বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
সর্বজনীন পুজোর প্রতি সরকার এ বার মমতাময়
ই প্রথম কলকাতার দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতার পুজো কমিটিগুলিকে বৈঠকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সমস্যা জানতে চাইলেন। দিলেন নির্দিষ্ট কিছু পরামর্শও।
পুজো কমিটিগুলির বহু দিনের অভিযোগ, প্রশাসনিক বিভিন্ন অনুমতি পেতে তাদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়। হেনস্থা হতে হয়। এক জায়গা থেকেই যাতে সব অনুমতি পাওয়া যায়, তার দাবি এত দিন পূরণ হয়নি। এ দিন মমতা জানিয়ে দিলেন, সব অনুমতিপত্র এ বার এক দরজা থেকেই মিলবে। কী ভাবে, তা তিন দিনের মধ্যেই রাজ্য সরকার জানিয়ে দেবে বলেও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজো কমিটিগুলির আরও অভিযোগ, পুজোয় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সিইএসসি আগাম টাকা নেয়। কিন্তু বিদ্যুৎ খরচ কম হলে পুজো কমিটি টাকা ফেরত পায় না। উত্তর কলকাতার একটি পুজো কমিটির এক কর্তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, বিদ্যুতের উপরে যে সারচার্জ রাজ্য সরকার নেয়, তা মকুব করে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের ভাঁড়ারের অবস্থা খুব খারাপ। তাই সারচার্জ মকুব করা যাবে না। তবে সিইএসসি-র সঙ্গে কথা বয়েছে। ওরা ১০ শতাংশ কম মাসুল নেবে।” বিদ্যুতের মিটার নিয়েও অনেক অভিযোগ ছিল পুজো কমিটিগুলির। মুখ্যমন্ত্রী সে দিকেও নজর দেওয়ার আশ্বাস দেন।
পুজোর সময়ে বিভিন্ন মণ্ডপের সামনে ব্যাপক গাছ কাটার অভিযোগ ওঠে প্রতি বছরই। মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশ বাঁচাতে গাছ লাগানোর আর্জি জানান পুজো কমিটিগুলির কাছে। তিনি বলেন, “যেখানে আপনারা পুজো করছেন, সেখানে এবং পাড়ায় গাছ লাগান। শহর সুন্দর করতেই শুধু নয়, পরিবেশ বাঁচাতেও আরও গাছ প্রয়োজন।”
বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের সঙ্গে পুজো কমিটিগুলির মতপার্থক্য লেগেই থাকে। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলতে অনুরোধ জানান। বিসর্জনের সময়ে চক্র রেলের তার সমস্যার সৃষ্টি করে বলে উত্তরের এক উদ্যোক্তা মমতাকে জানান। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরে বলেন, “বিষয়টা নিয়ে দীনেশদার (রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী) সঙ্গে কথা বলব।”
বর্ষায় শহরের রাস্তাঘাটের অবস্থা অবর্ণনীয়। এ বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনেন পুজো কমিটির সদস্যেরা। দ্রুত রাস্তা ঠিক করার ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে রাজ্যের দমকল, পুর ও নগরোন্নয়ন, বিদ্যুৎ, জনস্বাস্থ্য, পূর্ত দফতরের মন্ত্রীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়। এ ছাড়া, পুলিশ, দমকল-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরাও ছিলেন। ভবানীপুরের একটি পুজো এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা দান করে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.