|
|
|
|
‘বিহার দিবস’ পালনেও বঞ্চনার ধুয়ো নীতীশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
পৃথক রাজ্য হিসাবে বিহার-এর শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠান মঞ্চকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বেছে নিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে। কাল সূচনা হল ‘বিহার দিবস’-এর তিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের। আর এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেই নীতীশ ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বললেন, “কেন্দ্র সমানেই বঞ্চনা করে যাচ্ছে বিহারকে।”
নীতীশ বলেন, “কেন্দ্র বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দিচ্ছে না। অনুমোদন দিচ্ছে না কোল ব্লকের। ফলে বিদুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।” তবে তার মধ্যেই বিহার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। নীতীশের কথায়, “আমাদের দাবি যারা অস্বীকার করবে তারা স্বস্তিতে থাকতে পারবে না। “বিহার কোনও চিত্র তারকাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার নিয়োগ না করেই ভাবমূর্তি বদলে ফেলেছে। আমাদের রাজ্যের মানুষই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার।” এ ভাবেই ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন নীতীশ।
‘বিহার দিবস’ পালনের ‘মহা অনুষ্ঠানে’ শুধু রাজ্যের নয়, বলিউডের বিভিন্ন তারকারও সমাগম হয়েছে। এই উপলক্ষে রচিত বিশেষ ‘রাজ্য সঙ্গীত’ ও ‘প্রার্থনা’ মঞ্চ পরিবেশন করে ১০০টি শিশু। বিহারের শতবর্ষ উদযাপনে ‘মেরে ভারত কি কণ্ঠহার’ নামে রাজ্য সংগীতের রচয়িতা পটনার কবি সত্য নারায়ণ। গানটি গেয়েছেন বলিউডের গায়ক এবং বিহারের মানুষ উদিত নারায়ণ এবং সাধনা সরগম। রচনা করা হয়েছে, ‘মেরি রফতার পে সুরজ কি কিরণ নাজ কারে’ নামে একটি রাজ্য প্রার্থনাও। এর রচয়িতা মুজফফ্পুরের উর্দু শিক্ষক এম আর চিস্তি। রাজ্য সঙ্গীত এবং প্রার্থনায় সুর করেছেন বলিউডের শিব কুমার শর্মা এবং হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া (শিব-হরি)। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্দেশক প্রকাশ ঝা একটি বিহারের উপর তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। বিভিন্ন দিনে থাকছেন যশরাজ, রবীন্দ্র উপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, জাভেদ আখতার, রসিদ খান, গুলাম আলি এবং আমজাদ আলির মতো বিশিষ্ট শিল্পীরা। |
|
|
|
|
|