|
|
|
|
বিয়ন্ত-খুনির ফাঁসি নিয়ে চাপানউতোর পঞ্জাবে |
সংবাদসংস্থা • লুধিয়ানা |
ফাঁসির তিন দিন আগেও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংহ হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত বব্বর খালসা জঙ্গি বলবন্ত সিংহ রাজোয়ানাকে নিয়ে উত্তাল পঞ্জাবের রাজনীতি। ভোট-ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে বলবন্তের ফাঁসি রুখতে একযোগে আসরে নেমেছে অকালি দল পরিচালিত পঞ্জাব সরকার ও শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি)। যদিও চণ্ডীগড়ের একটি আদালত এ দিন পাটিয়ালা সেন্ট্রাল জেলের তরফে ফাঁসি পিছনোর আবেদন তিন মিনিটের শুনানিতে খারিজ করে জানিয়েছে, শনিবারই ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। অবশ্য আদালতের এই রায়ের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, রায়ের প্রতিলিপি হাতে আসার পরেই তাঁরা এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন।
যদিও যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই বলবন্ত কিন্তু এ দিন এক চিঠিতে দাবি করেছে, তার ফাঁসি রুখতে কোনও মহল থেকেই কোনও দয়া দেখানোর প্রয়োজন নেই। বোনের হাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো চিঠিতে বলবন্তের দাবি, অকালি দলের নেতারা আদতে ‘বিশ্বাসঘাতক’। শিখ সমাজের উন্নয়নে তারা কিছুই করেনি। এখন তার ফাঁসি রুখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে। এরই মধ্যে এআইসিসি মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানিয়েছেন, বলবন্তের জন্য ‘ক্ষমা’ প্রার্থনা করে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিংহ যে আবেদন জানিয়েছিলেন তার সঙ্গে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলবে।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল কালই জানিয়েছিলেন, তিনি বলবন্তের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেন। এসজিপিসি-ও একই আবেদন করে চিঠি পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। এরই মধ্যে পাটিয়ালায় যে জেলে বলবন্ত বন্দি তার জেলার এ দিন জানিয়েছেন, শনিবার কোনও ভাবেই বলবন্তের ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন আইনানুগ অসুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জমা পড়ে থাকা অবস্থায় কোনও ব্যক্তির ফাঁসি হওয়া সম্ভব নয়। তাই শনিবার কোনও ভাবেই ফাঁসি হচ্ছে না। অবশ্য ৩১ মার্চ ফাঁসির জন্য নির্ধারিত দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কায় রাজ্য জুড়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। রাজ্যের একাধিক জায়গায় ফ্ল্যাগমার্চ করেছে রাজ্য পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী। |
|
|
|
|
|