কথাটা বেরোল চাবুকের মতো। “আজমল আমির কাসভকে জেলে নিরাপত্তা দেওয়াটাই আমাদের অগ্রাধিকার। ওকে যাঁরা পাহারা দিচ্ছেন, তাঁদের দরকারটা কী ওর সঙ্গে ২৬/১১ হামলা বা আজ যে সেই হামলার তিন বছর পূর্ণ হল এ সব নিয়ে কথা বলার?” মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের উচ্চপদস্থ কর্তাটি সাফ জানিয়ে দিলেন, ভারতের ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম জঙ্গি হামলার একমাত্র জীবিত কুশীলবকে আজকের তারিখটা সম্পর্কে কোনও কথা বলা হয়নি। এবং আর্থার রোডের বোমা-নিরোধক সেলে বন্দি আজমল আমির কাসভের দিন কেটেছে গতে বাঁধা আর পাঁচটা দিনের মতোই। “দুধ কলা আর পোহা (চিঁড়ের পোলাও) খেল প্রাতরাশে। তার পর দুপুরের খাবারও খেল। আমাদের মনে হয়নি যে ওকে এই ২৬/১১-র তৃতীয় বর্ষপূর্তি নিয়ে কিছু বলা উচিত”, বলছেন জেলের ওই কর্তা। বম্বে হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ‘বিশেষ’ আসামির পাহারায় রয়েছেন ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের জওয়ানরা। কাসভের সামনে ২৬/১১ নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরাও। সে বিষয়ে বলতে গিয়েই জেলকর্তার ওই প্রতিক্রিয়া “আমাদের কাজটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বন্দির সঙ্গে ২৬/১১ নিয়ে কথাবার্তা চালানোর তো দরকার নেই।” ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ তারিখের খবর তাই অন্তত জেলের তরফে পৌঁছয়নি কাসভের কাছে। কোনও ভাবে তারিখটা জানা কি সম্ভব ছিল তার পক্ষে? উত্তর মেলা দুষ্কর।
|
গয়ায় কোবার বাহিনীর সদর দফতরে বিশেষ সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে বিহার সরকারকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিষেণজির মৃত্যুর ঘটনার পরেই এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ কিষেণজির মৃত্যু হয়েছে সিআরপিএফের কম্যান্ডো বাহিনী কোবরার জওয়ানদের হাতেই। পাশাপাশি, বিহারেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজ্য সরকারকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, বিহার মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্য। এই রাজ্যেও মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান জারি রাখতে হবে। সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, কিষেণজির মৃত্যুর ঘটনায় কোবরা বাহিনীর উপর আঘাত হানতে পারে মাওবাদীরা। বিহারে ৩৮টি জেলার মধ্যে ১৬টি-ই মাওবাদী প্রভাবিত। গয়া তার অন্যতম। এই সতর্কতা নিয়ে মগধ ডিভিশনের ডিআইজি এন এইচ খান বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। মাওবাদীরা যাতে এক জায়গায় জড়ো হতে না পারে তার জন্য এই লাগাতার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
|
দু’টো বিয়েই শেষ পর্যন্ত কাল হল ঝঞ্ঝারপুরের সাংসদ মাঙ্গনিলাল মণ্ডলের। জেডিইউ-এর এই সাংসদকে দল-বিরোধী কাজের দায়ে আগেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এবার পটনা হাইকোর্ট শুক্রবার এক রায়ে তাঁর প্রার্থী পদ বাতিল করল। এই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে গোপন রেখেছিলেন। মধুবনি জেলার ওই সংসদীয় এলাকার ভোটার বিষ্ণুদেব ভাণ্ডারি মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর পটনা হাইকোর্ট মাঙ্গনিলালের প্রার্থীপদই খারিজ করে দিয়ে ওই নির্বাচনকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। এই ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কোনও মন্তব্য করেননি। তবে জেডিইউ-এর এক মুখপাত্র বলেন, “দল বিরোধী কাজের জন্য গত বছরেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে দলের কেউ না। আদালতের এই রায় নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য করা ঠিক না।”
|
উন্নয়ন রুখতে আবার সক্রিয় হয়ে উঠল মাওবাদীরা। ঝাড়খণ্ডে একটি সেতুর কাজ বন্ধ করার লক্ষ্যে নির্মাণস্থলে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে দিয়ে মাওবাদীরা পোস্টার দিয়ে গিয়েছে: ‘আমাদের আদেশ ছাড়া কাজ করার শাস্তি’। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে লাতেহার জেলার মহুয়াটাঁড় থানার সারনডিহ গ্রামে বোরো নদীর উপরে একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গত কাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নির্মাণ এলাকায় প্রায় ২৫ জনের একটি দল চড়াও হয়। আগুন ধরিয়ে দেয় নির্মাণ কাজের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দু’টি জেনারেটর, দু’টি মিক্সচার মেশিন, দুটি ড্রিলিং মেশিন এবং একটি পাম্প সেট। পুলিশ জানায়, হামলায় হতাহতের ঘটনা না-ঘটলেও, প্রচুর টাকার সম্পত্তি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার দেওবিহারী শর্মা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া গিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)-র নামে হাতে লেখা কিছু পোস্টার।
|
নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গাঁধীর সভামঞ্চের কাছে কিছু সমাজবাদী পার্টি কর্মী-সমর্থকের ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশে ৫ দিনের নির্বাচনী প্রচার আজই শেষ করেন রাহুল। এ দিন মহারাজগঞ্জে এক সভায় তিনি উপস্থিত হওয়ার পরই সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চের একদম কাছাকাছি চলে আসেন সমাজবাদী পার্টির ১০-১২ জন সদস্য। সে সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাহুল। |
রাহুলের সভায় ধৃত সপা কর্মী। ছবি: পিটিআই |
সম্প্রতি রাহুল মন্তব্য করেন, উত্তরপ্রদেশে কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, এখানকার মানুষদের অন্য রাজ্যে গিয়ে ‘ভিক্ষা’ করতে হচ্ছে। মূলত এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেই আজ স্লোগান দিতে দেখা যায় সপা কর্মী-সমর্থকদের। সেখানে উপস্থিত কংগ্রেস সদস্যরা এর প্রতিবাদ করলে ধস্তাধস্তি বাধে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
|
সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-র হত্যাকাণ্ডে ধৃত জিগনা ভোরার বাড়িতে তল্লাশি চালাল পুলিশ। জিগনার ল্যাপটপ তদন্তকারীরা বাজেয়াপ্ত করেছেন। শনিবার জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিক জিগনাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
জিগনার ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মুুম্বই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হিমাংশু রায়। অন্য এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, জিগনার বিরুদ্ধে আরও সাক্ষ্য প্রমাণ জোগাড় করছে পুলিশ। সে কারণেই তাঁর ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিগনা অফিসে যে কম্পিউটার ব্যবহার করতেন সেটিও পরীক্ষা করা হবে। খতিয়ে দেখা হবে তাঁর লেখা প্রতিবেদনও। |