|
|
|
|
তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সশস্ত্র মিছিলের পাল্টা ভাঙচুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
সশস্ত্র মিছিলের পাল্টা হিসেবে অফিস ভাঙচুর। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত বর্ধমানে।
অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে বর্ধমান শহরে লাঠিসোঁটা-রড নিয়ে মিছিল করেছিল তৃণমূলের লোকজন। রাতে ম্যান্ডেলা পার্কে তাদের বসার ‘অফিস’ ভাঙচুর করে অন্য গোষ্ঠী।
শনিবারই শহরে এসে বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক। তিনি বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে দু’পক্ষের দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সাসপেন্ড বা বহিষ্কারও করা হতে পারে।”
শুক্রবার সশস্ত্র মিছিলে বাধা দেওয়া দূরে থাক, তাদের পিছনে ঘুরে ‘শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা’ করেছিল পুলিশ। |
|
ম্যান্ডেলা পার্কের এই ঘরটিতেই বসত তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী। ছবি উদিত সিংহ |
বর্ধমান শহরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এ দিন পুলিশকে কড়া হাতে রাশ ধরতে বলেছেন। কার্জন গেট ও ম্যান্ডেলা পার্ক এলাকায় র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।
যাঁর নেতৃত্বে সশস্ত্র মিছিল করা হয়েছিল, সেই শিবনাথ ঘোষ অবশ্য পরিস্থিতি বুঝে কিছুটা সতর্ক হয়েছেন। শুক্রবার মিছিলের পরে তাঁরা বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে থানায় স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ম্যান্ডেলা পার্কে যে ঘরে তাঁরা বসেন, দলেরই কিছু লোক সেখানে হামলা চালায়। ওই লোকেরা সদ্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে বলেও দাবি করা হয়। রাতে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরে সাড়ে ১০টা নাগাদ অপর গোষ্ঠীর নেতা উত্তম সেনগুপ্তের নেতৃত্বে ম্যান্ডেলা পার্কের ওই ঘরে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু শিবনাথবাবু এ দিন আর নিজে অভিযোগ করতে যাননি। বরং তিনি যে স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবের প্রভাবশালী কর্তা, সেটির ক্রিকেটার ও কোচিং ক্যাম্পের তরফে বর্ধমান থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, উত্তমবাবুর অনুগামীরা ক্যাম্পের অফিসে ঢুকে টিভি, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা ছাড়াও প্রায় ছ’ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। উত্তমবাবু অবশ্য বলেন, “মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলামই না।” বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “বর্ধমান থানাকে বলা হয়েছে, যে কোনও অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা শক্ত হাতে রুখতে হবে।” |
|
|
|
|
|