ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে রাশিয়ার পরিস্থিতি। ডুমার নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করলেও ভ্লাদিমির পুতিনের দল বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। তার পর থেকেই লাগাতার বিক্ষোভ চলছে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে। আজ সেই বিক্ষোভ এক ভিন্ন মাত্রা পেল। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে এলেন রাজধানী মস্কোয়। বিরোধীদের দাবি, এমন বিক্ষোভ-সমাবেশ গত দু’দশকের মধ্যে এই প্রথম।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভোটে ব্যাপক কারচুপি ও রিগিং করেছে পুতিনের দল। যা না করলে পুতিনদের ফল আরও খারাপ হত বলেই তাঁদের দাবি। রুশ পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, রাজধানী মস্কোয় আজ পথে নেমেছিলেন ২৫ হাজারের মতো মানুষ। |
যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই সংখ্যাটা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। ক্রেমলিনের লাগোয়া রেড স্কোয়্যারে গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সরকার বিরোধীরা। এ দিন ওই অঞ্চল কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে রাখা হয়েছিল। মোতায়েন ছিল প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আজ অনেক মিছিল মস্কো নদীর তীরে বোলোতনায়া স্কোয়্যারে এসে মিলেছিল। তবে মস্কোর প্রাণকেন্দ্র রেভোলিউশন স্কোয়্যারে সমাবেশের ছাড়পত্র দেয়নি প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বোলোতনায়া স্কোয়্যার আয়তনে ছোট হওয়ায় খুব সহজে তা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, অননুমোদিত মিছিল এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মস্কো থেকে আজ ৪৫ জনকে ধরা হয়েছে। শুধু রাজধানী মস্কোই নয়, উত্তরে সাইবেরিয়া থেকে ভ্লাদিভস্তক, উরালস থেকে কালিনিনগ্রাদ সব শহরেরই একই ছবি।
মিশর বা তিউনিসিয়ার মতো জনমত গঠনে এ ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিচ্ছে ইন্টারনেট। ফেসবুক-টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়াকিং ওয়েবসাইটগুলিতে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ-সমাবেশের খবর, ছবি। |