হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে বার্জে ওঠার পল্টুন ভেঙে বিপত্তি |
বন্ধ পারাপার, বিপাকে পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নামখানা |
বুধবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় হাতানিয়-দোয়ানিয়া নদীতে গাড়ি পারাপারের পল্টুনটির একাংশ ভেঙে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গাড়ি পারাবপারের ব্যবস্থা। আটকে পড়েছে প্রচুর মালপত্র বোঝাই গাড়ি এবং আটকে পড়েছেন পযর্টকেরা। জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
১৯৯৮ সাল থেকে ভূতল পরিবহণ নিগম পিজি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থাকে নদীর দু’দিকের পল্টুনদু’টি লিজ দেয়। উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই নামখানার দিকের পল্টুনটির এমন অবস্থা কি না জানতে চাওয়া হলে ভূতল পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশিস ঠাকুরের বক্তব্য, “পিজি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থাকে পল্টুন দু’টি লিজ দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল তাদের।”
এ ব্যাপারে ওই সংস্থার স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উজ্জ্বল মিত্র বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি পারাপার করতে থাকা পল্টুনদু’টির মধ্যে নামখানার দিকের পল্টুনটির কোনও সংস্কার হয়নি। তার ফলেই আজ এই অবস্থা। তবে এখন দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা হয়েছে।”
|
|
চলছে মেরামতির কাজ। নামখানায় তোলা নিজস্ব চিত্র। |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বকখালি পর্যটনকেন্দ্র, ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দর যাতায়াতের জন্য দীঘজ্ঞদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও নামখানায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পারাপারের জন্য আজ পযর্ন্ত কোনও সেতু গড়ে ওঠেনি। বরাবরই পর্যটক এবং গাড়ি পারাপারের জন্য স্থানীয় মোটর চালিত নৌকা এবং বার্জই ভরসা।
প্রায় তিনশো মিটার চওড়া এই নদীর একদিকে নামখানা ও অন্যদিকে নারায়ণপুর। ১৯৯৮ সালে রাজ্যের ভূতল পরিবহণ নিগম বার্জে করে গাড়ি পারাপারের জন্য নদীর দু’দিকে পল্টুন (যার উপর দিয়ে জেটি থেকে গাড়ি বার্জে ওঠে) তৈরি করে। এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ভাটার সময় হঠাৎই নামখানার দিকের পল্টুনটি একদিকে কাত হয়ে পড়ে। তার একাংশ ভেঙে যায়। ফাটা অংশ দিয়ে হু হু করে জল ঢুকে পল্টুনটি আরও বসে যায়। ১৬-১৭টি পাম্পের সাহায্যে জল বের করে তড়িঘড়ি পল্টুনটি মেরামতির কাজ শুরু হয়।
এই ঘটনার জেরে সকাল থেকে গাড়ি পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নদীর দু’দিকেই আটকে পড়েছেন প্রচুর মানুষ। যাঁদের মধ্যে রয়েছে অনেক পর্যটকও। আটকে পড়েছে প্রয়োজনীয় মালপত্র বোঝাই প্রচুর গাড়ি। প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরাও। বাড়ি ফিরতে না পারায় অনেক পর্যটককে ফের বকখালিতে হোটেলে ফিরে যেতে হয়। |
|