জেলা পরিষদের সভাধিপতি বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের বদলে জেলা হাসপাতাল ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি পদে সাংসদ/বিধায়কদের স্থান দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। নতুন এই নির্দেশকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নতুন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বামেরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের নিরঞ্জন সিহি বলেন, “রাজ্যের ১৪টি জেলা পরিষদে এখনও ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। তাই বামেদের ক্ষমতা খর্ব করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে কাজের অগ্রগতি আটকে যাবে।”
মূলত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের দেখভাল করে থাকে রোগী কল্যাণ সমিতি। জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতিতে এত দিন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ভূমিকাই ছিল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জেলা স্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কমিটির পাশাপাশি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিরও সভাপতি হতেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মহকুমাশাসক। আবার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই পদে থাকতেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। দীর্ঘ দিন পরে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল হলেও ১৪টি জেলায় এখনও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বাম প্রতিনিধিরাই। একই ভাবে অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ রয়েছে বামেদের দখলে। ফলে রাজ্যের অধিকাংশ জেলা হাসপাতাল ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন বাম প্রতিনিধিরা। এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে তৃণমূলের রাজ্য সরকারের সঙ্গে বাম প্রতিনিধিদের সংঘাত বাধার আশঙ্কাতেই সাংসদ/বিধায়কদের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী (২৯ জুলাই, ২০১১), জেলা হাসপাতালে রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি হচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ, কার্যনির্বাহী সভাপতি জেলাশাসক, সদস্য-সচিব জেলা হাসপাতালের সুপার। এ ছাড়াও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ, বিধায়ক, পুরপ্রধান-সহ মোট ১৭ জনকে নিয়ে গঠিত হবে রোগী কল্যাণ সমিতি। একই ভাবে মোট ১৩ জন সদস্য নিয়ে গঠিত ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হচ্ছেন স্থানীয় বিধায়ক। কার্যনির্বাহী সভাপতি পদে বিডিও ও সদস্য-সচিব পদে থাকবেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। দু’টি কমিটিরই কোথাও জায়গা পাচ্ছেন না জেলার সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা।
|
পুজোর আগে তুফানগঞ্জ পুরসভার দরিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী ১৭৮০ পরিবার রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা প্রকল্পের অধীন আসছেন। বুধবার পুর কমিউনিটি হলে শহরের বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের সদস্যদের ওই প্রকল্পের আওতায় আনার কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। মহকুমা প্রশাসন ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ১ ও ২ ওয়ার্ডের বিপিএলভুক্ত পরিবারের ৫ সদস্যের ছবি তোলার পাশাপাশি আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার বাকি ১১টি ওয়ার্ডের বিপিএলভুক্ত পরিবারের ৫ জন সদস্যের ছবি ও আঙুলের ছাপ নেবেন প্রশাসনের কর্মীরা। অগস্টের মধ্যে ১৭৮০টি পরিবারের ৮৯০০ বাসিন্দার ছবি ও ছাপ সংগ্রহ করে স্মার্ট কার্ড বিলির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
|