লক্ষাধিক টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার ২
ড়বাজার থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার জাল নোট-সহ দু’জনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধৃত রেজাউল করিম ও বাজিউল শেখ মালদহের বাসিন্দা।
এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ওই দু’জন বড়বাজারের একটি বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে কেনাকাটা করতে এলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় ১৭ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। গোয়েন্দারা জানান, জাল নোটের মধ্যে হাজারটি ১০০০ টাকার, বাকিগুলি পাঁচশোর।
এসটিএফ সূত্রের খবর, জাল টাকা মূলত বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আসে। সেখান থেকে বিভিন্ন আড়কাঠি ও এজেন্ট মারফত ছড়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ওই দুই ব্যক্তি মুম্বই থেকে আসা কোনও এজেন্টের কাছে টাকা পৌঁছনোর উদ্দেশ্যে শহরে এসেছিল বলে এসটিএফ জানতে পেরেছে।
উদ্ধার হওয়া টাকার গুণমান দেখেও বিস্মিত গোয়েন্দারা। এসটিএফের এক অফিসার জানান, সেগুলি প্রায় আসলের মতো। কাগজের পুরুত্ব, ছাপা, টাকার গায়ে ‘সিকিউরিটি থ্রেড’ ও তার রং বদলানোর বৈশিষ্ট্যও একই ধরনের। ‘থ্রেডে’ আর বি আই লেখাটিও আসল নোটের মতো বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। পুলিশ জানায়, এই টাকা সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির এজেন্টরা ও-পার থেকে কেনে। গুণমান অনুযায়ী দাম পড়ে ২০ থেকে ৩২ টাকা। তা এ দেশের বিভিন্ন এজেন্টের কাছে বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়।
প্রশ্ন উঠছে, এমন ব্যবসার পিছনে উদ্দেশ্য কী? এসটিএফ সূত্রের খবর, এর আগে বিভিন্ন দেশের গুপ্তচর সংস্থা, মূলত আইএসআই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সরাসরি আর্থিক সাহায্য দিত। কিন্তু কিছু বছর ধরে জঙ্গি সংগঠনগুলি জাল নোটের ব্যবসা করে টাকা জোগাড় করছে।
মূলত ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মুম্বই, অন্ধ্রপ্রদেশে জাল টাকার আড়কাঠিরা ছড়িয়ে পড়ছে। এসটিএফ কর্তারা জেনেছেন, ধৃতেরাও মাস কয়েক আগে হিমাচল প্রদেশে ২৫ লক্ষ টাকার জাল নোট সরবরাহ করেছে। বুধবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করে পুলিশ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.