|
|
|
|
ফব ও তৃণমূলের সংঘর্ষে পুড়ল বাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাদতা • সিউড়ি |
একটি গবাদি পশুর মৃত্যুকে ঘিরে তৃণমূল ও ফরওয়ার্ড ব্লকের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল সিউড়ি থানার গাংটে গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের জেরে উভয় পক্ষের দু’টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটে। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে পাঁচ জন সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থকদের দাবি, তাঁদের এক সমর্থকের গবাদিপশুকে কেউ বা কারা মেরে ফেলেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তৃণমূল সমর্থকেরা রাত ৮টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর, লুঠপাট চালানোর পাশাপাশি বাড়িতে আগুন দিয়ে দেয়। অন্য দিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, কারা ওই পশুকে মেরেছে কিছুই জানেন না। সন্ধ্যায় আনন্দ বৈদ্য, রাখু বৈদ্য ও বলাই ধীবর-সহ কয়েক জন আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁদের উপরে আক্রমণ করা হয়। এ ছাড়া, এক জনের বাড়িতে লুঠপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। |
|
সিউড়ির গাংটে গ্রামে তদন্তে পুলিশ। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের আজ শনিবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হবে। ধৃতদের মধ্যে এক জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী থাকায় তাকে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়।” ফব নেতা তথা কোমা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মইনুদ্দিনের অভিযোগ, “পাথুরে বৈদ্যের একটি গবাদি পশুকে কেউ বা কারা বুধবার মেরে দেয়। বৃহস্পতিবার সিউড়ি থানায় অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু তিনি কারও নামে অভিযোগ করেননি। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ তৃণমূল কর্মীরা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।” তৃণমূলের সিউড়ি ২ ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, “কারা ওই পশুকে মেরেছে জানি না। অথচ আড্ডা দেওয়ার সময়ে পাথুরের নেতৃত্বে তারা আক্রামণ করে। রাখুর বাড়িতে লুঠপাট চালায়, আগুন ধরিয়ে দেয়।” এ দিন বিকেলের দিকে গ্রামে যান ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) বাসব তালুকদার । তিনি থানা থেকে বলেন, “এটা রাজনৈতিক সংঘর্ষ কি না বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কারা প্রকৃত দোষী।” |
|
|
|
|
|