কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি, বিকম পার্ট থ্রি জেনারেল (১+১+১ পদ্ধতিতে) এবং পার্ট টু জেনারেল (২+১ পদ্ধতিতে) পরীক্ষার ফল কাল, শুক্রবার প্রকাশিত হবে। ওই দিন বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস থেকে সংশ্লিষ্ট কলেজের প্রতিনিধিদের গেজেট ও মার্কশিট দেওয়া হবে বলে বুধবার জানান পরীক্ষা নিয়ামক ওঙ্কারসাধন অধিকারী। ওয়েবসাইট এবং এসএমএসেও ফল জানতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। যে-সব ওয়েবসাইটে ফল জানা যাবে, সেগুলি হল: www.wbresults.nic.in, www.exametc.com, www.cuexam.net। এসএমএস মারফত ফল জানার জন্য CUUG লিখে স্পেস দিয়ে ১ (১+১+১ পদ্ধতির জন্য) কিংবা ২ (২+১ পদ্ধতির জন্য) এবং রোল নম্বর লিখে পাঠাতে হবে ৫৪২৪২ নম্বরে। ওয়েবসাইট এবং এসএমএসে শুক্রবার বেলা ১টা থেকে ফল জানা যাবে বলে এ দিন জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ামক।
|
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন্টর গ্রুপ ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দ্রুত মিটে যাবে বলে বুধবার আশ্বস্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মেন্টর গ্রুপ। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন যে, মেন্টর গ্রুপের পরামর্শ মানতে তাঁরা বাধ্য নন। এই প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, ডিএসপি-র প্রবোধ সিংহ বুধবার বিধানসভায় বলেন, “প্রেসিডেন্সির কাজকর্ম নিয়ে মেন্টর গ্রুপের সঙ্গে সংঘাত বাধছে। এ ভাবে তো উন্নয়ন হবে না। আমি নিজে প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন ছাত্র। ওই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি চাই। আপনারা তো চাইছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি হোক, দলবাজি বন্ধ হোক। কিন্তু বিরোধ চললে তো উন্নতিতে বিঘ্ন ঘটবে।” এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মেন্টর গ্রুপের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, সেটা আমরা আলোচনা করে দূর করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, এই ভুল বোঝাবুঝি দ্রুত মেটানো যাবে।”
|
একটি উড়ো ফোনে বুধবার সন্ধ্যায় বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সল্টলেকের সিটি সেন্টারে। সঙ্গে সঙ্গে লোকজনকে বার করে দেওয়া হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় আইনক্সের রাতের শো। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বোমা পাওয়া যায়নি। একটি বাক্সকে ঘিরেই বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেই বাক্সে একটি কম্পিউটারের বই, একটি কলম এবং তিনটি সিডি পেয়েছে বম্ব স্কোয়াড। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সিটি সেন্টারের অফিসে একটি ফোন আসে। ফোনে জানানো হয়, সিটি সেন্টারের ভিতরে একটি রেস্তোরাঁয় বোমা রাখা আছে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সিটি সেন্টারে আসা লোকজন। তাঁদের বার করে দিয়ে প্রাথমিক ভাবে তল্লাশি শুরু করে দেন সিটি সেন্টারের নিরাপত্তাকর্মীরা। যে-নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, পুলিশ সেটি শনাক্ত করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি সেন্টারে অন্যান্য দিনের মতোই ভিড় ছিল। লোকজন ছিল আইনক্সেও। চয়ন ধর নামে এক যুবক বলেন, “হঠাৎই দেখলাম, আলো নিভে গেল। নিরাপত্তাকর্মীরা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে বললেন। শুনলাম, ভিতরে কোথাও বোমা রাখা আছে।” রাতে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে মিলন মেলার সামনে একটি ছাই রঙের স্যুটকেস পড়ে থাকতে দেখে বোমাতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পুলিশ জায়গাটি ঘিরে ফেলে। বম্ব স্কোয়াড পরীক্ষা করে দেখে, স্যুটকেসে জামাকাপড় ছাড়া কিছু নেই।
|
বাইপাসের দু’পাশে কেএমডিএ নিয়ন্ত্রিত পূর্ব কলকাতা উপনগরীর পুরো এলাকা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার জট এখনও কাটেনি। ১০৭ ও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ওই উপনগরী। বুধবার পুরসভা ও কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ১০৭ নম্বর ওয়াডর্ভুক্ত বাইপাসের পশ্চিমাংশের উপনগরী এলাকাটি পুরসভার হাতে তুলে দেবে কেএমডিএ। পরে এলাকায় সুষ্ঠু পরিষেবা গড়তে কেএমডিএ-র তরফে পুরসভাকে দেওয়া হবে ২৫ কোটি টাকা। তবে, দ্বিতীয় দফায় বাইপাসের পূর্ব দিকের উপনগরী এলাকা হস্তান্তরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। পরিকাঠামো গড়তে কেএমডিএ-র কাছে পুরসভার পেশ করা টাকার পরিমাণ নিয়ে দর কষাকষির জন্য তা ঝুলে আছে। তৃণমূল পুর-বোর্ড পূর্ব কেএমডিএ-র কাছে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার আর্জি করে। পুরসভার আর্জি নাকচ করে কেএমডিএ। সরকার বদলে গেলে কেএমডিএ ও পুরসভা সমস্যা সমাধানে নমনীয় মনোভাব নিয়ে এগোয়। এ বিষয়ে বুধবার মেয়র বলেন, “দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। প্রথম দফায় পরিকাঠামো গড়তে কেএমডিএ পুরসভাকে ২৫ কোটি টাকা দেবে।”
|
নাগেরবাজারের সোনার দোকানে লুঠের ঘটনায় গ্রেফতার হল মূল অভিযুক্ত কালু মল্লিক। বুধবার নদিয়ার মদনপুরে কালুর বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, কালু চুরির অভিযোগ স্বীকার করেছে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “চুরি যাওয়া সব গয়না, একটি রিভলভার ও ১৬ রাউন্ড গুলি মিলেছে কালুর কাছে।” মঙ্গলবার আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকার গয়না চুরির পরে দোকানমালিক অজয় দত্ত অভিযোগ করেন, বরখাস্ত হওয়া কর্মচারী কালু ও তার তিন সঙ্গী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এই কাণ্ড ঘটায়। |