এক তাঁতশ্রমিকের তৎপরতায় কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনায় হাত থেকে রক্ষা পেল লোকাল ট্রেন।
অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ কাজে বেরিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা, তাঁতশ্রমিক ভুলু শেখ। বাড়ির কাছেই পূর্ব রেলের ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইন। ভোরের কুয়াশায় লাইন পেরনোর সময় বছর ছাব্বিশের ওই
|
ভুলু শেখ। নিজস্ব চিত্র। |
যুবকের নজরে পড়ে, লাইনে ফাটল। স্থানীয় হাটতলার বাসিন্দা দ্বিজলাল দেবনাথকে দেখে তাঁকে ওই কথা জানান তিনি। এর পরেই, ভুলুকে পাহারায় রেখে দ্বিজলালবাবু কিছুটা দূরে নান্দাই লেভেল ক্রসিংয়ে গিয়ে গ্যাংম্যান রামচন্দ্র পারিডাকে বিষয়টি বলেন। রামচন্দ্রবাবু ঘটনাস্থলে আসেন। ইতিমধ্যেই ধাত্রীগ্রাম ছেড়ে সমুদ্রগড়ের দিকে আপ কাটোয়া লোকাল রওনা হওয়ার খবর পৌঁছয় তাঁর কাছে। বিপদ বুঝে ওই গ্যাংম্যান রেলের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে পটকা এবং পরে পতাকা নাড়তে থাকেন। ফাটল থেকে প্রায় ৩০ হাত দূরে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। উল্টো দিক থেকে আসা ডাউন লোকালকে সমুদ্রগড় স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার পরে ফাটল মেরামত করা হয়।
ঘটনার জেরে ঘণ্টা দেড়েক ওই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। রামচন্দ্রবাবু বলেন, “ওই দু’জনের জন্যই যথাসময়ে ট্রেন থামানো গিয়েছে। না হলে বিপদ হতে পারত।” নান্দাই পঞ্চায়েতের প্রধান ঈদের আলি মোল্লার কথায়, “ভুলু আর দ্বিজলাল তৎপর না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ওঁরা দু’জন গ্রামবাসীদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।” |