জেলার সার্বিক উন্নয়নে মমতার দ্বারস্থ বিধায়ক
জেলার সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটি। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে দলের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে জেলার সার্বিক উন্নয়নের দাবি জানাবেন। বুধবার রায়গঞ্জে জেলা তৃণমূলের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যেই দলের জেলা কমিটির তরফে ৯টি ব্লক নেতৃত্বের কাছে উন্নয়নের খসড়া দাবিপত্র তৈরি করে জেলা কমিটির কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর জেলা কমিটি বিভিন্ন ব্লক নেতৃত্বের পাঠানো দাবি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত করে স্মারকলিপি তৈরি করা হবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন ব্লকে কী কী উন্নয়ন দরকার তা জানতে আগামী ৩ ডিসেম্বর দলের চোপড়া ও ইসলামপুর, ৪ ডিসেম্বর গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া, ৫ ডিসেম্বর করণদিঘি ও রায়গঞ্জ এবং ৬ ডিসেম্বর হেমতাবাদ, ইটাহার ও কালিয়াগঞ্জ ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রীর। হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মোয়াজুদ্দিন আহমেদ খোকন বলেন, “পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের পরিকল্পনার অভাব ও কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদের ব্যর্থতার জেরে জেলার সার্বিক উন্নয়ন থমকে রয়েছে। বিভিন্ন ব্লকের রাস্তাঘাট, সেতু, পানীয় জল ও বিদ্যুতের পরিষেবা বেহাল। ব্লক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না। বাসিন্দারা সরকারি নিয়মে রেশন ও ১০০ দিনের প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রীর মাধ্যমে সমস্ত বিষয় মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অসীম ঘোষ বলেন, “দলের প্রতিটি ব্লক নেতৃত্বের কাছে এলাকার উন্নয়নের দাবির খসড়া তৈরি করে জেলা কমিটির কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর চূড়ান্ত দাবি তৈরি করে জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রীর নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের আর্জি ও গত রেল বাজেটে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত রাধিকাপুর নিউ জলপাইগুড়ি ডিএমইউ ট্রেন চালু করার দাবিও জানানো হবে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, বৈষম্য, ষড়যন্ত্র ও দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামায় ঘরে বাইরে নানা সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও তৃণমূলের কাজিয়ার জেরে ট্রেন চালু করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে বামফ্রন্ট। সেই কারণেই, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জেলার সার্বিক উন্নয়নের দাবির পাশাপাশি জমি অধিগ্রহণ ও ট্রেন চালুর দাবি জানানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা তিলক চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি কংগ্রেসের মোক্তার আলি সর্দার বলেন, “জেলা পরিষদ সরকারি নিয়মে উন্নয়নের কাজ করছে। রাজনৈতিক স্বার্থে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” জেলা বামফ্রন্টের সচিব অপূর্ব পাল বলেন, “তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসতেই জেলার সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ থমকে গিয়েছে। তৃণমূল নেতারা বিষয়টি বুঝতে পেরে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.