নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শহরের বাঘাযতীন পার্ক থেকে মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেন অসংখ্য মানুষ। শৈলজের বাবা, বোন, পরিজন, বন্ধু, প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই নেতৃত্ব। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও ছিলেন মিছিলে। হিলকার্ট রোড, সেবক রোড হয়ে ফের বাঘাযতীন পার্কে গিয়ে শেষ হয় মিছিল। শৈলজের বাবা সুভাষবাবু বলেন, “নির্মম ভাবে পিটিয়ে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। চিৎকার করলেও তাঁদের বাঁচাতে কেউ এগিয়ে যায়নি। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করছি। আমি যতদূর জানি পুলিশ একটি খুনের মামলা দায়ের করে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আমিও একটি মামলা দায়ের করব। এমন দুষ্কৃতীরা যাতে আইনের হাতে শাস্তি পায় সে দাবিও প্রশাসনের কাছে জানাব।” সোমবার ভোর রাতে দিল্লির গোবিন্দপুরীতে পরোটা খেতে যান শৈলজ (২৪) ও তাঁর বন্ধু সিদ্ধার্থ রায়। সেখানে দুই যুবকের সঙ্গে বচসার পর শৈলজকে পিটিয়ে খুন করা হয়। সিদ্ধার্থ দিল্লির বাতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্ত চেতন চৌধুরী ও ভিকিকে গ্রেফতার করেছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ, শুক্রবার সুভাষবাবু দিল্লি যাবেন। শিলিগুড়ি থেকে শৈলজের বন্ধু ও আত্মীয়রাও দিল্লিতে যাবেন। সেখানেও যন্তরমন্তর থেকে শনিবার বিকালে মোমবাতি নিয়ে মিছিল হবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমেও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে জনমত সংগ্রহে নেমেছেন শৈলজের বন্ধুরা। শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শৈলজের মা মঞ্জু দেবী। শৈলজের বন্ধু তরুণ মণীশ অগ্রবাল বলেন, “শৈলজকে এভাবে খুন করা হবে আমি ভাবতেও পারছি না। আমরা দিল্লিতে যাব। ধারাবাহিক প্রতিবাদ হবে। অভিযুক্তদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভাল থাকতে পারব না।” শৈলজের আরেক বন্ধু অর্পিত ডালমিয়া বলেন, “বহু বছর একসাথে পড়াশোনা করেছি। শৈলজের খুনিদের শাস্তি চাই।” শিলিগুড়ির কলেজ-ছাত্ররা মিছিলে যোগ দেন। শিলিগুড়ির ছেলে শৈলজ দিল্লি এবং লন্ডনে পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি দিল্লিতে ফিরে একটি বিপিওতে কাজ করছিলেন। এদিনের মিছিলে দার্জিলিং জেলার ডিওয়াইএফ সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ, এসএফআইয়ের সম্পাদক সৌরভ দাস, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকারী সভাপতি অমৃত পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন। শঙ্করবাবু বলেন, “ওই ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রতিবাদে সামিল হয়েছি।” অমৃত বলেন, “অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি করছি। যাতে এভাবে যাতে আর কোনও তরুণের মৃত্যু না হয়।” |