ডাকঘর

বিস্মৃত নলিনী বাগচি
মুছে গিয়েছে স্মৃতিস্তম্ভের লেখাও।
শহিদ স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মের শতবর্ষ পরেও পনেরোটা বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল নীরবেই। তবুও আমরা মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ আমাদের জেলার নমস্য ভূমিপুত্র নলিনী বাগচিকে ক’জনই বা মনে রেখেছি! ১৮৯৬ সালে ধুলিয়ান পুরসভা এলাকার কাঞ্চনতলায় তাঁর জন্ম। মৃত্যু ১৯১৮ সালের ১৫ জুন। তাঁর পিতা ভুবনমোহন বাগচি নদিয়া জেলার শিকারপুর থেকে কর্মসূত্রে কাঞ্চনতলায় এসেছিলেন। নলিনী বাগচির ডাকনাম ছিল ‘পচা’। কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইন্সটিটিউশান নামের উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তাঁর ছাত্র জীবনের প্রথমভাগ কাটে। নলিনী বাগচি অনুশীলন সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯১৬ সালের অক্টোবর থেকে পুলিশের খাতায় তিনি ফেরার ছিলেন। সহকর্মীদের নিয়ে অসমের এক প্রান্তে গোপন আস্তানা গড়ে তোলেন তিনি। পুলিশ সেখানে হানা দিলে দু’পক্ষে সংগ্রাম শুরু হয়। গোটা কয়েক রাইফেল ও পিস্তল সম্বল করে পুলিশের দুর্ভেদ্য বেষ্টণী ভেদ করে প্রবোধ দাশগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে পলিয়ে যান। সারা শরীরে গুটি বসন্ত নিয়ে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার গড়ের মাঠে শুয়ে থাকেন। সেখান থেকে তখন তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বিপ্লবী সতীশচন্দ্র। তাঁকে পাঠানো হয় ঢাকার কলতা বাজারের বিপ্লবী সংগঠনে। সেখানে বিপ্লবী তারিণী মজুমদারের সঙ্গে নলিনীর যোগাযোগ ঘটে। শেষ পর্যন্ত ওই গোপন ডেরায় হানা দিয়ে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী তাঁদের ঘেরাও করে ফেলে। তারিণীবাবু পুলিশের গুলিতে শহিদ হন। এবং নলিনী বাগচি রক্তাক্ত অবস্থায় ধরা পড়েন। পুলিশ তাঁর প্রকৃত পরিচয় জানার জন্য তাঁকে নানা ভাবে প্রলুব্ধ করলে তিনি যে ভাষায় গর্জে উঠেছিলেন তা আজও মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য বিপ্লবীদের তেজ ও চরিত্রের মাধুর্য্যের কথা স্মরণ করায়। বৃটিশ পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, “স্টপ ডগ! ডোন্ট ডিস্টার্ব মি। লেট মি ডাই ইন পিস!” আগামী শুক্রবার তাঁর প্রয়াণ দিবস।
খানাখন্দে ভরা সড়কপথ
মুর্শিদাবাদের জেলাসদর বহরমপুর ও বীরভূমের জেলাসদর সিউড়ির মধ্যে যোগাযোগের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কটি কান্দি শহরের উপর দিয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কপথটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। কান্দি থেকে থেকে আন্দি পর্যন্ত সড়কপথটির বেহাল দশাকে হার মানিয়েছে আন্দি থেকে কোটাসুর পর্যন্ত দূরত্বটা। আন্দি থেকে কোটাসুর পর্যন্ত পথে পিচ-পাথরের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। খানাখন্দে ভরা ওই সড়কপথে গাড়ি চলছে দুলকি চালে নাচতে নাচতে। হামেশাই গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকছে ওই ভাঙাচোরা রাস্তার উপর। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, কান্দি থেকে কোনও ভাড়াগাড়ি সাঁইথিয়া যেতে চাইছে না। এই পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে নির্বাচিত পূর্ত দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।
বেহাল রাস্তায় বাস বন্ধ
আন্দি বাইপাস থেকে হাজিপুর-মল্লারপুর সড়কপথটি বছর খানেকেরও বেশি সময় ধরে ভীষণ রকমের বেহাল অবস্থায় রয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় রাস্তার চিহ্ন নেই, যেন পুকুর বা ডোবা। ওই সড়কপথের বীরভূম এলাকার অংশটি বর্ষার আগেই মেরামত করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের অংশ বর্ষায় খানাখন্দে রূপান্তরিত হয়েছে। রাস্তার ওই অংশটি এতটাই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে যে, ওই রুটের যাত্রীবাহী বাস গুলো বর্তমানে বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত বলা যায়, ডাকবাংলা-কুলি-পাঁচগ্রাম বাদশাহি সড়ক এবং বহরমপুর-কান্দি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কের বেহাল দশার কারণে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই চিঠি।
হাঁটু-কাদা পেরিয়ে নিত্যযাত্রা
আমাদের গ্রামের নাম খেঁকুল। নবগ্রাম থানার কিরীটেশ্বরী অঞ্চলের মাঝারি মানের একটি গ্রাম। সংখ্যালঘু ও তফসিলি জাতি সমৃদ্ধ ওই গ্রামটির অধিকাংশ বাসিন্দাই নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র। বিত্তশালী লোকের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। ওই গ্রামের দক্ষিণে ২ কিমি ও উত্তরে এক কিমি দূরে পিচরাস্তা রয়েছে। কিন্তু ওই দু’টি সড়কপথে যেতে হলে বর্ষার সময় কাদায় হাঁটু ডুববেই। কারণ, দু’দিকের ওই দু’টি পিচ-পাথরের সড়কপথে যেতে হলে ৩ কিলোমিটার মোরাম বিছানো রাস্তা ছাড়া উপায় নেই। অথচ ওই মোরাম বিছানো রাস্তা বর্ষার সময় কাদায় ডুবে যায়। ওই গ্রামে একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের উপর ওই এলাকার ৮-১০টি গ্রামের শিক্ষাদীক্ষা নির্ভরশীল, বিশেষত মেয়েদের। বর্ষার সময় ওই সব ছাত্রছাত্রীদের দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে ওই ৩ কিলোমিটার রাস্তা পিচ-পাথর দিয়ে মুড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই।
ট্রেনে বৃহন্নলার দাপট
শিয়ালদহ-লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে শুরু হয়েছে ‘বৃহন্নলার জুলুম’। ট্রেনে উঠেই তারা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা চায়। টাকা না দিতে পারলে অশ্রাব্য গালি দেওয়া থেকে ‘গায়ে হাত’ দেওয়া পর্যন্ত কিছুই বাদ রাখে না। রেলপুলিশ ও রেলকর্মীদের নীরব দর্শকের ভূমিকা ‘বৃহন্নলার জুলুম’ আরও বাড়িয়েছে।
Previous Story Murshidabad First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.