খবর এক মুঠো
ভিতরকণিকা জাতীয় অভয়ারণ্যে এক ঝাঁক বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখির সন্ধান পেয়েছিলেন ওড়িশার বন দফতরের কর্তারা। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর পরিযায়ী পাখি এখানে কিছুটা কম এসেছিল। যে পাখির দলটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেটি মধ্য এশিয়ার কোনও একটি অঞ্চল থেকে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পাখির এই নতুন দলটি কোন প্রজাতির তা নিয়ে গবেষণা হবে বলে জানান রাজনগর ম্যানগ্রোভ বন দফতরের ডিএফও।

১৮৩৫ সাল। রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি এলাকায় কয়লা খনন শুরু করেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। এই ব্যবসায় তাঁর অংশীদার ছিলেন ইংরেজ বন্ধু উইলিয়ম কার। কোম্পানির নাম হয় কার টেগোর কোম্পানি। খনির কাজ দেখাশোনার জন্য খনি সংলগ্ন একটি উঁচু জমিতে বাংলো তৈরি করান দ্বারকানাথ। এখানেই তিনি থাকতেন। কথিত আছে, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে বালক রবীন্দ্রনাথ-ও বেশ কয়েক বার আসেন পিতামহের এই বাংলোয়। কলকাতা-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়লা পরিবহণের জন্য খনি সংলগ্ন দামোদর নদে একটি জেটি বানিয়েছিলেন তিনি। সে সময় নৌকা করে কয়লা পরিবহণ হত। প্রায় ১৮০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ওই খনি-বাংলো আর জেটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তারই অবশিষ্টাংশ সংরক্ষণ করে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি তুলেছেন রানিগঞ্জের বাসিন্দারা।

পৃথিবীর অন্যতম প্রধান উৎকৃষ্ট মানের সভ্যতা সুমেরীয়। প্রাচীন ইরাকে সুমেরীয় সভ্যতার কোলে বেড়ে ওঠা ছোট্ট শহর উর। ইরাকের সমৃদ্ধশালী শহরের মধ্যে একটি। আনুমানিক পাঁচ হাজার বছরেরও আগে প্রধানত দক্ষিণ ইরাককে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল সুমেরীয় সভ্যতা। সম্প্রতি ইতালি ও ইরাকি প্রত্নতাত্ত্বিকেরা সুমেরীয় শহর উর-এ খনন কার্যের সময় একটি প্রাচীন মন্দিরের সন্ধান পান। পরীক্ষা করে জানা গেছে সেটি খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ অব্দের। এখনও পর্যন্ত মন্দিরের একটি দেওয়াল তাঁরা উদ্ধার করতে পেরেছেন। সেই সঙ্গে বেশ কিছু কবরস্থলও পাওয়া গেছে যা সেই সময়েরই বলে অনুমান করা হচ্ছে। অন্য দিকে, ইরাকের দক্ষিণের শহর নাসিরিয়াতে একদল মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিক সমৃদ্ধশালী মেসোপটেমিয়া সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান। উর-এ অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে বিশ্বের ‘প্রত্নতত্ত্বের জাদুঘর’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে এই শহরকে।

উরস উৎসবকে ঘিরে চিরাচরিত উৎসাহ-উদ্দীপনার ছবি দেখা গেল মেদিনীপুর শহরে। উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ট্রেন এসে পৌঁছয় মেদিনীপুরে। ও-পার বাংলার মানুষদের অভ্যর্থনা জানাতে স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরপ্রধান প্রণব বসু, উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি প্রমুখ। বিশেষ ট্রেনে এ বার ১৮৬৫ জন এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ১০৮৩ জন পুরুষ, ৬৯৬ জন মহিলা ও ৮৬টি শিশু। শুধু ও-পার বাংলাই নয়, এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ এসেছিলেন শহরে। মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদে প্রতি বছর ৪ ফাল্গুন এই দিনটি পালন করা হয়। সাধক সুফি সৈয়দ শাহ মুরশেদ আলি আলক্কাদরি আল বাগদাদি আলাজাদ্দেহি-র ১১১ তম উরস হয়েছে এ বার। এই উপলক্ষে শহরে মেলাও বসেছিল। বাংলাদেশের রাজবাড়ির ‘আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়া’র সভাপতি ইরাদত আলি বলেন, “১৯০২ সাল থেকে এই ট্রেন আসছে।” উরস উৎসব ঘিরে মেদিনীপুর শহরে দুই বাংলা যেন মিলেমিশে একাকার।

