সংস্কৃতি যেখানে যেমন
নাটকের পৃষ্টপোষক
‘....একটি গরিব মেয়ে হেঁটে যায়, ছেঁড়া ফ্রক, লোকচক্ষুভীতা/ ভয়ে ভয়ে তুমি দ্যাখো/ এই অন্ধকার গ্রামে, কুপী জ্বেলে পাঠকই কবিতা।’রণজিৎ দাশ ‘হাডুডু খেলার মাঠ।’ ওই কবিতার এই স্তবকটি উল্লেখ করা যেতেই পারে লাভপুরের বাসিন্দা সুব্রত নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে। ৭২ ঊর্ধ্ব এই মানুষটি কোনও দিন নাটকে অভিনয় করেননি। মঞ্চে কখনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করেননি। অথচ লাভপুরের জমিদার পরিবারের উত্তরপুষ সুব্রতবাবুর রক্তে বইছে নানা নাটক ও সংস্কৃতি কর্মকাণ্ড। ব্যবসার সূত্রে দীর্ঘদিন তিনি কলকাতার বাসিন্দা। আগে মাঝে মধ্যে বা মাসে দু’বার লাভপুরে যাতায়াত করেছেন। তবে গত জানুয়ারি মাস থেকে লাভপুরেই পাকাপাকি ভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তখন থেকেই তিনি মেতে উঠেছেন নাটক ও সংস্কৃতি চর্চার প্রসারে। সুব্রতবাবুর পূর্বপুরুষদের নাট্যচর্চার ইতিহাস দীর্ঘ। তাঁদের ডাকে কলকাতার প্রখ্যাত নট-নাট্যকার দানীবাবু, অমৃতলাল, রসরাজ প্রমুখ লাভপুরে নাটক করে গিয়েছেন। বাবা, ঠাকুরদার মুখে সে সব কাহিনী শুনেছেন সুব্রতবাবু। তাঁর দাদুর নামে ১৯১৭ সালে গড়ে ওঠা ‘অতুলশিব’ স্থায়ী নাট্যমঞ্চ প্রায় ধ্বংশ হতে বসেছিল। বর্তমানে তা সংস্কারের কাজ চলছে। সুব্রতবাবুর উদ্যোগে এখনও পর্যন্ত সাড়ে সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই বছরই ওই মঞ্চে রবীন্দ্রনাট্যোৎসব পালিত হয়েছে তিন দিন ধরে। প্রায় ৫০ বছর বন্ধ থাকার ধরে বন্ধ পরে রাস উৎসবে ২ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে নৃত্যনাট্য ও নাটক। শুধু অতুলশিব মঞ্চের সংস্কারই নয়, লাভপুরের বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর সংস্কৃতি ভবনে সুব্রতবাবু আর্থিক সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই বাহিনীর কর্ণধার উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী কলকাতার তপন থিয়েটারে আলিবাবা নাটক মঞ্চস্থ করেছে। সে জন্য যাবতীয় আর্থিক সাহায্য করেছেন সুব্রতবাবু। অতুলশিব ক্লাবের প্রবীণ অভিনেতা সুপ্রভাত মিশ্র বলেন, “সুব্রতদাই আমাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এর থেকে বড় নাট্যকর্মী আর কে হতে পারত।”

কবি ভাবনা
তরুণ কবি নাসিম এ আলম এবং তাঁর সহযোগীরা শুধু শৌখিন মজদুরির জন্য কবিতা লেখেন না। তাঁরা সমাজের জাগ্রত নাগরিক বলে এলাকার মানুষদের অভিমত। ‘আমার দেশ আমার সমাজ’ সিরজ নিয়ে কবিতা উৎসব নামে কীর্ণাহার থেকে প্রকাশ করে চলেছেন পুস্তিকা। তাতে যেমন সমাজচেতনা নিয়ে গদ্য রয়েছে, তেমনি কবিতাও প্রকাশিত হয়েছে বিশিষ্ট পরিচিত কবিদের। সাম্প্রতিক পুস্তিকায় প্রকাশিত হয়েছে ‘রাজনীতিহীন সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা, সে কি শুধুই সোনার হরিন!’ তাতে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এবং নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে রিকশা চালকের ছেলেমেয়েরা যে বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল তথা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে তাও সমীক্ষা করে তুলে ধরা হয়েছে।

পাত্রসায়র বাসস্ট্যান্ড সর্বজনীন কালীপুজো কমিটির উদ্যোগে তিন দিন ধরে হয়ে গেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বৈদ্যনাথ স্মৃতি কলাকেন্দ্রের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করেন। শনি ও রবিবার নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সোমবার দুর্গাপুরের শিল্পীদের নিয়ে একটি বিচিত্রানুষ্ঠান হয়। অন্য দিকে, রাইপুর থানার উদ্যোগে শনিবার একটি আদিবাসী নৃত্য প্রতিযোগিতা হয়।
কালী পুজো উপলক্ষে ওন্দার তেঁতুলমুড়ি মিলনী সঙ্ঘের পরিচালনায় হয়ে গেল তিন দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্ঘের সম্পাদক মহাদেব মুখোপাধ্যায় জানান, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তির পাশাপাশি ছিল এক দিনের যাত্রাপালা। ‘একটি পয়সা’ নামে ওই যাত্রাপালার রচয়িতা ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর স্টেশনরোডে বজরং সঙ্ঘের সভাবৃন্দ আয়োজন করেছিল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপলক্ষ ছিল শক্তির আরাধ্য দেবতা বজরংবলীর পুজো।
মানবাজারের রাধামাধব বিদ্যায়তনে নৃত্যম কলাকেন্দ্র আয়োজিত একটি নৃত্যানুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার ওই অনুষ্ঠানে বড়দের পাশাপাশি কচিকাঁচারও যোগ দিয়েছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.