ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম বাজেট। রাজনীতির অঙ্ক মেনেই কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্বনির্ভর প্রকল্প গুরুত্ব পেয়েছে। এ সব প্রত্যাশার মধ্যেই ছিল। তবে পাশাপাশি শিল্পের দিকে নজর দেওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্ট মহল। স্বাগত জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ছোট-মাঝারি শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাকেও। যদিও পণ্যবাহী গাড়ির উপর প্রবেশ কর বসানোর সিদ্ধান্তকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে শিল্পমহল।
২০১২-’১৩ সালের বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, ১০ লক্ষ টাকার বেশি দামের গাড়ি, ২০ হাজার টাকার বেশি দামের মোবাইল ফোন, ২৫ হাজার টাকার বেশি দামের টেলিভিশনের উপর কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমজনতাকে বাঁচিয়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনার প্রশংসা করেছে বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, এ ধরনের জিনিসের উপর কর বেশি চাপানোয় মার খাবে ভোগ্যপণ্য শিল্পের বাজার।
পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি নজর দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও প্রবেশ কর নিয়ে অখুশি শিল্পমহল। বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট তেজোময় রায়চৌধুরী জানান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, সড়ক পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ টাকার অঙ্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। বিলাসবহুল পণ্যে কর বাড়িয়ে সরকার সঠিক পথে এগোচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। একই ভাবে চায়ের উপর সেস প্রত্যাহারকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু পাশাপাশি প্রবেশ কর বসানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়াও, তিনি মনে করেন ছোট ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিশেষ কোনও সুবিধা না-দেওয়ায় কর্মসংস্থানের বিষয়টি বাজেটে তেমন গুরুত্ব পায়নি।
কর কাঠামো সরল করায় খুশি শিল্পমহল। ই-সহজ, ই-স্ট্যাম্পিং-এর মতো ব্যবস্থার ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে বলে মনে করছে বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স। কর ব্যবস্থা সরল করাকে স্বাগত জানিয়ে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন্স-এর মহেশ সিংহানিয়া বলেন, “প্রবেশ কর প্রত্যাহার করার আর্জি জানাচ্ছি। কারণ এর ফলে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বাড়বে। বাড়বে বেআইনি উপায়ে পণ্য পরিবহণ।” সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে করা বাজেটের প্রশংসা করেন ভারত চেম্বারের অশোক আইকত ও এমসিসি-র দীপক জালান। তবে দু’জনেই জানিয়েছেন প্রবেশ করের সিদ্ধান্ত পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে। |