দুই দশক পরে পবিতরা অভয়ারণ্যে পাখি সুমারি হল। মিলল ২৬টি প্রজাতির ১২ হাজার পাখির সন্ধান। গণনায় পরিযায়ী ও স্থানীয় দুই ধরনের পাখিরই হিসাব নেওয়া হয়েছে। সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে ‘লেসার হুইলসিং ডাক’। তাদের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। প্রচুর কমন টিল, সাদা আইবিস, বৈকাল টিল, ‘গ্রে ল্যাগ গুজ’, বার হেডেড হাঁসের দেখা মিলেছে। ৩৮.১৯ বর্গ কিলোমিটারের এই অভয়ারণ্যে ৮২টি গন্ডারের বাস। রেঞ্জার মুকুল তামুলি জানান, অভয়ারণ্যের তামুলিডোবা, পাগলাডোবা, লম্বাডোবা, হাসচরা, নলতলি ও যোগদল জলাশয়ে সমীক্ষার কাজ হয়েছে। বছর দুই আগে বিলগুলিতে ড্রেজিং-এর কাজ শুরু হয়। তামুলির মতে, জলাশয়ের গভীরতা বৃদ্ধির ফলে পবিতরায় পাখির সংখ্যা বেড়েছে। শেষ বার ১৯৯৩-৯৪ সালে পাখি সুমারি হয়েছিল।

নবাবি আমলে সময় জানাতে বাজানো হত এই ঘণ্টা।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যা আজ নষ্ট হতে বসেছে।
বহমরপুর শহরে গৌতম প্রামাণিকের তোলা ছবি।

রাজ্যের তিনটি অভয়ারণ্যে গন্ডার-সুমারি শুরু হতে চলেছে। কাজিরাঙা, ওরাং জাতীয় উদ্যান ও পবিতরা অভয়ারণ্যে ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী গন্ডারের সংখ্যা যথাক্রমে ২০৪৮, ৮৪ ও ৬৪টি। বনকর্তাদের আশা, তিন বছরে বেশ কিছু গন্ডার স্বাভাবিক ভাবে বা শিকারিদের হাতে মারা গেলেও, গন্ডারের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ‘রাইনো ভিশন-২০২০’ প্রকল্পের অধীনে আগামী ৮ বছরের মধ্যে রাজ্যে গন্ডারের সংখ্যা ৩০০০ হওয়ার কথা। কাজিরাঙা, পবিতরা এবং ওরাং ছাড়া মানসেও গন্ডারের নতুন আবাস গড়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে পবিতরা থেকে ১০টি ও কাজিরাঙা থেকে ৩টি গন্ডার মানসে ছাড়া হয়েছে। বনবিভাগ ও ডব্লিউটিআই কাজিরাঙা থেকে মানসে আরও ১০টি গন্ডারকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

রাঢ়বঙ্গ লোকসংস্কৃতি উৎসব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল পুরুলিয়ায়। উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের রাজ্য কমিটির সদস্য নিয়তি মাহাতো বলেন, “পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বর্ধমান, বীরভূম ও দুই মেদিনীপুরের শিল্পীরা উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। দু’দিন ধরে চলা রাঢ়বঙ্গ লোকসংস্কৃতি উৎসবে পুরুলিয়ার পাতা নাচ, বুলবুলি নাচ, সারপা নাচ, ঝুমুর গানের পাশাপাশি বীরভূমের বাউল গান, পশ্চিম মেদিনীপুরের লোধা নাচ, বাঁকুড়ার রন-পা, পূর্ব মেদিনীপুরের পুতুল নাচ প্রভৃতি ছিল।” মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “পুরুলিয়াতে এই প্রথম রাঢ়বঙ্গ লোকসংস্কৃতি উৎসব পালিত হচ্ছে। এই ছয় জেলার লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারই এই উৎসবের উদ্দেশ্য। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ঠেলায় দেশজ সংস্কৃতি বিপন্ন হতে বসেছে। এ ধরনের উৎসবের ফলে শিল্প ও শিল্পী দুইই রক্ষা পাবে।”

