টুকরো খবর

প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে উঠবে করিমগঞ্জ প্রসঙ্গ
সেপ্টেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অসমের করিমগঞ্জ জেলার সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের ভূমি সংক্রান্ত নথিপত্র দফতরের অধিকর্তা সন্ময়ী বরুয়া। তিনি জানিয়েছেন, দু’দেশের সীমান্ত নিয়ে যে-সব বিবাদ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই তিনি করিমগঞ্জে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসাররা। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সে সময়ে তিনি অসমের করিমগঞ্জ ও ধুবড়ির আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিবাদ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। তাই এই বিষয়ে সমস্ত নথিপত্র তৈরি রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়েও মঙ্গলবার এই বিষয়ে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে মুখ্যসচিব এন কে দাস এবং প্রধান সচিব ভি কে পিপারনানিয়া উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, সামান্য কিছু জায়গা নিয়ে সীমান্ত-বিবাদের দরুন কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ হচ্ছে না। আর পুরো সীমান্ত কাঁটাতারে ঘেরা না গেলে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোও মুশকিল হয়ে পড়ছে।

নগাঁওয়ে ডাইনি অপবাদে খুন
নগাঁওয়ে সালনা চা বাগানে ডাইনি অপবাদে এক মহিলাকে হত্যা করল পড়শিরা। এই ঘটনাকে ঘিরে প্রতিবাদের জেরে জখম হয়েছেন আরও সাতজন। পুলিশ জানায়, কয়েকদিন ধরেই চা বাগনের শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাঁদের সন্দেহ হয়, পাশ্ববর্তী এলাকার কেউ ‘তুকতাক’ করার ফলেই এই কাণ্ড। কাল রাতে চা বাগানের একদল শ্রমিক ‘ডাইনি’ খুঁজতে পাশের বস্তিতে হামলা চালায়। দুই পক্ষে সংঘর্ষের পরে আটজনকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে রূপা বড়ো (৩৭) নামে এক মহিলা মারা যান। পুলিশ পরে অভিযুক্ত চা শ্রমিকদের গ্রেফতার করতে গেলে ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

হুমকি ফোন পেতেন শীলা, দাবি চিঠিতে
তথ্যের অধিকারের জন্য আন্দোলনকারী শীলা মাসুদের হত্যার ঘটনা নতুন দিকে মোড় নিল। মঙ্গলবার ভোপালে নিজের বাড়ির সামনেই অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন অণ্ণা হজারের কট্টর সমর্থক বলে পরিচিত শীলা। বুধবার শীলার হেফাজতে থাকা একটি চিঠি উদ্ধার হয় যেখানে তিনি এক আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের ডিজিপির কাছে। বেশ কিছু দিন আগে লেখা ওই চিঠির বয়ান অনুযায়ী, পবন শ্রীবাস্তব নামে এক আইপিএস অফিসার দু’বছর ধরে শীলাকে টেলিফোনে হুমকি দিতেন। পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি, চিঠিতে এমনই দাবি করেছিলেন ওই আন্দোলনকারী। পুলিশ যদিও বুধবার জানিয়েছে, হত্যার ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে আততায়ী কে বা কারা, কেন খুন করা হল শীলাকে, সে ব্যাপারে এখনও তথ্য মেলেনি। সম্প্রতি অণ্ণার সমর্থনে অনশনে বসেছিলেন শীলা। ফেসবুক, টুইটারেও এই নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হত্যার পিছনে এগুলি কারণ হিসেবে কাজ করছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই অনশনে ফারাক দেখছেন তুষার গাঁধী
অনশন করতেন মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী। করছেন অণ্ণা হজারেও। দুইয়ের মধ্যে বেশ খানিকটা তফাত ধরা পড়েছে মোহনদাসের প্রপৌত্র তুষার গাঁধীর চোখে। তাঁর মতে, মোহনদাস অনশন করতেন শত্রুকে মিত্র করে তুলতে। অণ্ণার অনশন শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্র। এতে একটা মরিয়া ভাব রয়েছে। রয়েছে কিছুটা জনমোহিনী ঝোঁক। আসলে সরকার ও আম-জনতার মধ্যে একটা বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে। যে কারণে, অণ্ণাকে অনেকে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। গাঁধীজি থাকলে কী চোখে দেখতেন অণ্ণার এই আন্দোলনকে? তুষারের জবাব, “বাপু এই চরম অবস্থা তৈরিই হতে দিতেন না। গোড়াতেই (দুর্নীতি) রোগটার বিরুদ্ধে সক্রিয় হতেন, সেটা মারাত্মক আকার নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন না” তবে অণ্ণার আন্দোলনে একটি বিষয় ফের প্রমাণ হয়েছে। তা হল, অহিংসার শক্তি। গোটা পর্বে একটি কাচও ভাঙেননি প্রতিবাদকারীরা। ছোড়েননি একটি ঢিলও। তুষারের মতে, অণ্ণার আন্দোলনের এটাই ইতিবাচক দিক।

