পরিত্যক্ত একটি ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়াল কৃষ্ণনগরে। বৃহস্পতিবার সকালে কৃষ্ণনগর বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতর চত্বরে একটি কালো চামড়ার ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখে তার ভিতরে বোমা থাকার আশঙ্কা করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ব্যাগের ভিতরে বোমা থাকার আশঙ্কা করেন তাঁরাও। খবর দেওয়া হয় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরে। সেখানকার কর্মীরা এসে ব্যাগটি পরীক্ষা করেন। তাঁরা একটি ফাঁকা জায়গায় গিয়ে ব্যাগটি খোলেন। ব্যাগটির মধ্যে কিছু জামাকাপড় ও একটি টিফিন কৌটো পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কৃষ্ণনগরের ডিভিশনাল ম্যানেজার রাজু মণ্ডল বলেন, “দীর্ঘক্ষণ ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখে কর্মীরা ভয় পেয়ে যান। তবে ব্যাগের ভিতর থেকে জামাকাপড় আর টিফিন কৌটো ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাগটি কার এবং ওখানে কী ভাবে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “ব্যাগের ভিতরে তেমন কিছুই ছিল না। ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেই কর্মীরা বোমা আছে বলে আশঙ্কা করেছিলেন।”
|
পুলিশের গুলিতে মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত কংগ্রেস নেতা বিমল বিশ্বাস-সহ ৯ জন বৃহস্পতিবার জামিনে ছাড়া পেলেন। ৭ অক্টোবর রাতে বগুলায় দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল শুরু হয়। প্রতিবাদে কংগ্রেস কর্মীরা বগুলা বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ঝামেলার জেরে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিতে রাজেশ্বরী মল্লিক (২৬) নামে এক মহিলা কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বিমল বিশ্বাস-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন বিমলবাবুর আইনজীবী শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায় ও রঘুনাথ ভট্টাচার্যের ডিভিশনাল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে বিমল বিশ্বাসের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। পুলিশের রাইফেল ছিনতাই-সহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।” প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য দুলাল পাত্র বলেন, “ওদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এই রায়ে আমরা খুশি।”
|
রাস্তা বেহাল। সেতুও তৈরি হয়নি। ইন্দ্রাণী থেকে ঝিল্লির রায়পুর পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা এক কথায় নেই বললেই চলে। ১৭ কিমি মাটির রাস্তার মাঝে দ্বারকা নদী। তার উপরে সেতু না থাকায় প্রায় ৪২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে রামপুরহাট হয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয় যাত্রীদের। দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার বাসিন্দারা ওই রাস্তা সংস্কার ও নদীর উপরে সেতুর দাবি করে আসছেন। ইতিমধ্যেই এলাকার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ওই নদীর উপরে সেতু তৈরি ও রাস্তার সংস্কারের জন্য ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। |