পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিটি ব্লকস্তরে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সে জন্য প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রের বুথভিত্তিক দলের সাংগঠনিক ‘শক্তি’ কেমন, তা জানিয়ে জেলা নেতৃত্বকে এক মাসের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার দলের সাংসদ, বিধায়ক ও সদস্যদের নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক হয়। পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান, “বুথভিত্তিক দলের শক্তি বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” আরও বেশি করে গ্রাম সংসদের ক্ষমতা ‘দখল’ করতেই সাংগঠনিক ‘শক্তি’ বৃদ্ধির এই ‘বার্তা’ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদীপবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমাদের মূল স্লোগান গ্রাম সংসদ চলো। এখনও অধিকাংশ গ্রাম সংসদ সিপিএমের দখলে। গ্রাম সংসদের আওতায় থাকা মানুষের কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা প্রশাসনের কাছ থেকে না শুনে মানুষের মুখ থেকে শুনবে কংগ্রেস। এবং সেই মতোই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” অর্থাৎ, প্রদেশ নেতারা বুঝিয়ে দিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতে বিডিও এবং এসডিও-দের দিয়ে যে নজরদারি কমিটি গড়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তা মেনে নিতে এখনও তাঁরা নারাজ।
জোটে থেকেও একের পর এক ঘটনায় শরিক তৃণমূলের সঙ্গে ক্রমাগত ‘দূরত্ব’ বাড়ছে কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটে জোট হবে কি না, তা নিয়ে না ভেবে দলগত ভাবে নিজেদের ‘প্রস্তুত’ রাখতেই এ দিনের বৈঠকে আলোচনা করেন কংগ্রেস নেতারা। এবং সেই প্রেক্ষাপটেই উঠে আসে কংগ্রেস কর্মীদের উপর তৃণমূল ও সিপিএমের আক্রমণের কথাও। একের পর এক আক্রমণের অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও প্রধান শাসক দল তথা প্রশাসনের কাছ থেকে যে ‘সুবিচার’ মিলছে না, সে কথাও তোলেন রায়গঞ্জের সাংসদ দীপা দাশমুন্সি, মধ্য কলকাতার জেলা সভাপতি প্রদীপ ঘোষেরা।
দলীয় নেতাদের সঙ্গে একমত হয়ে প্রদেশ সভাপতি প্রদীপবাবু পরে বলেন, “একমুখী আচরণ করছে তৃণমূল। যা এতদিন সিপিএম করে এসেছে। জোটে রয়েছি বলেই প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছি।” আগামী দিনে ফের আক্রমণ হলে কংগ্রেস যে ‘সহনশীল’ থাকবে না, তা জানিয়ে প্রদীপবাবুর হুঁশিয়ারি, “প্রশাসনের সহানুভূতি না পেলে কংগ্রেস গ্রামে-গঞ্জে আন্দোলন করবে।” তাঁদের দাবি, ‘দলীয় শাসন’ নয়, রাজ্যে ‘সুশাসন’ চাই। |