রাজ্যস্তরে লোকায়ুক্ত গঠনের বিষয়টি লোকপাল বিল থেকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র যখন ঐকমত্য গড়তে চাইছে, তখন নতুন করে চাপ বাড়াতে আগামিকাল ফের অনশনে বসছেন অণ্ণা হজারে। এ বার অবশ্য ‘উপবাস’ মাত্র এক দিনের, দিল্লির যন্তর মন্তরে।
গত বছরের এপ্রিলে এই যন্তর মন্তরেই লোকপাল বিলের দাবিতে অনশনে বসেছিলেন তিনি। অণ্ণা-ঢেউয়ে ভেসেছিল দেশ। কিন্তু মুম্বইয়ে তাঁর অনশন তেমন লোক টানেনি। অসুস্থও হয়ে পড়েন অণ্ণা। আগামিকালের অনশনে তাই কত ভিড় জমে, সেটাই দেখার।
অণ্ণা-শিবিরের মতে, দুর্নীতির বিষয়টি এখনও প্রাসঙ্গিক। কারণ টু-জি কাণ্ডের পর এখন কয়লার ব্লক বণ্টন নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মধ্যপ্রদেশের আইপিএস অফিসার নরেন্দ্র কুমার, ইন্ডিয়ান অয়েলের অফিসার মঞ্জুনাথ সম্মুগমের মতো সাম্প্রতিক কালে যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, কাল যন্তর মন্তরে তাঁদের পরিবারকে হাজির করার চেষ্টা চলছে। অণ্ণা-শিবিরের সদস্য কিরণ বেদী বলেন, “মজবুত লোকপাল, লোকায়ুক্ত থাকলে এঁরা বিচার চাইতে পারতেন।”
লোকপাল বিল রাজ্যসভায় পাশ করাতে শুক্রবারই সর্বদল বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। বৈঠকে স্পষ্ট হয়, লোকপাল বিলে রাজ্যে লোকায়ুক্ত গঠনের বিষয়টি থাকলে কখনই এ বিষয়ে সর্বসম্মতি হবে না। এখন তাই লোকায়ুক্ত গঠনের বিষয়টি রাজ্যের হাতেই ছাড়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। অণ্ণা-শিবিরের যুক্তি, সরকার বাজেট অধিবেশনেই লোকপাল বিল পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিই কাল তুলতে চলেছেন অণ্ণা। যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, তাঁদের সুরক্ষার দাবিও তোলা হবে। লোক টানতে পুরোদমে প্রচার চলছে। অণ্ণার কথায়, “আমাদের লড়াই সরকারের বিরুদ্ধে নয়। মানুষ লোকপাল চায়। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফলেই তা স্পষ্ট।” প্রয়োজনে তিনি ফের অনশনে বসবেন বলেও জানান অণ্ণা। তৈরি পুলিশও। অনশন মঞ্চ ঘিরে হাজারখানেকের বেশি মানুষের ভিড় না হয়, সে বিষয়েও অণ্ণা-শিবিরকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। |