গত বছর পর্যন্ত তিনি ছিলেন সবার আকর্ষণের কেন্দ্রে। ছবিটা হঠাৎ পাল্টে গিয়েছে। মোহনবাগানের শীত, গ্রীষ্ম, ভরসা হোসে রামিরেজ ব্যারেটো বুঝে পাচ্ছেন না, কী করবেন পরের বছর।
তাঁকে সই করানোর কথা ভাবছে চার্চিল, প্রয়াগ ইউনাইটেড, ভবানীপুর। তবু অন্য ক্লাবে সই করবেন, না, অবসর নেবেন? এই প্রশ্নে ব্যারেটো একেবারে বিভ্রান্ত।
ব্যারেটোর মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে কলকাতারই স্কুলে। সেই সব কারণে এখনই কলকাতা ছাড়ার কথা ভাবছেন না। তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ফেললেন, “বউ-বাচ্চারা কলকাতায় ভাল ভাবেই মানিয়ে নিয়েছে, তাই এখনই শহর ছাড়তে চাই না।”
সুব্রত ভট্টাচার্য-সহ পুরো টিম পুণে উড়ে গিয়েছে শুক্রবার ভোরেই। ব্যারেটো, হাদসন লিমা, জুয়েল রাজারা নিজেরাই চলে এসেছিলেন মোহনবাগান মাঠে। প্র্যাক্টিস সেরে বেরনোর আগে ফের চলে এসেছিলেন মাঠে। মাঠে তখন অনুশীলন করছে করিম বেঞ্চারিফার সালগাওকর। চিডি-সুয়েকার প্র্যাক্টিস দেখতে দেখতে হতাশ গলায় ব্যারেটো বলছিলেন, “এই বছরের অনেক ম্যাচ খেলতে পারিনি চোটের জন্য। যদিও এখনও ঠিক করিনি, তবু অবসর নেওয়ার চিন্তাও মাথায় আসছে।” |
মোহনবাগান তাঁকে রাখতে চায় না, তবু ক্লাবের প্রতি ব্যারেটোর ভালবাসা প্রশ্নাতীত। তা-ও বলছিলেন, “কোনও কিছুই চিরাচরিত নয়। সবই পাল্টে যায়। আমি জানি না, খেললে মোহনবাগানেই খেলব কি না। এত চোট হচ্ছে যে বাধ্য হয়েই অবসরের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।” ইস্টবেঙ্গল প্রস্তাব দিলে খেলবেন? ব্যারেটোর স্পষ্ট জবাব, “না। ওখানে খেলব না।”
অবসর যদি নিয়েই ফেলেন তারপর কী করবেন? ব্যারেটো এ বার সংযত। সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দিলেন, “আমি কিন্তু বলিনি অবসর নিচ্ছি।” সঙ্গে যোগ করেন, “কলকাতা হয়তো ছাড়ব না। গোয়ায় মতো বেঙ্গালুরুতেও বেটোর সঙ্গে একটা অ্যাকাডেমি নিয়ে ব্যস্ত থাকব। এখনই কোচিং করানো নিয়ে ভাবছি না।”
এ সব বলার পাশাপাশি মনে করিয়ে দিলেন, “এখনও বেশ কয়েকটা ম্যাচ বাকি। যেগুলো জিততে পারলে আই লিগ জেতার যথেষ্ট সুযোগ থাকছে। কলকাতা লিগও এখন হাতছাড়া হয়নি। এখনই এই সব নিয়ে কথা বলতে চাই না।” |