শিলান্যাসই সার
খড়্গপুরে শুরু হয়নি প্রশাসনিক ভবনের কাজ
দেখতে দেখতে বছর ঘুরেছে। কিন্তু, এখনও শুরুই হল না খড়্গপুর মহকুমার প্রশাসনিক ভবন তৈরির কাজ। অথচ গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর ঘটা করেই শিলান্যাস হয়েছিল। শিলান্যাস করেন তৎকালীন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেন। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের ঘোষণা ছিল, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হবে। কিন্তু, কোথায় কী! মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই ভবন তৈরির জন্য তিন তিন বার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে, কোনও বারই একাধিক ঠিকাদার সংস্থা কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেনি। ফলে, তিন বারই এই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। ফের নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরি বলেন, “এর আগে একাধিক সংস্থা দরপত্র জমা দেয়নি বলেই এই অবস্থা।”
নিজস্ব চিত্র
বছর পনেরো আগে খড়্গপুর মহকুমার পত্তন। আগে এই মহকুমার নাম ছিল মেদিনীপুর সাউথ। ১৯৯৬ সালে পৃথক মহকুমা কার্যালয় হয় খড়্গপুরে। বাসস্ট্যান্ডের কিছু দূরে বেশ কিছুটা জমি-সমেত রেলের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েই সেই কার্যালয় শুরু হয়। এর জন্য প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা করে রেলকে ভাড়াও দিতে হত। মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের পাশাপাশি একাধিক দফতরের মহকুমা কার্যালয়গুলিও আলাদা ভাবে এখানে রয়েছে। এর বাইরেও কিছু দফতর শহরের অন্যত্র রয়েছে। ফলে, সাধারণ মানুষ নানা সমস্যায় পড়েন। একটি কাজের জন্য তাঁদের নানা জায়গায় ঘুরতে হয়। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে একই ছাদের তলায় সমস্ত দফতরকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা হয়। যে জমিতে রেলের বাড়িতে মহকুমাশাসকের কার্যালয় রয়েছে, সেই জমিটি ইতিমধ্যে রেলের কাছ থেকে ৩৫ বছরের জন্য লিজে পেয়েছে রাজ্য সরকার। সেই জমিতেই খড়্গপুর মহকুমার নিজস্ব প্রশাসনিক ভবন গড়ে উঠবে। মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “সাধারণ মানুষের সমস্যা হলেও আগে আমাদের কিছু করণীয় ছিল না। কারণ, জমিটি রেলের হাতে ছিল। এই জমিতে নতুন ভবন তৈরি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। পরে রাজ্য সরকার এই জমি লিজে পাওয়ায় এখানে প্রশাসনিক ভবন তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়।”
কী কী দফতর থাকবে নতুন প্রশাসনিক ভবন ও তার চত্বরে? মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখানে যেমন ট্রেজারি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, ডেপুটি লেবার কমিশনার, রেজিস্ট্রি অফিস থাকবে, তেমনই থাকবে মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, ট্রেজারি পেনশন বিভাগ প্রভৃতি। নতুন ভবন হবে চার তলার। একতলা হবে ২৪১০ বর্গমিটার জুড়ে। বাকি তিনটি তলার পরিসর হবে ২৪৮৭ বর্গমিটার করে। মহকুমা ভবন তৈরির জন্য সব মিলিয়ে বরাদ্দ হয়েছে ৮ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। প্রশাসন সূত্রে খবর, ক’দিন আগে ফের নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ বার চারটি সংস্থা দরপত্র জমা দেয়। এত বড় কাজের ক্ষেত্রে সাধারণত দু’টি পর্যায়ে দরপত্রের প্রক্রিয়া হয়।
পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “এ ক্ষেত্রে প্রথমটিকে বলা হয় টেকনিক্যাল বিড। দ্বিতীয়টিকে বলা হয় ফিনান্সিয়াল বিড।” ওই সূত্র জানাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার টেকনিক্যাল বিড সম্পূর্ণ হয়েছে। ২৩ নভেম্বর ফিনান্সিয়াল বিডের প্রক্রিয়া হবে। ওই আধিকারিক বলেন, “এ বার অবশ্য আর দরপত্রের প্রক্রিয়া বাতিল হবে না। কারণ, চারটি সংস্থার দরপত্র জমা পড়েছে।” পূর্ত দফতরের খড়্গপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার-২ গৌরহরি মালাকার বলেন, “দ্রুত কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.