জল খেতে গিয়ে খেলতে খেলতে বেকায়দায় চা বাগানের কংক্রিটের জলাধারে পড়ে যায় দুই হস্তীশাবক। তাদের উদ্ধার করতে জলে নেমে আটকে পড়ে আরও দু’টি মাদি হাতি ও এক দাঁতাল। পাঁচটি হাতিকে প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় বাঁচালেন বনকর্মী ও ভুটান সীমান্তে দায়িত্বে থাকা এসএসবি জওয়ানেরা। বাগান কর্তৃপক্ষের দেওয়া ক্রেনের সাহায্যে চালানো হয় উদ্ধার-পর্ব। শনিবার ভোর থেকে ওই ঘটনা নিয়ে ধুন্ধুমার বাধে ডুয়ার্সের বীরপাড়া থানার মাকরাপাড়া চা বাগানে।
বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “ভবিষ্যতে বাগানে ওই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা দেখতে, ডিএফও-কে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “উদ্ধার করতে আরও দেরি হলে হাতির মৃত্যুও হতে পারত। কর্তৃপক্ষকে জলাধারের চারদিকে উঁচু, দেওয়াল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |
শনিবার রাজকুমার মোদকের তোলা ছবি। |
স্থানীয় সূত্রের খবর, বাগানে চারটি জলাধার রয়েছে। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ চা ম্যানেজার জয়শঙ্কর সিংহ বাগানের পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়ে খেয়াল করেন, ৪১ নম্বর ‘সেকশন’-এর জলাধারের কিছুটা দূরে চারটি হাতি শুঁড় তুলে চিৎকার করছে। একটা হাতি জলাধারের কাছে শুঁড় বাড়িয়ে কিছু তোলার চেষ্টা করছে। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে তিনি দেখেন, কয়েকটা হাতি জলাধার থেকে উপরে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখেই তিনি খবর দেন দলগাঁওয়ের রেঞ্জ অফিসার মানস আচার্যকে। খবর যায় এসএসবি ক্যাম্পের জওয়ানদের কাছেও।
এর পরে ক্রেন এনে ১১টা নাগাদ সব ক’টি হাতিকে তোলা হয়। রেঞ্জ অফিসার বলেন, “জল খেতে গিয়ে বাচ্চা হাতি দু’টো জলে পড়ে যায়। দু’টো মাদি হাতি ও দাঁতালটি জলে নেমে বাচ্চা দু’টোকে উপরে ভাসিয়ে রাখার চেষ্টা করছিল। আর নিজেরা জলাধারের দেওয়ালের উপরে শুঁড় তুলে শ্বাস নিচ্ছিল।” বাগানের ম্যানেজার বলেন, “ব্যাপারটা চোখে না পড়লে, কী যে ঘটত কে জানে! বন দফতরের পরামর্শ মেনে জলাধারগুলির পাশে দেওয়াল তোলা হবে।” |