উদ্যোগে সরকার
জলাভূমি সংরক্ষণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নিল চিন সরকার। ২০১১-য় প্রায় ২৩,০০০ হেক্টর জলাভূমি সংরক্ষণ করেছে বন দফতর। দেশের ‘স্টেট ফরেস্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এসএফএ জানিয়েছে, জলাভূমি সংরক্ষণে সরকার গত বছর ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়েছিল। ৪২ টি জলাভূমি সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। যার আওতায় রয়েছে ৩৩,০০০ হেক্টর সংরক্ষিত জলাভূমি। এছাড়াও আছে চারটি আন্তর্জাতিক মর্যাদাসম্পন্ন জলাভূমি ও ৬৮ টি জাতীয় জলাভূমি পার্ক। দেশের প্রায় অর্ধেক প্রাকৃতিক জলাভূমিকে সংরক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জলাভূমির পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার। ইতিমধ্যেই ‘রামসার ইন্টারন্যাশনাল ওয়েটল্যান্ড কনভেনশন’-এর তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের ৫৫০ টি প্রাকৃতিক জলাভূমি, ৩৭ টি আন্তর্জাতিক মানের জলাভূমি ও ১০০ টি জাতীয় জলাভূমি পার্ক।

দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যখন বনাঞ্চল কমছে, তখনই বন সৃজনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য বিহারে। ২০১১ সালের কেন্দ্রীয় বনাঞ্চল সমীক্ষার রিপোর্ট উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, বিহারে ৪১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে বনাঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে। এই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অরণ্য এলাকা ক্ষীয়মান। তবে বিহার-সহ ১৫টি রাজ্য কিন্তু বনাঞ্চল বাড়িয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের তুলনায় দেশ জুড়ে অরণ্য অঞ্চল ২০১১ সালে ৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার কমে গিয়েছে। কিন্তু বিপরীত চিত্র বিহারে। ২০০৯ সালে বিহারে বনাঞ্চল ছিল ৬ হাজার ৮০৪ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালে ওই এলাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪৫ বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ বৃদ্ধির পরিমাণ ৪১ বর্গ কিলোমিটার। রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে ১৫টি রাজ্যে ৫০০ বর্গ কিলোমিটার অরণ্য এলাকা বাড়লেও ১২টি রাজ্যে অরণ্য এলাকা ৮৬৭ বর্গ কিলোমিটার কমে গিয়েছে। বিহারের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশায় অরণ্য এলাকা বাড়লেও অন্য দিকের প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বনাঞ্চল কমে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের কৃষি মানচিত্র অনুযায়ী, আগামী দিনে ১৫ শতাংশ এলাকায় নতুন করে বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর জন্য আগামী পাঁচ বছরে ২১ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

দু’ দেশের মধ্যে পর্যটন শিল্পের প্রসারে উদ্যোগী হল ভারত এবং ব্রিটেন। পর্যটন শিল্পের উন্নতিকল্পে একটি ‘ফোরাম’ গঠিত হয়েছে, যার তত্বাবধানে দু’ দেশের পর্যটন মন্ত্রী সুবোধ কান্ত সহায় এবং জন পেনরোজ রয়েছেন। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য ও ঐতিহাসিক স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেগুলির উন্নয়ন করে নতুন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ৩০-৪০ টি ‘ট্যুরিজম পার্ক’-ও গড়ে তোলা হবে, যেখানে বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা থাকবে। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রেই নয়, ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। যেমন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আরও ৫০ লক্ষ বিদেশি পর্যটককে ভারতে আনতে সাহায্য করবে বলে শ্রী সহায় জানান। তিনি আরও জানান এই বাড়তি পর্যটক আড়াই কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করবে। ভারতের পর্যটন শিল্প প্রত্যেক বছর ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এই অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখতে এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এই বিষয়ে বহুল প্রচারের জন্য ভারতের ১৯টি রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পর্যটন শিল্প বাড়াতে হস্তশিল্প প্রদশর্নীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পর্যটকদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গিয়েছে।

