আত্মঘাতী বধূর নাবালক পুত্রের দায়িত্ব নেবে রাজ্য
‘পুলিশি অত্যাচারে’ আত্মঘাতী বধূ মিঠু দে-র নাবালক পুত্রের পড়াশোনাই নয়, ভরণপোষণেরও দায় নেবে রাজ্য সরকার। শনিবার মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার উমাপাড়ায় মিঠুদেবীর বাড়িতে গিয়ে এই ঘোষণা করেন রাজ্যের পূর্ত প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা।
মিঠুদেবীর স্বামী রাজকুমার দে, গত বুধবার সকালে প্রতিবেশী সুকুমার দে খুনে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই পলাতক। অভিযোগ, ওই ঘটনার জেরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে বুধ ও বৃহস্পতিবার ‘পুলিশি-নিগ্রহের শিকার’ হন মিঠুদেবী। মায়ের সঙ্গে পুলিশ বুধবার সারা রাত কান্দি থানায় আটকে রেখেছিল মিঠুদেবীর ছেলে বছর বারোর সৌরভকেও। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সৌরভ দাবি করেছিল, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি প্রেমাশিস চট্টরাজ-সহ পাঁচ পুলিশকর্মী তাদের বাড়ি গিয়ে মিঠুদেবীকে ‘মারধর’ করেন। শুক্রবার মিঠুদেবীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। এ দিন তাঁদের বাড়িতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সৌরভের বাবা পলাতক, মা আত্মঘাতী। তার দিদিদেরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
পিসির সান্ত্বনা সৌরভকে। গৌতম প্রামাণিকের তোলা ছবি।
বর্তমানে ওই নাবালক ছেলেটি কার্যত অভিভাবকহীন। তার লেখাপড়া ও ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার।” পুলিশ মিঠুদেবীদের বাড়িটি আপাতত ‘সিল’ করে দিয়েছে।
এ দিকে, মন্ত্রীর ওই ‘ঘোষণা’ শুনে মিঠুদেবীদের পড়শি, নিহত সুকুমার দে-র স্ত্রী রেবতীদেবীও দাবি করেছেন, তাঁদের পরিবারের দায়িত্বও রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। ওই বধূটির কথায়, “স্বামী খুন হওয়ার পরে তিনটি শিশু নিয়ে আমিও পথে বসেছি। আমাদের দায়ভার কেন সরকার নেবে না?” বিকেলে এ কথা কানে যেতে সুব্রতবাবু বলেন, “সরকারের কাছে আবেদন করলে রেবতীদেবীর সন্তানদের বিষয়েও যথাযথ বিবেচনা করা হবে।”
গত বুধবার কান্দি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজকুমারের বাড়ি লাগোয়া পুকুর থেকে সুকুমারের দেহ উদ্ধার করা হয়। রাজকুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন রেবতীদেবী। কিন্তু তদন্তে নামা পুলিশকর্মীদের ‘অত্যাচারে’ বধূ আত্মঘাতী হয়েছেন খবর পেয়ে শুক্রবার এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই কান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি-সহ অভিযুক্ত ৫ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা। শনিবারেও রাজকুমার এবং সুকুমার দে-র বাড়িতে সরেজমিন তদন্তে যান জেলার দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার এ দিন বলেন, “রাজকুমারের খোঁজ চলেছে। সুকুমারবাবু এবং মিঠুদেবীর অপমৃত্যুর তদন্তও চলছে।” মন্ত্রী বলেন, “পুলিশ অপশাসনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তাই কান্দির মতো পুলিশি-অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। আমাদের সরকার এমন ঘটনা বরদাস্ত করবে না।”

রাজমিস্ত্রি পরিচয় দিয়ে চুরি
কলকাতার বিধান নিবাসের পর এ বার নদিয়ার কৃষ্ণনগর। রাজমিস্ত্রি পরিচয় দিয়ে শনিবার দুপুরে শহরের শক্তিনগর ডোমপাড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় এক দুষ্কৃতী। ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী লাভলি সাহাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বেশ কিছু সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “ওই মিস্ত্রি দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে কাজ করছিল। এ দিন বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে সে ওই কাজ করেছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।” ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে মাস দেড়েক ধরে কাজ চলছে। এ দিন কাজ বন্ধ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই মিস্ত্রি কাজের সরঞ্জাম নিতে আসে। লাভলিদেবী ঘরে ঢুকলে ওই মিস্ত্রি তাঁর গলায় দা ধরে সোনার গয়না ছিনিয়ে নিয়ে আলমারির চাবি চায়। তা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই দুষ্কৃতী লাভলিদেবীর মাথায় দা দিয়ে আঘাত করে। ধস্তাধস্তিতে আহত হন তিনি। জখম লাভলিদেবী শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি।
First Page First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.