বাইপাসে ভিড়ের চাপে বাতিল তৃণমূলের মিছিল
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সমর্থকদের ভিড়ে শনিবার দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুব্রত বক্সীর সমর্থনে নির্ধারিত মিছিল বাতিল করতে হল তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বকে। পরিস্থিতি বুঝে মানুষের ‘দুর্ভোগ’ এড়াতে দ্রুত জমায়েতে সরানোরও সিদ্ধান্ত নেন প্রার্থী সুব্রতবাবু। তবে তা করতেও ঘণ্টা দুয়েক লেগে যায়। এ দিন দুপুর ১টা থেকে ই এম বাইপাসে তৃণমূল ভবনের সামনে জমায়েত শুরু করেন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন কারখানার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র কর্মী সমর্থকেরা। বেলা দু’টো নাগাদ সেখানে গিয়ে সুব্রতবাবু দেখেন, জমায়েতের চাপে বাইপাস প্রায় অবরুদ্ধ। ওই জমায়েতেরই মিছিল করে কসবা, রাজডাঙা, বোসপুকুর, ঢাকুরিয়া হয়ে যাদবপুর থানা পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। মিছিল শেষে বক্তৃতা করার কথা ছিল সুব্রতবাবুর। কিন্তু সমর্থকদের ভিড়ে বাইপাসে যানচলাচল ধীর হয়ে গিয়েছে দেখে তৃণমূল ভবনের সামনেই বক্তৃতা করেন সুব্রতবাবু। সমর্থকদের অনুরোধ করেন, “এত মানুষের মিছিল নিয়ে এগোলে দক্ষিণ কলকাতার মানুষের অসুবিধা হবে। প্রবল যানজট হবে। তা কাম্য নয়। তাই মিছিল হবে না। আপনারা দ্রুত নিজের নিজের জায়গায় ফিরে যান।” এর পরে কর্মী-সমর্থকদের ওই ভিড় ফাঁকা করতেও ঘণ্টা দুয়েক লেগে যায় বলে জানিয়েছেন আইএনটিটিউসি-র রাজ্য সভাপতি দোলা সেন। তাঁর বক্তব্য, “মানুষের অসুবিধা করে মিছিল করার বিরোধী আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সুব্রতদার নির্দেশে মিছিল বাতিল করা হয়।” |
মুখ্যমন্ত্রীর মা সঙ্কটজনক |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা গায়ত্রীদেবীর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে শনিবার এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। শ্বাসকষ্ট ও কিডনির গোলযোগের কারণে শুক্রবার দুপুরে তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে তাঁর হিমো ডায়ালিসিস হয়। চিকিৎসকেরা জানান, এখনও তিনি আচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন। এসএসকেএম তথা ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমইআর)-এর অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র জানান, সকালেই গায়ত্রীদেবীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। দুপুরে চলে হিমো ডায়ালিসিস। এ দিনই তাঁর আরও কিছু পরীক্ষাও হয়। ইতিমধ্যেই গায়ত্রীদেবীর চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। বোর্ডের সদস্যেরা শনিবার বেশ কয়েক বার তাঁকে পরীক্ষাও করেন। |
সল্টলেকে বাসের ডিপোয় আগুন |
শুক্রবার গভীর রাতের আগুনে পুড়ে গেল ভূতল পরিবহণের দু’টি বাস। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, রাত পৌনে দু’টো নাগাদ সল্ট লেক সেক্টর ফাইভে ভূতল পরিবহণের ওই বাস ডিপোতে আগুন লাগে। ডিপোর একটি স্টোররুমের পাশে আগুন ধরে ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ডিপোয় ডিউটিতে থাকা কর্মীরা থানা এবং দমকলে খবর দেন। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন গিয়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ক্ষতি হয়েছে আরও তিনটি বাসের। পুড়ে গিয়েছে ডিপোরও বেশ কিছু অংশ। দমকলের অভিযোগ, ওই বাস ডিপোয় ৮০-৯০টি বাস রাখার জায়গা আছে। এ ছাড়াও স্টোর রুম, ওয়ার্কশপ রয়েছে। তবুও অগ্নি নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। দমকলকর্মীদের অনুমান, ডিপোয় রাখা টায়ার-টিউবে কোনও ভাবে আগুন ধরে গিয়েছিল। যে কারণে আগুন নেভাতে দেরি হয়। |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু |
ঠাকুরপুকুরের একটি লোহার গ্রিল তৈরির কারখানায় শনিবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুবীর জানা (১৪)। বাড়ি মহেশতলায়। সে সরশুনার বাঁশপোঁতা এলাকার লিঙ্ক রোডের একটি কারখানায় কাজ করত। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, এ দিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ কারখানার সুইচবোর্ডে প্লাগ লাগাতে গিয়েছিল সুবীর। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শিশু-শ্রমিক বিরোধী আইনের তোয়াক্কা না-করেই ১৪ বছরের ওই কিশোরকে কারখানাটিতে কাজ করানো হত বলে অভিযোগ। |