ব্লক থেকে বিশ্বে স্বামীজির জন্মদিন পালন |
ব্লক থেকে আন্তর্জাতিক নানা পর্যায়ে স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন করবে রাজ্য সরকার। ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মদিন। আগামী বছর ১১ জানুয়ারি থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যাবে তাঁর সার্ধশতবর্ষ পালন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বৈঠক করেন। স্বামীজির জন্মদিন ‘যুব দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দিনটি এ বার ‘বিবেক দিবস’ হিসেবেও পালিত হবে। কলকাতায় স্বামীজির জন্মক্ষণ সূচিত করতে সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে বাজবে সাইরেন, হবে গোলপার্ক থেকে বিবেকানন্দের বসতবাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা। পাশাপাশি, বছরভর চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী চান, রাজ্যের ব্লক স্তর থেকে শুরু হয়ে এই উদ্যাপন শেষ হোক ২০১৩-র ১২ জানুয়ারি কলকাতায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যুব-প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। তার আগে ধাপে ধাপে ব্লক, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে হবে একই ধাঁচের সম্মেলন। সমস্ত জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ক্লাবগুলিকে নিয়ে বিতর্ক ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, আলোচনাচক্র ইত্যাদি কর্মসূচিও নেওয়া হবে সারা বছর ধরে। স্কুলের পাঠ্যক্রমে বিবেকানন্দের জীবন ও রচনা বাধ্যতামূলক করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের নামাঙ্কিত অধ্যাপক-পদ সৃষ্টি প্রভৃতি প্রস্তাবও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
|
এক দিন দেরিতে ফি, বসা যাবে পরীক্ষায় |
রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-টেকের বিভিন্ন বর্ষের সেমেস্টার পরীক্ষা আজ, শুক্রবার শুরু হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপন সেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, দুর্গাপুরের সনকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ওই পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ওই কলেজের পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন কলেজ-কর্তৃপক্ষ। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার সময় ফুরোনোর এক দিন পরে দুর্গাপুরের কলেজটি ফি জমা দিয়েছে। তাই নিয়মবিধি অনুযায়ী ওই ফি জমা নেওয়া যায়নি। ফলে অ্যাডমিট কার্ডও দেওয়া যায়নি ওই কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। কলেজের বক্তব্য, কলকাতায় গিয়ে ব্যাঙ্ক ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদর দফতরে। কলেজের প্রতিনিধি শেষ দিনে টাকা নিয়ে রওনা হন। কিন্তু পানাগড়ে যানজটের জেরে ঠিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদর দফতরে পৌঁছতে পারেননি। সনকা কলেজের প্রশ্ন, মাত্র এক দিন দেরির জন্য এতগুলি ছাত্রছাত্রীর বছর নষ্ট হবে কেন? দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি সনকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কর্তৃপক্ষকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করতে হবে। বিচারপতি বলেন, এক দিন দেরি হলেও সেটা দেরিই। কিন্তু কলেজের এই গাফিলতির জন্য এত ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ সঙ্কটে ফেলা যায় না। এই মানবিক দিকটি আবার ভাবা উচিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের। ছাত্রছাত্রীরা সময় মতোই ফি জমা দিয়েছেন। তাঁরা বিপন্ন হবেন কেন!
|
পিএইচ ডি করলে দু’টি ইনক্রিমেন্ট শিক্ষকদের |
খরচ কমানোর কারণ দেখিয়ে এ রাজ্যে বাড়তি যোগ্যতার ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের বিশেষ ইনক্রিমেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, কোনও স্কুলশিক্ষক পিএইচ ডি করলে তাঁকে দু’টি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট দিতেই হবে। ২০০৫ সালের ব্যয় সঙ্কোচন আইনের দোহাই দিয়ে কোনও ভাবেই ওই বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করা যাবে না বলে বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এ দিন তাঁর রায়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন। ২০০৫ সালে রাজ্য সরকার ব্যয় সঙ্কোচন আইন-বলে জানিয়ে দিয়েছিল, শিক্ষকেরা স্কুলে যোগ দেওয়ার পরে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ালেও তাঁদের বেতন কোনও মতেই বাড়ানো যাবি না। অথচ আগে নিয়ম ছিল, কোনও শিক্ষক পিএইচ ডি ডিগ্রি পেলে তাঁকে দু’টি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে। বাঁকুড়ার নাকুরা কাটিগ্রাম এস এস কে হাইস্কুলের শিক্ষক গোপাল মণ্ডল বাংলায় পিএইচ ডি ডিগ্রি পান। বিশেষ ইনক্রিমেন্টের জন্য তিনি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে আবেদন করেন। স্কুল পরিদর্শক ব্যয় সঙ্কোচন আইনের কথা উল্লেখ করে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেন। গোপালবাবু তার পরেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। গোপালবাবুর আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিব সম্প্রতি পিএইচ ডি-র ক্ষেত্রে ব্যয় সঙ্কোচন আইন কার্যকর নয় বলে দু’টি ইনক্রিমেন্টের সুপারিশ করেছেন। এক্রামুল বারি বলেন, সরকার বৈষম্য করতে পারে না। তাই গোপালবাবুও ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার অধিকারী। বিচারপতি দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে জানান, আবেদনকারীর পিএইচ ডি ডিগ্রির সত্যতা যাচাই করে তাঁর বেতন বৃদ্ধি বাবদ বকেয়া টাকা ১৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে।
|
নিরাপত্তা বুঝতে রাজ্যে কেন্দ্রের দূত |
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার হালহকিকৎ বুঝতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব ভি কে দুগ্গল দু’দিনের সফরে কলকাতায় আসছেন। তাঁর আসার কথা ১৫ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এই খবর জানান। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম ‘ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ গ্রুপ’ নামে একটি কমিটি তৈরি করেছেন। তার নেতৃত্বে রয়েছেন দুগ্গল। কমিটির কাজ হল, রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলি চিহ্নিত করা এবং এর মোকাবিলায় কী করা উচিত, তা সুপারিশ করা। এই উদ্দেশ্যেই পশ্চিমবঙ্গে দু’দিনের জন্য আসছে কমিটির সদস্যরা। তাঁরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন। নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও জেলায় তাঁরা যেতেও পারেন বলেও মনে করছে রাজ্য সরকার। |