রাস্তায় পুলিশের টহলদারির মধ্যেই ছিনতাই হয়েছে- এই অভিযোগ তুলে এবং দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে সারেঙ্গা থানার কুলডিহা গ্রামে সারেঙ্গা-পিড়রগাড়ি রাস্তায় অবরোধ করা হয়। সকাল আটটা থেকে ঘণ্টা দু’য়েক ধরে এই অবরোধ চলে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হন ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষজন। পরে জেলা পুলিশের ডিএসপি (কম্যান্ডো) পরাগ ঘোষ বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে অবরোধ তোলেন। জেলা পুলিশ সুপার প্রণব কুমার দাবি করেন, “পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। রাতে বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সারেঙ্গার তাঁতিডাঙার জঙ্গলে সারেঙ্গা-পিড়রগাড়ি রাস্তায় একটি ছোট গাড়ি আটকে ছিনতাই করা হয়। কুলডিহা গ্রামের বাসিন্দা বিনয় কর্মকার মুরগি নিয়ে আসার জন্য তালড্যাংরায় গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিনয়বাবুর অভিযোগ, “তাঁতিডাঙার জঙ্গলের পাশে পুলিশের টহলদার ভ্যান ছিল। কিছুটা যাওয়ার পরে রাস্তার উপরে গাছ ফেলে গাড়ি আটকে লুঠপাট করা হয়। চালক ও খালাসিকে মারধর করে হাজার খানেক টাকা ও দু’টি মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।” তাঁর আরও অভিযোগ, “পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরার ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়। সে জন্যেই ওই এলাকায় রাতে ছিনতাই হচ্ছে।”
এ দিনের অবরোধে গ্রামের পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও সামিল হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, ছিনতাইবাজদের গ্রেফতার করতে হবে। যদিও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ কর্মীরা । এই অবরোধের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে, পুলিশের দাবি। পুলিশের একাংশের দাবি, মাস দু’য়েক আগে কাড়ভাঙার জঙ্গলে ছিনতাই করার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েক জনকে ধরা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে চার জন স্থানীয় কুলডিহা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের পরিবারের লোকজনের মদতেই রাস্তা অবরোধ হয়েছিল। এ দিন সকাল সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সারেঙ্গা থানার আইসি বিপ্লব দে প্রথমে বাহিনী নিয়ে দিয়ে অবরোধকারীদের সরে যেতে বলেন। অবরোধকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন। এর পরে ডিএসপি গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। জেলা পুলিশ সুপার দাবি করেন, “ছিনতাইবাজদের দলে কুলডিহা গ্রামের কয়েক জন দুষ্কৃতী রয়েছে। আগেও তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ দিন তারাই রাস্তা অবরোধ করেছিল।” |