যথাযথ ভাবে জাতীয় প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্য সরকারের অর্থসচিব, বিধানসভার সচিব, হাওড়ার জেলাশাসক-সহ ১৪ জন উচ্চপদস্থ কর্তা নিয়ম মেনে জাতীয় প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করছেন না। যাঁরা ওই নির্দেশ ঠিকঠাক মেনে চলছেন না, তাঁদের মধ্যে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তা ছাড়াও আছেন কোনও কোনও ফৌজি কর্তা।
পদস্থ ব্যক্তিরা জাতীয় প্রতীক সংক্রান্ত বিধি না-মানায় বিচারপতি পিনাকী ঘোষ ও বিচারপতি তরুণচন্দ্র গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করে। ডিভিশন বেঞ্চ ওই ১৪ কর্তার কাছে জানতে চায়, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়, পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দা-সহ সকলকেই হলফনামা দিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানাতে হবে।
কোন কোন পদাধিকারী জাতীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন, আইনজীবী কমল দে-র দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট তা জানিয়ে দিয়েছিল। সেই রায়ে আদালত বলেছিল, জাতীয় প্রতীক ব্যবহারের সময় ‘সত্যমেব জয়তে’ কথাটি অবশ্যই লেখা থাকতে হবে। কিন্তু সেই রায়ের পরেও অনেক উচ্চপদস্থ কর্তা নির্দেশ মান্য করেননি। কমলবাবু তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন। সেই মামলার সূত্রেই ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন রায় দেয়।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অন্য যে-সব উচ্চপদস্থ কর্তাকে হলফনামা দিতে হবে, তাঁদের মধ্যে আছেন কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা বা সিএসটিসি-র চেয়ারম্যান টি পি মাঝি, আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটির ডিরেক্টর টি বৈদ্য, জাতীয় গ্রন্থাগারের ডিরেক্টর স্বপন চক্রবর্তী, আয়কর দফতরের চিফ কমিশনার বি এস সন্ধি, রেলের তিন জেনারেল ম্যানেজার জি সি অগ্রবাল, এ কে বর্মা এবং পি বি মূর্তি। এই তালিকায় আছেন সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান বিক্রম সিংহও। |