টুকরো খবর

সততার পুরস্কার পেল দুই পড়ুয়া
১৫ অগস্ট স্কুলের অনুষ্ঠানে এসে পরিচালন সমিতির সম্পাদকের হাত থেকে সোনার গয়না পড়ে গিয়েছিল। খোওয়া যাওয়া সেই গয়না কুড়িয়ে পেয়ে প্রধান শিক্ষকের হাতে দিয়ে দিল ওয়াসিম খান ও সাহিল খান নামে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্র। পুরস্কার হিসেবে সম্পাদকের তরফে ওই দুই ছাত্রকে হাতঘড়ি, কলম, মিষ্টি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের। ওয়াসিমের বাবা সাহিলের বাবার গাড়ি চালক হলেও দু’জনেই খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রধান শিক্ষক প্রমথনাথ ভাণ্ডারীর প্রতিক্রিয়া, “ওয়াসিম খান ও সাহিন খান আমাদের শুধু গর্বিত করেছে তা নয়, বাকি ছাত্রছাত্রীদের কাছে উদাহরণ তৈরি করল।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে স্কুলে এসেছিলেন পরিচালন সমিতির সম্পাদক জয়েশ রাজদেও। অনুষ্ঠান শেষে সকলেই বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। রাতে বাড়িতে দেখেন তাঁর হাতে ওই গয়না নেই। তার পরেই প্রধান শিক্ষককে তিনি বিষয়টি জানান। মঙ্গলবার স্কুলের প্রতিটি ক্লাসঘরে এ ব্যাপারে তিনি নোটিস দিতে অনুরোধ করেন। নোটিস দেওয়ার পরে বিকেলে রাজনগরের ইদগাছার বাসিন্দা ওই দুই ছাত্র প্রধান শিক্ষকের কাছে গয়নাটি জমা দিয়ে যায়। সাহিলের কথায়, “ওই দিন স্কুল চত্বরে গয়নাটি ওয়াসিম পেয়ে আমাকে দেখিয়েছিল। সে বলেছিল কেউ এ ব্যাপারে খোঁজ করলে তাকে যেন জানাই। মঙ্গলবার যখন নোটিস দেওয়া হয় তখন ওয়াসিম স্কুলে যায়নি। নোটিস দেখে গয়নাটি জমা দিয়ে যাই।” জয়েশবাবু বলেন, “আমি ভীষণ খুশি। ভাল কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ওদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।”

দুর্নীতির নালিশ
দরিদ্র মানুষের জন্য আসা চাল, ত্রিপল প্রধান ইচ্ছে মতো বিলি করছেন। এ ছাড়া, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি হয়েছেএই সব অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার রাজনগরের ভবানীপুর পঞ্চায়েতে তালা দিয়েছিল তৃণমূল। পরে বিডিও প্রভাংশু হালদারের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। ঠিক হয়েছে আগামী শনিবার সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে সমস্যার সমাধান খোঁজা হবে। স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত নির্বাচনে ৯টির মধ্যে ৮টিতে জিতে ক্ষমতায় আসে সিপিএম। ১টি আসন পায় তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধীদের গুরুত্ব দেন না প্রধান। বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি হয়েছে। তার উপরে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আসা সাহায্য নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএম প্রধান অর্কেন্দু ঘোষ বলেন, “প্রচুর ত্রিপল দরকার। মাত্র ৩০০টি ত্রিপল এসেছে। ফলে সবাইকে বিলি করা সম্ভব নয়। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই পঞ্চায়েতের কাজ হয়। ত্রিপল, চাল বিলি করার জন্য সর্বদল বৈঠকও ডাকা হয়েছিল।”

কম জল ছাড়া হচ্ছে
বৃষ্টি হলেও বীরভূম জেলায় ফের বন্যার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে জেলা সেচ দফতর। বুধবার বীরভূমের সেচ দফতরের সুপারিনটেন্ডং ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ বলেন, “মঙ্গলবার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলায় গড়ে ৫৩ মিলি মিটারৈ বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলার ব্রাহ্মণী, দ্বারকা ও হিংলো নদীগুলিতে সামান্য পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছে। এ জন্য জেলার কোথাও বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।”

ক্লাস বয়কট
স্বাধীনতা দিবসের দিনে সমস্ত শিক্ষকের উপস্থিতি, শৌচাগার, খেলার মাঠের সংস্কার-সহ ১১ দফা দাবিতে স্কুলে তালা দিয়ে দু’দিন ক্লাস বয়কট করল ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মুরারই থানার মিত্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক সিরাজুল মনির দাবিগুলি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

নতুন প্রধান নির্বাচিত
বোলপুরের রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বুধবার প্রধান নির্বাচন হয়। বোলপুরের বিডিও অমল সাহা বলেন, “নিষ্কৃতী কোঁড়াকে প্রধান হিসেবে নির্বাচন করা হয়।” এই পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে ১৩টি সিপিএম এবং একটি সিপিআই পায়। বোর্ড গঠন করেছিল সিপিএম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সিপিএম প্রধান নিয়তি সরেন-সহ সাত সদস্য বিডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ২৮ জুলাই তাঁদের ইস্তফা গৃহীত হয়। বুধবার প্রধান নির্বাচনের দিন ১১ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের নিষ্কৃতী কোঁড়াকে প্রধান করা হয়।

ট্রান্সফর্মারের দাবিতে ঘেরাও
পনেরো দিন আগে বিকল হয়ে যাওয়া বদলে দেওয়ার দাবিতে বুধবার দুপুরে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির খয়রাশোল শাখায় বিক্ষোভ দেখালেন পারশুণ্ডি গ্রামের কিছু বাসিন্দা। স্টেশন সুপারিন্টেডেন্ট উপস্থিত না থাকায় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত দত্তকে ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার নতুন ট্রান্সফর্মার বসানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারশুণ্ডি গ্রামের দু’টি সংসদের প্রায় ৩৫০০ জন বাসিন্দা বিদ্যুতের জন্য ওই ট্রান্সফর্মারের উপরে নির্ভরশীল। ২ অগস্ট থেকে ট্রান্সফর্মারটি বিকল হয়ে পড়েছে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ট্রান্সফর্মারটি যে বিকল হয়ে যাবে আগে থেকে সংশ্লিষ্ট জানানো হয়েছিল। কিন্তু সে কথায় কান দেওয়া তো দূরের কথা, ১৫ দিন ধরে ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে রয়েছে বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়ে এই পথে হাঁটতে হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে নন্দন তিওয়ারি, সীমান্ত মিশ্র, প্রদীপ গড়াইরা বলেন, “এত দিন ধরে গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ভুগতে হচ্ছে। ব্যবসাও মার খাচ্ছে। ব্যাঙ্ক, পঞ্চায়েত-সহ সমস্ত জায়গা থেকে পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না।” জয়ন্তবাবু বলেন, “জেলায় ট্রান্সফর্মারের ঘাটতি রয়েছে। বর্ধমান থেকে ট্রান্সফর্মার এসে যাওয়ার কথা। ট্রান্সফর্মার এসে গেলেই বদলে দেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.