি ব্লকে দেওয়া হয়। ক্রমে দুটি ব্লক প্রশাসন পঞ্চায়েত ও গ্রামে খবর ছড়িয়ে দেয়। এতে ফের বদলে যায় পরিস্থিতি। বিভিন্ন গ্রামের মানুষ খেত এবং বাড়ি বাঁচাতে আগুন জ্বালাতে শুরু করেন। বেলেকুসমা মৌজার মুক্তারপুর, দক্ষিণ বলরামপুর, শ্যামবল্লভপুর, আনন্দপুর মৌজা ছেড়ে হাতির দল তখন ব্রজমোহনপুর মৌজায়। বিরক্ত হাতির দল সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে। রাত ১০টা নাগাদ ফের উত্তর দিকে হাঁটা দেয় তারা। সানবাঁদি, বকুলতলা হয়ে গোঘাট থানা এলাকার একেবারে মাঝে চলে আসে। বন দফতরের আরামবাগ ডিভিসনের রেঞ্জ অফিসার চন্দ্রশেখর মাহাতো হলেন, “হাতির দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর আমাদের লক্ষ্য ছিল কোনও লোকালয়ে না ঢুকে পড়ে তারা। প্রচুর ফসলের খেত নষ্ট হলেও লোকালয়ে ঢোকেনি দলটি।” হাতির দল গোঘাট থানা-সংলগ্ন বকুলতলা পিচ রাস্তা পার হয়ে বামুনিয়া মোরাম রাস্তায় কিছুটা গিয়ে পশ্চিমমুখে আনুড় মৌজার মাঠ ধরে জয়পুর জঙ্গলে ঢুকে যায়।
|
চন্দ্রকোনায় হাতির তাণ্ডব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
হাতির তাণ্ডবে সোমবার রাতেও চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাতি তাড়ানোর জন্য বোমা ব্যবহার করতে গিয়ে এক জন আহতও হয়েছেন। অসিত ঘোষ নামে পরমানন্দপুর গ্রামের ওই ব্যক্তি ঘাটাল হাসপাতলে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে খবর, সোমবার প্রায় ২০টি হাতির একটি পাল চন্দ্রকোনার জাড়া, মৌলা, পরমানন্দপুর, মাধবপুর, রামকৃষ্ণপুর, সীতাশোল, নারায়ণচক-সহ প্রায় ১০-১২টি গ্রামে ঢুকে ধান ও তিল চাষের ক্ষতি করে। পরে দলটি হুগলির গোঘাটের দিকে চম্পট দেয়। রবিবার রাতে একটি হাতির পাল ঘাটালের সুলতানপুর, গোবিন্দপুর, রঞ্জপুর প্রভৃতি গ্রামে তাণ্ডব চালায়। রাতের অন্ধকারে হাতির পাল বার বার এলাকায় ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাতির পাল যাতে জনবসতিতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”
|
রমনাবাগানে মৃত্যু ভালুকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
রমনাবাগান অভয়ারণ্যের মিনি জু-তে মৃত্যু হল একটি স্ত্রী ভালুকের। বর্ধমানের বনাধিকারিক গোপালচন্দ্র কাজুরি জানান, পেটের রোগের আক্রান্ত হয়েই মঙ্গলবার ভালুকটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পেলে সঠিকভাবে কিছুই বলা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, গত ২০১০-এর শেষের দিকে এই ভালুকটিকে বনবিভাগের সল্টলেক রেসকিউ সেন্টার থেকে রমনাবাগানে নিয়ে আসা হয়েছিল। মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসা চলছিল ভালকুটির। বিশেষ চিকিৎসার জন্য এ দিনই আসার কথা ছিল আলিপুর চিড়িয়াখানার চিকিৎসকদের। বর্ধমানের এই মিনি জু-তে ভালুক রাখা নিয়ে আগেও বিতর্ক ছিল। কেন্দ্রীয় জু অথরিটির দল রমনাবাগান পরিদর্শন করে ভালুকের রাখার জায়গা সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। গোপালবাবু এ দিন বলেন, “ভালুকটি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। এই মৃত্যু নিয়ে তদন্ত হবে।” তাঁর দাবি, “আরও দু’টি পুরুষ ভালুক রয়েছে রমনাবাগানে। সেগুলি সুস্থ।”
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
হাতি তাড়াতে গিয়ে জখম হলেন এক ব্যক্তি। জয়পুর থানার ময়নাপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিপ্রসাদ নন্দী নামে ওই ব্যক্তিকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে হুগলির গোঘাট থেকে ২২টি হাতির একটি দল বিষ্ণুপুর বনবিভাগের জয়পুর রেঞ্জে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। তাড়াতে গিয়ে হাতির আক্রমণে তিনি জখম হন। রেঞ্জ অফিসার স্বপন ঘটক জানান, দলটি দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। জখম ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁরা নেবেন।
|
জাতীয় উদ্যান ছেড়ে বেরিয়ে পড়া গন্ডারের গুঁতোয় আজ বিকালে মৃত্যু হল এক যুবকের। বন বিভাগ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে দু’টি গন্ডারকে কাহিতেমা রেঞ্জের সীমানায় দেখা গিয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে একটি গন্ডার উদ্যান থেকে বের হয়ে বেকি নদী পার করে বাক্সার পাটলা অবধি চলে যায়। জমিতে গন্ডার দেখে গ্রামবাসীরা তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টে গন্ডারটিই গ্রামবাসীদের দিকে ধেয়ে আসে। গন্ডারটিকে উন্মত্তের মত ছুটে আসতে দেখে আতঙ্কে আফসার আলি নামে এক যুবক প্রাণ বাঁচাতে একটি গাছে উঠে পড়েছিলেন। কিন্তু, গন্ডারটি গাছে ধাক্কা মেরে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেয়। তার পর গুঁতিয়ে মেরে ফেলে ওই যুবকটিকে। |