সখ্য শেষ, হাতাহাতি লালবাগ কলেজে
খ্যের মেয়াদ আটচল্লিশ ঘন্টাও টিঁকল না।
সংঘর্ষ দীর্ণ মুর্শিদাবাদের কলেজগুলিতে শিক্ষক দিবসে হাতে হাত ধরে অনুষ্ঠান করে ‘নজির’ গড়ে ছিলেন লালবাগের সুভাষচন্দ্র সেন্টেনারি কলেজের ডান-বাম তিন সংগঠনের ছাত্রেরা। শুক্রবার দুপুরে সেখানেই দু-দল মারমুখী ছাত্রকে ছাড়াতে গিয়ে লাঠি চালাতে হল পুলিশকে।
ওই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ৬ জন সমর্থক জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এ দিন লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আন্নাপ্পা ই বলেন, “কোনও একটি ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা কলেজ গেটের সামনে গণ্ডগোল করছিল। তখন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। লাঠি চালানোর প্রশ্ন নেই। তবে অনেকে পুলিশ দেখেই পালাতে গিয়ে জখম হয়েছেন বলে শুনেছি।”
ওই ঘটনায় জখম তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন শেখ এবং প্রথম বর্ষের দুজন ছাত্র। লালবাগ ব্লক তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, “পুলিশ এলোপাথাড়ি লাঠি চালায়। নুর হোসেনের মাথায় ও পায়ে আঘাত লেগেছে। পুলিশের বুটের লাথি পড়েছে মনসুরের কোমরে। তিন জনের মধ্যে নুর হোসেনের স্যালাইন চলছে।”
কলেজের অধ্যক্ষ প্রভাস সামন্তবাবু বলেন, “কলেজে বাইরের ওই ঘটনা ঘটেছে। ফলে কোন পরিস্থিতিতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।”
লালবাগ কলেজে গণ্ডগোলের পরে। ছবি তুলেছেন গৌতম প্রামাণিক।
লালবাগ কলেজে ছাত্র সংসদ রয়েছে এসএফআই-এর দখলে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পরে ওই কলেজে এসএফআই-এর অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়ে। ছাত্র সংসদের জিএস-সহ এসএফআই-এর বেশ কয়েক জন ছাত্র প্রতিনিধি তৃণমূল ছাত্রপরিষদে যোগ দেওয়ায় ছাত্র সংসদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তারা। এই অবস্থায় ছাত্রসংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রভাসবাবুর সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেন তৃণমূল। প্রভাসবাবু বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের তালিকা আমার কাছে জমা দিতে বলি। এর পরে কলেজ পরিচালন সমিতির কাছে ওই সদস্যদের হাজির করানোর পরেই ছাত্র সংসদ কাদের দখলে থাকবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়।”
আনিসুরের দাবি, “ছাত্র সংসদে ২১টি আসন। কিন্তু এই মুহূর্তে তৃতীয় বর্ষের কোনও ছাত্র কলেজে নেই। ফলে ১৪টি আসনের মধ্যে জিএস-সহ ১০টি আসনে জয়ী প্রার্থী আমাদের দিকে রয়েছে। তাই কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরে উৎসাহিত হয়ে এ দিন প্রায় চারশো মত সমর্থক সবুজ আবির মেখে মুর্শিদাবাদ শহর পরিক্রমা শেষে কলেজে ঢুকতে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের বচসা বাধে। এর পরেই পুলিশ আচমকা আমাদের উপরে লাঠি চালাতে শুরু করে।” তৃণমূল ছাত্রপরিষদের জেলা সভাপতি পার্থ পাল বলেন, “পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনায় ছাত্রপরিষদের উসকানি রয়েছে। তারা দূরে দাঁড়িয়ে পুলিশকে লক্ষ্যকে ঢিল ছোঁড়ে। তার পরেই পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করে। এতে আমাদের ৬ জন সমর্থক জখম হন। ওই কলেজের ইউনিট সম্পাদক সোমনাথ প্রামাণিক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর কথায়, “তৃণমূল ছাত্রপরিষদ আমাদের সমথর্র্কদের উপরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে বহরমপুর থেকে বহিরাগতদের নিয়ে আসছে বলে খবর পাই। তার পরেই সমস্ত সমর্থকদের নিয়ে আমরা কলেজ ছেড়ে চলে যাই। ওই ঘটনায় আমরা কোনও ভাবে জড়িত নই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.