খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মেডিক্যাল শিক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি তথা বেসরকারি বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল করলেন মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া। এ জন্য ‘অচল’ আইন বদলানোরও দাবি করেছেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। এক আলোচনা চক্রে অহলুওয়ালিয়া বলেন, “আগামি কয়েক বছরে দেশে আরও পাঁচ লক্ষ চিকিৎসকের প্রয়োজন। বর্তমান মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষে এই চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।” আইন অনুযায়ী, ভারতে মেডিক্যাল কলেজ খোলার অধিকার রয়েছে এক মাত্র নথিবদ্ধ ট্রাস্ট বা সোসাইটির। বড় কোনও কর্পোরেট সংস্থা হাসপাতাল চালালেও মেডিক্যাল কলেজ খুলতে পারে না। অহলুওয়ালিয়ার কথায়, “এই আইন অচল হয়ে গিয়েছে। সবাই চান চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ুক। কিন্তু, তা বাড়াতে হলে কোথায় আইন শিথিল করা প্রয়োজন তা নিয়ে কেউ চিন্তা করেন না।” মেডিক্যাল শিক্ষায় বেসরকারি বিনিয়োগ কী পরিবর্তন আনতে পারে তা রীতিমতো উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। তাঁর কথায় “ধরা যাক, বেসরকারি বিনিয়োগের ফলে আগামি কয়েক বছরে হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা আরও ১০ হাজার বাড়বে। অর্থাৎ আরও ৩০টি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তৈরি করা হবে।”
|
প্লেটের অভাবে কুড়ি দিন ধরে বন্ধ আছে এক্সরে। এই সমস্যা দেখা দিয়েছে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে। এর ফলে পরিষেবা না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন রোগীরা। এক্সরে প্লেট ছাড়া তুলো, গজেরও যোগান নেই বলে হাসপাতাল সুপার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “জেলাতেও এগুলির যোগান খুব কম। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে জানানোর জন্য বিধায়ককে জানানো হয়েছে।” রামপুরহাটের মতো সিউড়ি, বোলপুরেও এক্সরে প্লেটের যোগান কম রয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ডেপুটি সিএমওএইচ ১ অরুণলাল মণ্ডল বলেন, “সিউড়ি, বোলপুরে তিন চার দিন ধরে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। রামপুরহাটের রোগী কল্যাণ সমিতির আয় থেকে এক্সরে প্লেট কিনে নিতে বলা হয়েছে। সর্বত্রই যোগানের অভাবে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।” রামপুরহাট হাসপাতালে তুলো, গজের অভাব সম্পর্কে ডেপুটি সিএমওএইচ ১ অরুণলাল মণ্ডল অবশ্য বলেন, “অভাব তো থাকার কথা নয়। চাইলেই তো যোগান দেওয়া যায়।” |