|
|
|
|
ব্যস্ত সময়ে চরম ভোগান্তি |
মেট্রোয় ‘ঝাঁপ’, চক্রে দুর্ঘটনা, পথে অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দিনের শুরুতে মাটির উপরে-নীচে ট্রেন চলাচল ব্যাহত এবং পথ অবরোধ। সব মিলিয়ে বুধবার ভরা অফিসের সময়ে চূড়ান্ত হেনস্থা হল নিত্যযাত্রীদের।
পুলিশ জানায়, এ দিন মেট্রো রেলে কাটা পড়ে এক মহিলার মৃত্যুর জেরে ঘণ্টাখানেক পরিষেবা ব্যাহত হয়। অন্য দিকে, চক্ররেলের পাঁচিল ধসে এক ব্যক্তির মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেহ আটকে প্রায় এক ঘণ্টা রেল অবরোধ করা হয়। আবার বিদ্যাসাগর কলেজে এসএফআই-তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) গোলমালের জেরেও বিধান সরণি অবরোধ করা হয়েছিল। সবক’টি ঘটনাই বুধবার সকাল ন’টা-সাড়ে ন’টা নাগাদ, অফিসের ব্যস্ত সময়ের। ফল যা হওয়ার তা-ই হল। একসঙ্গে এতগুলি ঘটনার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হলেন নিত্যযাত্রীরা।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, এ দিন সকাল ন’টায় শোভাবাজার-সুতানুটি স্টেশনে দমদমগামী একটি মেট্রোর সামনে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এর জেরে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত ময়দান থেকে দমদম ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। তবে ওই সময়ে কবি সুভাষ থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চলেছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ। |
|
এই পাঁচিলটি ভেঙেই ঘটে দুর্ঘটনা। পড়ে আছে দেহ। বুধবার, বড়বাজার স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র |
দিনের ব্যস্ততম সময়ে প্রায় এক ঘণ্টা দমদম থেকে ময়দান ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এমনিতেই সমস্যায় পড়েন অফিসযাত্রীরা। পরে দমদম অবধি ট্রেন চলতে শুরু করলেও পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও খানিকটা সময় চলে যায়। মেট্রো স্টেশনের ‘ডিসপ্লে বোর্ডে’ ট্রেনের সময়ও দেখানো হয়নি দীর্ঘক্ষণ। স্টেশনে-স্টেশনে ক্রমেই বাড়তে থাকে ভিড়। একসঙ্গে অনেক যাত্রী উঠে পড়ায় ট্রেনের দরজা বন্ধ হতে সমস্যা হয়। সব মিলে এ দিন সকালে ফের এক দফা হয়রানির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার গভীর রাতে চক্ররেলের বড়বাজার স্টেশনের পাঁচিল ভেঙে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আহত হন আরও দু’জন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত চক্ররেল অবরোধ করা হয়। সেখানেও আটকে পড়েন বহু নিত্যযাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, স্টেশনের পাশেই অস্থায়ী গুমটিতে শুয়েছিলেন ওই তিন জন। রাতে স্টেশনের পাঁচিল ভেঙে পড়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জনের। অন্য দু’জনকে অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের দাবিতে স্থানীয় লোকজন সেখানে অবরোধ করেন। পরে পুলিশ ও রেলকর্তারা এসে অবরোধ ওঠান। অবরোধকারীদের অভিযোগ, স্টেশনের পাঁচিলের অবস্থা এমনিতেই খারাপ। পুরনো পাঁচিল ঝুরঝুরে হয়ে নানা জায়গায় ভেঙে পড়ছে। তার উপরে বালি ফেলার জন্যই পাঁচিলটি এ ভাবে ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেন, “পাঁচিল সারাইয়ের জন্য এক ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। মনে হয় সেই জন্যই ওই সংস্থার লোকেরা বালি এনেছিলেন।”
এ দিকে, এ দিনই সকালে বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে গোলমাল বাধে এসএফআই ও টিএমসিপি-র মধ্যে। গোলমালের জেরে কলেজের সামনে বিধান সরণি অবরোধ করা হয়। এর জেরে ব্যাপক যানজট হয় ওই এলাকায়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ ওঠে। তার জেরেও চূড়ান্ত নাকাল হন অফিসযাত্রীরা। |
|
|
|
|
|