ঘুষ নিতে গিয়ে ধৃত অফিসার
এক শিক্ষকের কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন ব্লক শিক্ষা আধিকারিক সীতারাম মাহাতো। বিহারের সহর্ষ জেলার বাঁওয়া-ইতিহারি ব্লকের এই অফিসার স্থানীয় শিক্ষক দিগ্বিজয় কুমারের সার্ভিস বুক খোলার জন্য দু’হাজার টাকা চান। অফিসারের ওই প্রস্তাবে প্রথমে হতবম্ব হয়ে যান শিক্ষক দিগ্বিজয়। স্কুলে ছাত্রদের নীতিশিক্ষা দেওয়া এই শিক্ষক এক জন পদস্থ অফিসারের এমন আচরণ মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টি তিনি রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতরে জানান। এরপরেই ফাঁদ পাতেন ভিজিল্যান্স কর্তারা। হাতেনাতে ধরার পর তাঁকে পটনায় হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ আদালতের সামনে আগামীকাল সীতারাম মাহাতকে হাজির করা হবে বলে ভিজিল্যান্সের এডিজি পি কে ঠাকুর জানান।

চার মাওবাদী ধৃত
উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও মাওবাদীরা তাদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে। গোয়েন্দারা বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন তাদের নিজেদের স্বার্থেই মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার প্রয়াস চালাচ্ছে। গোয়েন্দাদের ওই সন্দেহ যে ভুল ছিল না এ বার তার প্রমাণ মিলল প্রত্যন্ত অরুণাচল প্রদেশেও। অরুণাচল প্রদেশের লোহিত জেলার নামসি থেকে চার মাওবাদী জঙ্গিকে গ্রেফতার করল যৌথবাহিনী। অসম ও অরুণাচলের পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে এই চার জঙ্গি ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অরুণাচলের ওই এলাকায় ধরা পড়া ওই ৪ জঙ্গির কাছ থেকে একটি পিস্তল, বেশ কিছু কার্তুজ, সংগঠনের ছাপানো প্যাড ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে। নামসির এসডিপিও এস বি গোহাঁই জানান, এই চার জন মূলত সংগঠনের জন্য নতুন ক্যাডার নিয়োগ করার উদ্দেশেই কাজ করছিল। ধৃতদের নাম: সঞ্জীব দাদুমনিয়া, লোতিক মারান, দেবজিৎ বড়গোঁহাই ও বিশ্বজিৎ বরুয়া। ধৃত জঙ্গিদের জেরা করা হচ্ছে। উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তারা কী ভাবে এই সম্পর্ক গড়ল জেরা করে সেই রহস্যই উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।

অণ্ণার সমর্থনে বিক্ষোভ দেশ-জুড়ে
উল্টো জামা পরে ঘুরছিলেন আইআইএম বেঙ্গালুরুর ছাত্র মিহির মোগরে! কেন? মিহিরের জবাব, “এটা হল গোটা ব্যবস্থার ভিতরের দুর্নীতিকে বাইরে নিয়ে আসার প্রতীক!” মিহির একা নন। অণ্ণা হজারের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ সারা দিন উল্টো জামা পরে ঘুরলেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আরও অনেক ছাত্রও। আর শুধু ছাত্ররাই বা কেন? খোদ ডিন ত্রিলোচন শাস্ত্রী প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের আবেদন করেছেন, সরকার যত দিন ‘কঠোর’ লোকপাল বিল প্রণয়ন না করছে তত দিন পর্যন্ত এক বেলার খাবার ত্যাগ করতে। বেঙ্গালুরুরই ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স’-এর অন্তত ২০০ পড়ুয়া অণ্ণার সমর্থনে আজ দুপুরের খাবার খাননি। প্রতিবাদীদের ভিড় জমেছিল বেঙ্গালুরুর ফ্রিডম পার্কেও। অফিস ছুটি নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বহু কর্মী। তাঁদেরই এক জন, প্রফুল্ল পাটিল বললেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার এমন সুবর্ণ সুযোগ আগামী একশো বছরেও আসবে না। তাই সব কাজ ফেলেও এসেছি।” অণ্ণার সমর্থনে ছাত্র বিক্ষোভের সাক্ষী রইল অরুণাচল প্রদেশও। আজ প্রায় দু’ঘণ্টা ৫২-এ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এখানকার ছাত্রছাত্রীরা।

মনমোহনের ঢাকা সফরে সঙ্গী মমতা
বাংলাদেশ সফরে তাঁর সঙ্গী হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বুধবারেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ৬-৭ সেপ্টেম্বরের ঢাকা সফরের আমন্ত্রণপত্র এসে পৌঁছয়। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “আমি যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েও দিয়েছি।” তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে কী বিষয়ে আলোচনা হবে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী নিয়ে আলোচনা হবেই।” জানা গিয়েছে, এ ছাড়াও ছিটমহল এবং জল বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

নিজ রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত মোদীর
নিজের সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত কমিশন গড়লেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মোদী সরকার স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা। গুজরাতে সাত বছরে লোকায়ুক্ত নিযুক্ত না হওয়া নিয়েও প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস। মোদী সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, “কংগ্রেসের অভিযোগ নিয়ে সত্য প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। তাই তদন্ত।” কংগ্রেস নেতা শক্তিসিন গোহিলের মতে, এই কমিশন গঠন করে মোদী প্রমাণ করলেন তিনি লোকায়ুক্তকে ভয় পান।

রাজধানীতে আগুন
নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি কামরায় বুধবার রাতে আগুন ধরে যায়। একটি বাতানুকূল থ্রি-টিয়ার কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তখন ট্রেনে যাত্রী না-থাকায় কোনও ক্ষতি হয়নি। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল ভুবনেশ্বর স্টেশনে। তখনই হঠাৎ ওই কামরায় আগুন দেখা যায়। তিনটি কামরা আলাদা করে দেওয়া হয়। দমকলকর্মীরা আগুন আয়ত্তে আনেন। কী ভাবে আগুন লাগল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.