টুকরো খবর

আস্থা ভোটে সিপিএম প্রধানের হার সাঁইথিয়ায়
শরিক এবং দলীয় সদস্যদের আনা অনাস্থায় পদচ্যুত হলেন সিপিএম প্রধান। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়া ব্লকের শ্রীনীধিপুর পঞ্চায়েতে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে বিরোধী তথা তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। ২০০৮-এর নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৭, ফরওয়ার্ড ব্লক ২টি আসন পায়। প্রধান এবং উপপ্রধান হন যথাক্রমে সিপিএমের দিলীপকুমার মণ্ডল ও ইলিসা বাস্কী। প্রধানের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে ২৮ জুন উপপ্রধান-সহ সিপিএমের ৩ এবং ফব-র ২ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। পরে তাঁরা বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। এ দিন ব্লক পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক দেবজ্যোতি বড়ালের উপস্থিতিতে ৯ জন সদস্যই ভোটাভুটিতে যোগ দেন। প্রধানের বিপক্ষে যায় ৫টি ভোট। উপপ্রধান ইলিসা বাস্কীর অভিযোগ, “প্রধান উন্নয়নমূলক কাজে আমাদের গুরুত্ব দিতেন না। দলীয় নেতাদের নির্দেশ মতো কাজ করতেন। তাই আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছি এবং অনাস্থা এনেছি।” একই বক্তব্য ফব-র নিখিল দাস-সহ বাকি সদস্যদের। তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি রাজেন্দ্রনাথ চন্দ্র বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত নিয়ে কাজকর্ম হবে। বাইরে থেকে কোনও নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়া হবে না।” পদচ্যুত প্রধান দিলীপবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কোনও ব্যাপারেই আমার মতান্তর হয়নি।” তাঁর দাবি, “চাপে অথবা প্রলোভনে পড়েই তাঁরা অনাস্থা এনেছেন বলে মনে হয়।” সাঁইথিয়ার বিডিও উৎপল চক্রবর্তী বলেন, “ফব-র ২ এবং সিপিএমের ৩ জন সদস্যের ভোটে প্রধান পদচ্যুত হয়েছেন। আপাতত উপপ্রধানকে পঞ্চায়েত পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

নলহাটি কলেজে অনশন
ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
সংস্কৃত ও ভূগোল অনার্স চালু করা-সহ নানা দাবিতে শুক্রবার দুপুর থেকে নলহাটি হিরালাল ভকত কলেজের মূল গেটে অনশন শুরু করলেন কয়েক জন ছাত্র। ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক রহিত প্রসাদ বলেন, “ওই দু’টি বিষয়ের অনার্স চালু করা ছাড়া, শারীর শিক্ষা ও আরবি বিষয়কে সাধারণ পাশকোর্সে রাখতে হবে। আবেদনকারী সমস্ত ছাত্রকে ভর্তি নিতে হবে। নানা দাবিতে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছি। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল।” অধ্যক্ষ নুরুল হুদা বলেন, “তাদের দাবির বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।” তিনি জানান, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে সংস্কৃত ও ভূগোল সাধারণ কোর্সের মধ্যে চালু আছে। সংস্কৃততে ১ জন আংশিস সময়ের শিক্ষক আছেন। আর ভূগোলে ২ জন তফসিলি শিক্ষক আছেন। দু’টি বিষয়ের পূর্ণ সময়ের শিক্ষক নেই। তিনি বলেন, “সমস্ত বিষয় নিয়ে ১২ জুলাই কলেজের গভর্নিংবডির বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে ছাত্রদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”

পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ
বিভিন্ন অভিযোগে শুক্রবার মুরারইয়ের রাজগ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল এসইউসি। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রফিকুল হাসানের অভিযোগ, “গ্রামীণ জল সরবরাহ প্রকল্পের মাধ্যমে এই পঞ্চায়েতের যে সব বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছানোর কথা, বর্তমানে তা বন্ধ। বেশিরভাগ নলকূপ খারাপ। গোপালপুরের ৪৪টি দুঃস্থ পরিবারের নাম চক্রান্ত করে বিপিএল তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ডিলারের উদাসীনতায় ওই গ্রামের বহু লোকের রেশনকার্ড তৈরি হয়নি।” পঞ্চায়েত প্রধান, সিপিএমের আনোয়ার হোসেন বলেন, “জল সরবরাহ ব্যবস্থা সত্যিই খারাপ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে বিপিএল তালিকা থেকে প্রকৃত প্রাপকদের নাম কেন বাদ গিয়েছে জানি না। রেশন কার্ড নিয়ে খাদ্য নিয়ামকের সঙ্গে কথা বলেছি।”

অপহরণের নালিশ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগে শুক্রবার রামপুরহাট থানার মাসড়া গ্রামের এক বধূকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও দু’জন পলাতক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জুলাই সকালে মাসড়া গ্রামের এক কিশোরী মল্লারপুরে টিউশন পড়তে গিয়ে আর ফেরেনি। ওই কিশোরীর বাবা রামপুরহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি এবং অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। শুক্রবার পুলিশ ওই গ্রামেরই এক বধূকে গ্রেফতার করে। তাঁর স্বামী ও ছেলেকে খোঁজা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে ধৃত
বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে গোলাম মোর্তাজা নামে মুরারইয়ের হরিশপুর এলাকার একটি কারখানার মালিককে বুধবার পুলিশ গ্রেফতার করে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানীর মুরারই সার্কেলের কর্মীরা ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
Previous Story Purulia Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.