অন্যত্রও কাজ ভাগ
শুধু হাসপাতালের বিশেষ দায়িত্বে পূর্ত ইঞ্জিনিয়ার
হাসপাতাল হোক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সব ক্ষেত্রেই পূর্ত দফতরের কাজে ঢিলেমি নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মুশকিল আসানে হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। শুক্রবার তিনি এই নিয়ে বৈঠক করেন পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সীর সঙ্গে। সেখানে ঠিক হয়েছে, পূর্ত দফতর হাসপাতাল-সহ যে-সব ক্ষেত্রে কাজ করে, প্রতিটি বিভাগে এক জন ইঞ্জিনিয়ারকে বিশেষ ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। যেমন হাসপাতাল সংক্রান্ত কাজ দেখার দায়িত্ব দেওয়া হবে এক জন এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে। তিনি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও পূর্ত বিভাগের কাজ দেখবেন না। শুধু কলকাতা নয়, প্রতিটি জেলাতেও এই ধরনের একটি করে পদ থাকবে।
এরই সূত্র ধরে সব ক্ষেত্রেই দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার কথা ভাবছে পূর্ত দফতর। অর্থাৎ শুধু হাসপাতাল নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আদালত, সড়ক-সহ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রেই এক জন করে এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। দেখভালের জন্য বৈঠকে পৃথক কমিটি তৈরিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারেরাও ছিলেন।
প্রতিটি হাসপাতালে পূর্ত দফতরের একটি করে অফিস আছে। সেখানে কর্মী থাকলেও তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। অথচ হাসপাতাল ভবনগুলির হাল অনেক ক্ষেত্রেই বেশ খারাপ। কোথাও পলেস্তারা খসে পড়েছে, কোথাও বা ছাদ চুইয়ে জল পড়ে। হাসপাতালের পাইপ ফেটে জল পড়ার ছবি তো আকছারই দেখা যায়। হাসপাতাল বা আদালতের নতুন বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে থাকছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার যোগাযোগ করেও বন্ধ কাজ চালু করতে পারছেন না। কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। নানা ব্যস্ততায় তাঁরাও সব সময় চটজলদি সমাধান করতে পারেন না। ফলে হাসপাতালের সুপার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বিশেষ করে বিভিন্ন হাসপাতালের দুরবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও ভূরি ভূরি অভিযোগ আসছে। পূর্তমন্ত্রীর সঙ্গে আগেও বৈঠকে বসে মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তখনই তিনি হাসপাতালে পূর্ত দফতরের কাজের জন্য আলাদা একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলেন। এই ব্যাপারে দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিতে চান তিনি। যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সরকারি দফতরে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ঘুরতে না-হয়।
পূর্ত দফতরের এক কর্তার কথায়, “এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে পূর্ত বিভাগের কাজে গতি আসবে।” শুধু হাসপাতাল নয়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের পক্ষেও কাজ করানো অনেক সহজ হবে। পূর্ত দফতর ঠিক করেছে, এই বিভাগের যে-সব কর্মী অন্য দফতরে ডেপুটেশনে আছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে। তাতে দফতরে কর্মীর অভাবও মিটবে।
Previous Story Swasth Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.