|
|
|
|
তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বন্ধ কারখানা |
শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল • সাঁতুড়ি |
কারখানার শ্রমিক সংগঠন তাদেরই। অথচ সেই কারখানারই ‘শ্রমিক-স্বার্থে’ আন্দোলনে নেমে পড়েছে তৃণমূল।
এই টানাপোড়েনে একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি ব্লকের মধুকুন্ডা এলাকার এই ঘটনায় পুজোর মুখে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় আড়াইশো শ্রমিকের ভবিষ্যৎ। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, তৃণমূলের আন্দোলনের জেরেই তাঁরা কারখানা বন্ধ করতে ‘বাধ্য’ হয়েছেন। এমনকী তাদের ‘এড়িয়ে’ দলের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আন্দোলনের জন্যই কারখানার শ্রমিকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলেরই শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র। |
|
মজুরির দাবিতে কারখানার সামনে তৃণমূল সমর্থকরা। নিজস্ব চিত্র |
কারখানা সূত্রের খবর, গত ৯ অগস্ট থেকে স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশ শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর আন্দোলন শুরু করে। দাবি ছিল, শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৫৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৮ করতে হবে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা চলাকালীন ১২ অগস্ট আচমকাই কারখানার মূল গেট বন্ধ করে দেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। কারখানার ম্যানেজার অজয় শর্মার অভিযোগ, “বারবার অনুরোধেও তৃণমূলের নেতারা গেট খোলেননি। ফলে ওই দিন কর্মীরা কারখানায় ঢুকতে না পারায় বয়লার, টারবাইনে বড় সমস্যা হতে পারে আশঙ্কা করে পর্যায়ক্রমে ইউনিটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরেও মীমাংসাসূত্র বেরিয়ে না আসায় শেষ পর্যন্ত কারখানায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলাতে বাধ্য হয়েছিলাম আমরা।” কারখানার অন্য এক কর্তার দাবি, “পাঁচ টাকা মজুরি বাড়ানো মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূল নেতারা হঠাৎই অগ্রিম মজুরি দাবি করে বসেন। ফলে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।” শেষে শনিবার ওই নোটিস ঝোলায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
ঘটনা হল, কারখানাটির শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত। তা হলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা এর মধ্যে ঢুকলেন কেন? স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর মূলে আছে দলের দুই শাখা সংগঠনের (শ্রমিক ও যুব) নেতৃত্বের মধ্যে বিবাদ। যুব তৃণমূলের সাঁতুড়ি ব্লক সভাপতি তথা ওই কারখানার আইএনটিটিউসি ইউনিয়নের সভাপতি বাপ্পা মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “কিছু নেতার দায়িত্বজ্ঞানহীন আন্দোলনের জন্যই কারখানায় এই অচলাবস্থা।” |
|
|
|
|
|