দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে দেশ তোলপাড়। এর মধ্যেই ‘দুর্নীতি সূচকে’ আরও নেমে গেল ভারতের স্থান। দুর্নীতির মাত্রা মাপতে ১৮৩টি দেশকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’। দীর্ঘ দিন ধরেই প্রতি বছর এই সমীক্ষা চালায় ওই আন্তর্জাতিক সংস্থা। সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি হয় দুর্নীতি সূচক (করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স)। গত বছর ওই সূচকে ভারতের স্থান ছিল ৮৭। এ বছরে তা নেমে গিয়েছে ৯৫ নম্বরে। ভারতের প্রাপ্ত নম্বর দশের মধ্যে ৩.১। সমীক্ষায় প্রকাশ, ২০০৭ সাল থেকে এই সূচকে ক্রমাগতই নামছে ভারতের স্থান। এ বছরে এক ধাক্কায় আট ধাপ নেমে যাওয়ার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’-এর ভারতীয় শাখার সদস্যরা। তাদের মতে, এ বছরে অণ্ণা হজারের আন্দোলন দেশে দুর্নীতির সমস্যাকে সামনে এনে দিয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ সবের ফলেই নেমেছে ভারতের স্থান। সমীক্ষায় ৯.৫ নম্বর নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। অর্থাৎ, সে দেশে দুর্নীতির প্রকোপ সব থেকে কম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলির মধ্যে সব থেকে এগিয়ে ভুটান। ৫.৭ নম্বর নিয়ে তারা রয়েছে ৩৮ নম্বরে।
|
ইশরাত ও সোহরাবুদ্দিন দুই মামলাতেই অস্বস্তি বাড়ল নরেন্দ্র মোদী সরকারের। ইশরাত জহানের ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-কে খুনের অভিযোগ এনে নতুন করে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয়ন্ত পটেল ও অভিলাষা কুমারীর ডিভিসন বেঞ্চ মামলার তদন্তভার রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সোহরাবুদ্দিন মামলাতেও অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের ফোন কলের যাবতীয় নথি ও সিডি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ইশরাত মামলায় দু’সপ্তাহের মধ্যে সিট-কে এফআইআর দায়ের করতে হবে। তার পর মামলার তদন্তভার তুলে দিতে হবে সিবিআই-কে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর সিট প্রধান আর আর বর্মা বলেন, “গুজরাত হাইকোর্ট সিট-কে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সিট তা দায়িত্বের সঙ্গে পালন করবে।” আদালতের বক্তব্য, “তদন্তকারী সংস্থার উপর মানুষের আস্থা থাকতে হবে। ” সোহরাবুদ্দিনের ভুয়ো সংঘর্ষ মামলাতেও ধাক্কা খেয়েছে মোদী সরকার। বার বার চাওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের ফোন কলের নথি ও সিডি সিবিআই-কে দেয়নি রাজ্য সরকার। তাই আজ শীর্ষ আদালত সেগুলি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলায় সিবিআই-কে তথ্য না দেওয়ার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকেও একহাত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
|
নদীবাঁধ প্রকল্পের জন্য আনা টার্বাইন ঢোকা নিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল অসমের রাজনীতি। কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির সহিংস প্রতিরোধে আজ লখিমপুরে ঢুকতে পারেনি ট্রান্সফর্মার ও টার্বাইনবাহী ট্রেলার-ট্রাকগুলি। নমনি সুবনসিরি বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আনা হচ্ছে ওই টার্বাইন। আসু আজ দিনভর বৃহৎ নদীবাঁধ বিরোধী আন্দোলন চালায়। আসু নেতা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন, “রক্ত দিয়ে আটকানো হবে বাঁধের কাজ।” অন্য দিকে দিসপুরে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ জানিয়ে দিয়েছেন, যে করেই হোক টার্বাাইন গেরুকামুখে নিয়ে যাওয়া হবেই। আজ সকাল থেকেই লখিমপুরে টার্বাইন নিয়ে আসার বিরুদ্ধে পথে পথে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির কর্মী-সমর্থকেরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অবরোধ হঠাতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, শূন্যে গুলিও চালায়। টার্বাইন যাওয়া ঠেকাতে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির মারমুখী কর্মী ও সমর্থনকরা বাস, গাড়ি, ট্রাক ভাঙচুর করেন। পুলিশের মারে জখম হন বেশ কিছু বিক্ষোভকারী। শোণিতপুরের জেলাশাসক ঘোষণা করেন, এ দিন টার্বাইন নয়, কেবল ট্রান্সফর্মার পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সংগঠনগুলি সেই কথা মানতে চায়নি। সন্ধ্যায় রাজ্যের সব জেলা সদরে বৃহৎ নদীবাঁধের বিরুদ্ধে আসু মশাল মিছিল বের করে। সংগ্রামপন্থী আলফাও বৃহৎ নদীবাঁধের বিরোধিতা করেছে। এনএইচপিসি কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আনা টারবাইন ও ট্রান্সফর্মার গেরুকামুখ আনার ব্যাপারে সাহায্য করতে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য চাইলেও বিক্ষোভের সামনে পুলিশকেও পিছু হঠতে হয়। রাতে লখিমপুর শহরের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকে এনএইচপিসির ট্রেলার-ট্রাক্টর।
|
টু-জি মামলায় জামিন পেলেন এ রাজার প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব আর কে চান্দোলিয়া। ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে জেলে রইলেন কেবল প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী রাজা ও প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরা। তবে চান্দোলিয়াকে কানিমোঝি সহ অন্য কয়েক জন অভিযুক্তের মতো সহজে রেহাই দিতে চায়নি সিবিআই। তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেছিলেন সিবিআই কৌঁসুলি। সিবিআইয়ের বক্তব্য, চান্দোলিয়া এই মামলায় মূল ষড়যন্ত্রীদের মধ্যে এক জন। যাঁরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তাঁদের সঙ্গে চান্দোলিয়ার ভূমিকার পার্থক্য আছে। রাজার প্রাক্তন সচিবের আইনজীবী বিজয় অগ্রবাল বলেন, “যাঁরা জামিন পেয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখেনি আদালত। সার্বিক ভাবে টু-জি মামলার অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।” এর পরে চান্দোলিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে বিশেষ সিবিআই আদালত।
|
দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের এক কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগে অভিনেতা সলমন খান-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল কানপুরের কাকাদেব থানার পুলিশ। গত ২৪ অগস্ট নিজের ছবির প্রচারে জন্য কানপুর এসেছিলেন সলমন খান। সেই সময় দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের কর্মী ওমেন্দ্র ভরত এবং বেশ কিছু মানুষ সলমনকে গাঁধী টুপি দিতে যান। ভরতের অভিযোগ, সলমনের নির্দেশে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তখন তাঁকে হেনস্থা করেন। ভরতের আরও অভিযোগ, থানা প্রথমে তাঁর এফআইআর নেয়নি।
|
একটি বাসের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। বিকেলের দিকে বাসটি পাওয়া গেল। দেখা গেল, বাসের মধ্যেই মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন চালক। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলার রানিয়া থানার কেনবাঙ্কিতে। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে মাওবাদীদের দিকেই আঙুল তুলেছে। তারা জানায়, মাওবাদীদের হাতে নিহত ওই বাসচালকের নাম পার্থ মিত্র (৩৫)। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, টাকার লোভেই ওই বাসচালককে খুন করা হয়েছে। |