খেয়াল রাখুন

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি
গিগাবাইট গোষ্ঠীর ফ্রন্টলাইন ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটিটিভ এগজামিনেশন্স পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশের বিভিন্ন ধরনের সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি দেয়। কলকাতা, বারাসত-সহ কল্যাণী, কৃষ্ণনগর, হলদিয়া, তমলুক, দুর্গাপুর, বহরমপুর, চন্দননগর, হাবড়া, শিয়ালদহ ইত্যাদি জায়গায় তাদের শাখা আছে।

টেলিভিশনের সংবাদ পাঠের প্রশিক্ষণ
কলকাতার নিট্স ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্কুলে চালু হচ্ছে সংবাদ পাঠ ও সংবাদ সঞ্চালনা শিক্ষার নতুন মরসুম। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, কী ভাবে টিভির পর্দায় খবর পড়তে হয়, বাচনভঙ্গি কেমন হবে, কোন ধরনের খবর পড়ার সময় স্বরক্ষেপ কী ধরনের হওয়া উচিত, এই সব কিছুই রয়েছে তাঁদের পাঠ্যক্রমে। এই মুহূর্তে ভর্তি চলছে সেখানে। বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য যোগাযোগ করে নিতে পারেন ৯৮৩১০-২৪৩০৯ নম্বরে।


তথ্যপ্রযুক্তি-বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর
ইনফর্মেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স (অ্যাডভান্সড আই সি টি ই) বিষয়টির উচ্চতর ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাঠ্যক্রম করাচ্ছে ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা ইগনু। এর জন্য তারা পুণের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (সি-ড্যাক)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। পাঠ্যক্রমটি করানো হবে সি-ড্যাকের বিভিন্ন কেন্দ্রে।

আইআইটি-তে এম এসসি পড়তে
স্নাতক হওয়ার পর যাঁরা আইআইটি-তে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বা গণিতে এম এসসি পড়তে আগ্রহী, তাদের জন্য সল্টলেকের ‘দ্য এজ’ চালু করেছে দীর্ঘ মেয়াদি একটি প্রশিক্ষণ। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করে নিতে পারেন ২৩৫৮-০৮০৮ নম্বরে।

দুর্গাপুরে নতুন আই টি আই
দুর্গাপুরের আগেই দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গড়ে উঠল একটি নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা আই টি আই। এটির নাম জি ডি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং সেন্টার। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রকের অনুমোদিত এই আই টি আই-তে করানো হচ্ছে ফিটার এবং ইলেকট্রিশিয়ান, এই দুটি কোর্স। পাঠ্যক্রম এবং ভর্তির পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ০৩৪৩-২৫২০৭১৩ নম্বরে।

আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর


প্রশ্ন: অঙ্ক নিয়ে সাম্মানিক স্নাতক পড়ছি। স্নাতকোত্তরে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে। কোথায়, কী ভাবে ভর্তি হওয়া যায় জানাবেন।


উত্তর: অঙ্ক নিয়ে সাম্মানিক স্নাতক হওয়ার পর কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অর্থাৎ মাস্টার অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন্স (এমসিএ) পড়ার সুযোগ অনেকটাই খোলা। এই পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য একাধিক প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসা যেতে পারে। আর অঙ্ক নিয়ে পড়ছেন বলে প্রবেশিকাগুলিতে আপনি বাড়তি সুবিধা পাবেন। কারণ, লিখিত পরীক্ষায় বেশির ভাগই স্নাতক স্তরের অঙ্ক থাকে।
এমসিএ পড়তে রাজ্য স্তরে জেকা এবং জাতীয় স্তরে নিমসেট পরীক্ষায় বসতে হয়। জেকা অর্থাৎ ‘জয়েন্ট এন্ট্রান্স ফর কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন্স’ পরীক্ষাটি নেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। পরীক্ষা হয় মে-জুন নাগাদ। স্নাতকে যাঁদের অঙ্ক বা রাশি বিজ্ঞান ছিল বা যাঁরা বিসিএ পড়েছেন, সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীরাই শুধু এই প্রবেশিকায় বসতে পারেন। পরীক্ষাটি আড়াই ঘণ্টার। প্রথম ভাগে থাকে অঙ্ক এবং দ্বিতীয় ভাগে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট। রাজ্যে ৪০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে এমসিএ পড়ানো হয়।
তিন বছরের এই পাঠ্যক্রমটি রাজ্যে যে সব প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়, সেগুলির মধ্যে আছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী গভর্নমেন্ট কলেজ, আর সি সি ইন্সটিটিউট অফ ইনফর্মেশন টেকনোলজি ইত্যাদি।
জেকা পরীক্ষা দিয়ে একাধিক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এমসিএ পড়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে টেকনো গোষ্ঠীর কলেজগুলি, জে আই এস গোষ্ঠীর কলেজগুলি, হেরিটেজ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, এম আই ডি দুর্গাপুর, পৈলান কলেজ অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, বি পি পোদ্দার ইন্সটিটিউট, বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (দুর্গাপুর) ইত্যাদি।
অন্য দিকে, জাতীয় স্তরে নিমসেট অর্থাৎ ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এমসিএ কমন এন্ট্রান্স টেস্ট’-এর মাধ্যমে দেশের একাধিক ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে এমসিএ পড়া যায়। এই পরীক্ষাটিও হয় মে নাগাদ। ১১টি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি এই পরীক্ষার মাধ্যমে ৮২৮টি আসন পূর্ণ করে।
প্রসঙ্গত, নিমসেট পরীক্ষার সঙ্গে জেকার মৌলিক কয়েকটি পার্থক্য রয়েছে। যেমন, জেকাতে অঙ্কের উত্তর কষে দেখাতে হয়। কিন্তু নিমসেট পরীক্ষাটি অবজেক্টিভ ধরনের। অঙ্কে ৪৫ নম্বরের প্রশ্ন, অ্যানালিটিক্যাল এবিলিটি অ্যান্ড লজিক্যাল রিজিনিং-এ ৪০টি প্রশ্ন, কম্পিউটার অ্যাওয়ারনেস-এর উপর ১০ নম্বরের প্রশ্ন এবং সাধারণ ইংরেজির উপর ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। দু’ঘণ্টার পরীক্ষায় ১২০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। নিমসেট-এ বসতে ১০+২ এবং ১০+২+৩ স্তরে ৬০% নম্বর থাকতে হবে। ১০+২+৩ স্তরে থাকতে হবে অঙ্ক, স্ট্যাটিসটিক্স বা বিজনেস ম্যাথ।
পুণে বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে এমসিএ পড়তে আলাদা আলাদা প্রবেশিকা দিতে হয়।


