অযোধ্যা পঞ্চায়েত এ বার নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েত পুরস্কার পাচ্ছে। আজ বুধবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রকাশ পাল এ কথা জানান। তিনি বলেন, “অযোধ্যা পঞ্চায়েত সার্বিক স্বাস্থ্য বিধান প্রকল্পে ভাল করেছে বলে এই স্বীকৃতি পেতে চলেছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শৌচকর্ম করতে বাসিন্দারা আর যাতে মাঠে-ঘাটে না গিয়ে ঘেরা জায়গায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহার করেন সে জন্য সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। উৎসাহ দিতে নির্মল গ্রাম, নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েত ও নির্মল জেলার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বাঘমুণ্ডির বিডিও শুভঙ্কর রায় বলেন, “স্বাস্থ্যবিধান সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সম্প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একটি যৌথ প্রতিনিধি দল জেলার কয়েকটি পঞ্চায়েত পরিদর্শন করেন। এরপরেই অযোধ্যা পঞ্চায়েতকে নির্মল পঞ্চায়েতের পুরস্কার দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, অযোধ্যা পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা আদিবাসী অধ্যুষিত। মোট ৬৭টি গ্রাম রয়েছে। ১৮২২টি পরিবারের বাস। |
ইতিমধ্যেই অযোধ্যা পঞ্চায়েতের প্রধান ঝন্টু সিং মুড়া নয়াদিল্লি রওনা হয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রতিটি শৌচাগারের জন্য প্রায় ৪০০০ টাকা খরচ হয়। তার মধ্যে কিছু টাকা সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। বাকি সামান্য টাকা উপভোক্তাকে দিতে হয়। আমরা বাসিন্দাদের বুঝিয়েছি সুস্থ থাকার জন্য আগে শৌচাগার দরকার। তাঁরা এগিয়ে আসায় এই সাফল্য মিলেছে।”
বছর খানেক আগে জঙ্গলমহলের বাঘমুণ্ডি ব্লকেরই মাঠা জেলার মধ্যে প্রথম নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বীকৃতি পায়। এ বার সেই বাঘমুণ্ডিরই অযোধ্যা পঞ্চায়েত এই স্বীকৃতি পেতে চলেছে। জেলার ১৭০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বাদবাকি পঞ্চায়েতগুলিতে সাফল্য মিলছে না কেন? অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রকাশ পাল দাবি করেন, “আরও কয়েকটি পঞ্চায়েত সার্বিক স্বাস্থ্য বিধান প্রকল্পে ভাল কাজ করেছে। আমরা আশা করছি ওই পঞ্চায়েতগুলিও স্বীকৃতি পাবে।” |