|
|
|
|
আসানসোল কোর্টে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় আইনজীবীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
দাবি পূরণ না হওয়ায় আরও আট দিন কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করল আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশন। বিচারপ্রার্থী থেকে আদালতে নানা কাজে আসা সাধারণ মানুষজনের অসুবিধা সত্ত্বেও বৃহত্তর স্বার্থে আদালত বয়কট কর্মসূচি চলবে বলে অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন মামলার রায়ের কপি নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগে ১৫ মার্চ থেকে আসানসোল আদালতে কর্মবিরতি পালন করছে বার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের দাবি, আইনজীবীদের আবেদনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই রায়ের কপি দিতে হবে। কেন এই কপি মিলছে না? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদালতের ফটোকপি করার যন্ত্রটি খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় এই সমস্যা হয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ফটোকপি যন্ত্রের অভাব দূর করে সমস্যা মেটানো হোক। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাণী মণ্ডল অভিযোগ করেন, এই দাবিতে কর্মবিরতির আগে তাঁরা প্রতীকি ধর্মঘট করেছিলেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তাই ১৫ মার্চ থেকে সাত দিনের কর্মবিরতি শুরু করেন। শুক্রবার থেকে আইনজীবীদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় কর্মবিরতির সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হল বলে জানান বাণীবাবু।
কর্মবিরতির সময়সীমা বাড়ানোয় টানা ১৫ দিন আদালতে মামলা সংক্রান্ত কাজকর্ম বন্ধ থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সমস্যায় পড়ছেন বিচারপ্রার্থীরা। মহকুমার নানা জায়গা থেকে আদালতের কাজে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে মানুষজনকে। এমন হয়রানি সত্ত্বেও বৃহত্তর স্বার্থে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাণীবাবু। তিনি বলেন, “রায়ের প্রত্যয়িত নকল পাচ্ছেন না বলে অনেকে সময় মতো উচ্চ আদালতে যেতে পারছেন না। বিচারপ্রার্থীদের অনেক কাজ আটকে যাচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। অনেক আইনজীবী রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে সমস্যা সমাধানের আবেদনও করেছেন। আইনমন্ত্রী আশ্বাসও দিয়েছেন বলে তাঁদের দাবি। |
|
|
|
|
|