পরিবেশের ভারসাম্যের কথা চিন্তা করে ভারতীয় রেল নিজস্ব সৌরশক্তি উৎপাদক ‘প্ল্যান্ট’ এবং রেলের নিজস্ব জমিতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করবে বলে জানালেন রেল প্রতিমন্ত্রী এইচ মুনিয়াপ্পা। তিনি আরও জানান ভারতে প্রতি দিন ১০ কোটি টন জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। আগামী দিনে গাড়ির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে, আর তার ফলে জ্বালানি ব্যবহারের পরিমানও ক্রমশ বাড়বে। ভারতে মোট ব্যবহৃত জ্বালানির ৮৩ শতাংশের বেশি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, বিকল্প শক্তির ব্যবহার করাই সে ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ উপায় বলে মন্ত্রী মনে করেন। ২০২০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেল যাতায়াত ব্যবস্থার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পরিবেশকে রক্ষা করতে নতুন উদ্যোগ নিল মালয়েশিয়া। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ অংশ অরণ্যে ঢাকা। এই অরণ্য সম্পদকে চোরা শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করতেই পরিবেশ আদালত তৈরির সিদ্ধান্ত নিল মালয়েশিয়া সরকার। মুখ্য বিচারপতি আরিফিন জাকারিয়া জানান, ‘‘অরণ্য সম্পদ ধ্বংস করা একটি অপরাধ। আর সচেতনতার অভাবে এই অপরাধ দিন দিন বেড়ে চলেছে। পরিবেশ সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে বিচারপতি ও বনাধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেবে এই আদালত।’’ উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বিশ্বের ৬০ টি দেশে এর আগে এই ধরনের আদালত ও পরিবেশ আইন তৈরি হয়। মালয়েশিয়ায় পরিবেশ আদালত তৈরির বিষয়টিকে ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’। মালয়েশিয়ার অরণ্য সম্পদকে রক্ষা করতে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ। পাশাপাশি, মানুষের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই আদালত, জানালেন মালয়েশিয়ার ‘ডব্লিউ ডব্লিউ এফ-এর মুখ্য আধিকারিক দায়োনিসিয়াস শর্মা।

আর নয় কংক্রিটের রিসর্ট । দূষণ এড়াতে নির্মাণ কাজে ব্যবহার করতে হবে পরিবেশ বান্ধব উপাদান। কটেজ চত্বরে বুনতে হবে রকমারি গাছ। গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এমন দাওয়াই ঠিক করেছেন লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। বন সংলগ্ন লাটাগুড়ি পাল্টাচ্ছে ঝড়ের গতিতে। সবুজের টানে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে সেখানে। ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রিসর্টের সংখ্যা। আদল পাল্টে ক্রমশ কংক্রিটের বর্মে শরীর ঢাকছে ছোট্ট জনপদ। পর্যটন শিল্প বিকাশের হাত ধরে এলাকার দ্রুত উন্নয়ন নিয়ে খুশির আবহেও দুশ্চিন্তা ছায়া মেলেছে। পরিবেশপ্রেমী বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে এ ভাবে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে পর্যটন শিল্প কত দিন টিকে থাকবে! ১৯৯৫ সাল থেকে লাটাগুড়ির ছবি পাল্টাতে শুরু করে। ২০০০ সালের পরে পরিবর্তন ঝড়ের গতি পায়। সবুজকে আড়াল করে বেড়ে চলে কংক্রিটের জঙ্গল। লাটাগুড়ি, উত্তর ঝাড়মাটিয়ালি এবং উত্তর মাটিয়ালি মৌজা নিয়ে তৈরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লাটাগুড়ি এবং উত্তর ঝাড়মাটিয়ালি মৌজায় অন্তত ৫০টি রিসর্ট গড়ে ওঠে। সবুজকে বাঁচাতে তাই পঞ্চায়েতের তরফে নতুন রিসর্ট তৈরির ক্ষেত্রে দুটি প্রধান নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে । প্রথমত, নির্মাণ কাজে পরিবেশ বান্ধব উপাদান ব্যবহার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রিসর্ট চত্বরে প্রচুর গাছ বুনতে হবে। লাটাগুড়িকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে ইতিমধ্যে দু’জন কর্মী নিয়োগ করেছে গ্রাম পঞ্চায়েত। রাত ন’টার পরে রিসর্টে গান বাজনাও নিষিদ্ধ হয়েছে।