|
|
|
|
বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার সঙ্গীদের দাপট চাঁপাডাঙায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
তোলাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত এক তৃণমূল নেতার সাগরেদদের সমাজবিরোধীমূলক কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তারকেশ্বরের চাপাডাঁঙা বাজারের দয়ের ধার এলাকার বাসিন্দারা।
তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ওই নেতার দলবল এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাইরে থেকে চোরাই মাল এনে তারা নিজেদের ডেরায় রাখছে। রাতের অন্ধকারে সেই সব চোরাই জিনিসপত্র স্থানীয় কালোয়ারদের কাছে পাচার করা হচ্ছে। ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। পুলিশের কাছে ওই নেতা এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেও কোনও ফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
যে কোনও দিনই দুষ্কৃতীদের এলাকা দখল নিয়ে বড়সড় গণ্ডগোলের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, গত ১৩ই অগস্ট ভোর রাতে এক দল লোক কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের টেলিফোন টাওয়ারের যন্ত্রাংশ পাচার করছিল। সেই যন্ত্রাংশ ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত শেখ সিরাজুলের বাড়ি থেকে এলাকার কয়েকজন কালোয়ারের কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভোর রাতে তা দেখতে পান এলাকার কিছু বাসিন্দা। সকালে বাসিন্দারা শেখ সিরাজুলের বাড়ি ঘেরাও শুরু করেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ওই সব মালপত্রের কাগজ আছে। অভিযোগ, ঘেরাওকারীদের সিরাজুল হুমকিও দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, খবর পাওয়ার পরেও অনেক পরে পুলিশ আসে। তত ক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। বাসিন্দারা এই ঘটনায় যুক্ত শেখ সিরাজুলের বাবা শেখ তাহের এবং অন্য এক কালোয়ার শেখ এবাদ আলিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাঁরা জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকার কিছু লোককে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় মানুষ চাঁপাডাঙ্গায় সমাজবিরোধী কাজ বন্ধ এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় গণস্বাক্ষর সহ অপরাধীদের নামের তালিকা দিয়ে স্মারকলিপি দেন। পুলিশ পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ করেন। চন্দননগরের এসডিপিও তথাগত বসু বলেন, “ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ সঠিক হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”
|
|
|
|
|
|