রাজ্যসভার নির্বাচনকে ঘিরে ঝাড়খণ্ড সরকারের শরিকি বিরোধ তো ছিলই। ‘গোদের উপর বিষফোড়ার’ মতন ওই ভোট নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে শরিক দলের ঘরোয়া বিবাদ। রাজ্যসভার ভোটের মুখে অন্তঃকলহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জেএমএম শিবিরে। একই ভাবে ভোটদানে বিরত থাকার দলীয় সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতা এবং কার্যকারিতার প্রশ্নে গোষ্ঠী বিরোধ শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সরব হয়েছেন জেএমএম-প্রধান শিবু সোরেন। জেএমএম শিবিরের বক্তব্য, রাজ্যসভার নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার জন্য কোনও দলই হুইপ জারি করতে পারে না। কারণ ভোট দেওয়াটা মৌলিক অধিকার। সাংসদদের উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচনের এটা সংবিধানিক ব্যবস্থা। এই অবস্থায় বিজেপিকে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলীয় প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে জোট সরকারের চলার পথ মসৃণ রাখতে চাইছেন জেএমএম-প্রধান। এতদিন চুপ থাকলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম মুখ খোলেন তিনি। বিজেপির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছেন শিবু। পাশাপাশি দাবি করেছেন, তাঁর সরকারের কোনও সঙ্কট নেই।
ঘটনা হল, দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েই হাত গুটিয়ে থাকেননি শিবু সোরেন। বিষয়টির গুরুত্ব বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বোঝাতে কাল সন্ধ্যায় দিল্লি পাঠিয়েছেন তাঁর ছেলে জেএমএম নেতা তথা রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। দলীয় সূত্রের খবর, জেএমএম প্রার্থীকে ভোটদানের বিষয়টি পাকা করতে আজ দিল্লিতে সকাল থেকে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন হেমন্ত সোরেন। দলীয় প্রার্থী নিয়ে মতান্তর রয়েছে জেএমএম শিবিরেও। দলের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্প্রতি কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠা নিয়ে চিন্তিত জেএমএম নেতৃত্ব। চারজন নির্দল সদস্যের মতিগতিও জেএমএম-কে চিন্তায় রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে বিজেপির ১৮ জন বিধায়কের ভোট জেএমএমের একান্তই প্রয়োজন। |