প্রশ্ন: ইতিহাস নিয়ে সাম্মানিক স্নাতক। মুম্বইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস বা টিস-এ স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম পড়তে চাই। কী কী বিষয় পড়া যেতে পারে জানালে উপকৃত হব।


উত্তর: সাম্মানিক স্নাতক হওয়ার পর টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস-এ ১৭টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়া যায়। লিখিত পরীক্ষা, গ্রুপ ডিসকাশন এবং ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে ভর্তি করা হয়। আপনার যোগ্যতায় যে সমস্ত পাঠ্যক্রমে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন, সেগুলির কয়েকটির নাম উল্লেখ করা হল এম এ ইন সোশ্যাল ওয়ার্ক, এম এ ইন সোশ্যাল ওয়ার্ক ইন ডিসেবিলিটি স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যাকশন, এম এ ইন গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড লেবার, এম এ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লেবার রিলেশন্স, এম এ ইন সোশ্যাল অন্ত্রেপ্রেনরশিপ, এম এ ইন কাউন্সেলিং, এম এ ইন উইমেন্স স্টাডিজ, এম এ ইন মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ, এম এ ইন সোশ্যাল ওয়ার্ক ইন রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
এখানে শুধুমাত্র তিনটি পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য এক যোগে আবেদন করা যায়। প্রতিটির জন্য আলাদা লিখিত পরীক্ষা হয়। তবে কোনও পাঠ্যক্রমের জন্য লিখিত প্রবেশিকা পরীক্ষার মোট নম্বর হয়তো ৭০, কোনওটির ৭৫, কোনওটির আবার ১০০। গ্রুপ ডিসকাশন হয় পাঁচটি কোর্সে ভর্তির জন্য। তবে ব্যক্তিগত ইন্টারভিউয়ের জন্য ৭০ নম্বর বরাদ্দ সব পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখে নিতে পারেন www.tiss.edu ওয়েবসাইটটি।

প্রশ্ন: স্পেশ্যাল ক্লাস রেলওয়ে অ্যাপ্রেন্টিস পরীক্ষাটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। কবে পরীক্ষা হয়, কী ধরনের এবং কত নম্বরের প্রশ্ন থাকে ইত্যাদি জানাবেন।

উত্তর: স্পেশাল ক্লাস রেলওয়ে অ্যাপ্রেন্টিস পরীক্ষাটি নেয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। পরীক্ষা হয় জানুয়ারি নাগাদ। যেমন, আগামী ২৯ জানুয়ারি এই পরীক্ষা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ বারের মতো আবেদনপত্র জমার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তবে আগামী দিনেও www.upsconline.nic.inওয়েবসাইটটিতে নজর রাখবেন। পরীক্ষার দিন-সহ যাবতীয় তথ্য পাবেন সেখানে। আবেদনও করতে হয় এই ওয়েবসাইট থেকেই। ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বয়স হলে বসা যায় পরীক্ষায়। অঙ্ক এবং ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রির মধ্যে যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে ১০+২ উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যিক। যাঁরা অঙ্ক নিয়ে স্নাতক তাঁদেরও ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রির মধ্যে একটি বিষয় ১০+২+৩ স্তরে থাকা বাধ্যতামূলক। প্রসঙ্গত প্রথম বা দ্বিতীয় ডিভিশনের নম্বর নিয়ে ১০+২ পাশ করা প্রয়োজন।
প্রথমে হয় লিখিত পরীক্ষা। সফল হলে ইন্টারভিউ। লিখিত পরীক্ষার তিনটি পত্র। নম্বর ৬০০। সময় ছ’ঘন্টা। প্রথম পত্রে থাকে জেনারেল এবিলিটি টেস্ট। সময় দু’ঘণ্টা। এতে ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান এবং মনস্তাত্ত্বিক সংক্রান্ত বিষয়ের প্রশ্ন থাকে। দ্বিতীয় পত্রে থাকে ভৌতবিজ্ঞান। দেওয়া হয় ১০+২ স্তরের রসায়ন এবং পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্ন। তৃতীয় পত্রে থাকে দ্বাদশ স্তরের গণিতের প্রশ্ন। প্রত্যেকটি পত্রই ২০০ নম্বরের। ইন্টারভিউ-ও হয় ২০০ নম্বরের। এর পর তৈরি হয় প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা। দেখুন www.upsc.gov.in ওয়েবসাইট।

ভ্রম সংশোধন



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.