অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। নাম সুস্মিতা মণ্ডল (১৮)। বাড়ি মুর্শিদাবাদেরই জলঙ্গি থানার কাজিপাড়া গ্রামে। বহরমপুর কাশীশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার মহিলাদের একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন। সোমবার সন্ধ্যায় ওই মেসের তিন তলার একটি ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন আবাসিকেরা। বহরমপুর থানার পুলিশ পৌঁছে দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বহরমপুর থানার আইসি মেহায়মেনুল হক বলেন, “মৃত্যুর আগে লেখা সুস্মিতার একটি চিঠি ওই ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে। চিঠিতে ফিজিক্স পরীক্ষা খারাপ হওয়ার জন্যই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে লিখে রেখে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
গত ১৪ মার্চ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুরুর দিনই ছিল বাংলা পরীক্ষা। এর পরে ১৬ মার্চ ইংরেজি ও ১৯ মার্চ ছিল পদার্থবিদ্যার পরীক্ষা। সোমবার ওই পরীক্ষা দিয়ে আসার পরেই সুস্মিতা মেসের অন্য কোনও আবাসিকের সঙ্গে ভাল ভাবে কথা বলেননি। নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন। ওই মেসের ম্যানেজার পরেশ আলি বলেন, “সুস্মিতার রুমমেট ছিলেন ফিরোজা ইয়াসমিন নামে বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তিনি ছুটিতে বাড়ি চলে যাওয়ায় ওই ঘরে সুস্মিতা একাই থাকতেন।” সারা দিন সুস্মিতা খাওয়াদাওয়ায় প্রায় করেননি। তিনি বলেন, “এদিন সন্ধ্যায় ৭টা নাগাদ এক জন আবাসিকের কাছ থেকে জানতে পারি যে সুস্মিতার কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। এর পরে আমরা কয়েকজন গিয়ে বাইরে থেকে ধাক্কা দিয়ে জানালা খুলে টর্চ দিয়ে দেখি, গলায় ফাঁস দিয়ে দেহ ঝুলছে। তারপরেই পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে ঘরের দরজা ভাঙে।” |