খবর এক মুঠো
রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য জাঙ্গল বুক’। সেখানে মোগলি দিব্যি বুঝতে পারতো তার নেকড়ে মায়ের কথা। বাস্তবে কি আর এমন হয়? কিন্তু তেমনটাই হয়েছে। তবে সে মোগলি বা বাগিরা নয়, কোরিয়ান এক হাতি। বিস্তারিত...

লম্বায় ইঞ্চি দুয়েক। গায়ে এমন দাগ কাটা, মনে হতে পারে শাড়ি পরেছে। চলতি নাম, বউ মাছ। কিন্তু উত্তরবঙ্গের নদীর এই মাছ শেষ কবে জালে ধরা পড়েছে মনে করতে পারছেন না ডুয়ার্সের দোমহনির সত্তরোর্ধ্ব মৎস্যজীবী রামচন্দ্র দাস। বিস্তারিত...

সময়টা ১০২০ থেকে ১১০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি। একের পর এক খরা সামাল দিতে দিতে মায়ার বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। পরিবর্তিত স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় মায়া সভ্যতা। কী ভাবে? বিস্তারিত...

আমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে এই প্রাণীটি। নাম বাঘরোল। আজ তারা বাস্তুহারা, চরম উপেক্ষিত। অথচ এটিকেই রাজ্যপ্রাণীর তকমা দেওয়া হয়েছে। তাদের হাল হকিকত জানতে সমীক্ষা চালানো হয় ডব্লিউডব্লিউএফ-এর তত্ত্বাবধানে। কেমন আছে তারা? বিস্তারিত...

সামনে এল ‘জিঞ্জার’ ওরফে ‘গেবেলইন ম্যান’-এর মৃত্যু রহস্য। ১০০ বছর ধরে ব্রিটেনের সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত ‘জিঞ্জার’-এর মমি। ৫,৫০০ বছরের পুরনো ওই মমি এক মিশরীয় যুবকের। পিঠে ছুরি মেরে করে খুন করা হয় তাকে, বললেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা।

বছর দুই বন্ধ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অর্কিডের সংগ্রহশালা। সেখানে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছেন না পর্যটকেরা। পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হতে বসেছে ৯৪ রকম দুষ্প্রাপ্য অর্কিডের সংগ্রহ। ঘটনার কথা জানেন না পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনও। মন্ত্রী বলেন, “কেন অর্কিডের সংগ্রহশালাটি বন্ধ তা না জেনে মন্তব্য করব না।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর বিজয়কুমার সালিমাথ জানান, প্রাথমিক ভাবে সেন্টার ফের চালু করতে দু’লক্ষ টাকার প্রয়োজন। তা পেলে ডিসেম্বর নাগাদ সেন্টারটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া যাবে।

মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর লেখা দু’টি চিঠি নিলামে উঠল গত ১২ ডিসেম্বর। সদবি-র উদ্যোগে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। দু’টি চিঠির মধ্যে একটি চিঠি তিনি রবীন্দ্রনাথের দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন। ১৯২২ সালে সাবরমতী জেলে বন্দি থাকাকালীন গাঁধী এই চিঠিটি লিখেছিলেন। অপর চিঠিটি কোনও এক অজানা বন্ধুকে লিখেছিলেন গাঁধী, বন্ধুর মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে। এই চিঠি দু’টি ছাড়াও ইংরেজি সাহিত্য এবং শিশুদের কিছু বইও নিলাম হয়।

পরিয়ায়ীদের ভিড় বাড়ছে কোচবিহার রাজবাড়ির ঝিলে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের কর্তারা মনে করছেন, পাখির জন্য পর্যটকদের কাছে রাজবাড়ির আকর্ষণ আরও বাড়বে। এলাকার বিরাট জলাশয়ে এ বার প্রথম লেসার হুইসলিং টিল প্রজাতির পরিযায়ীর আনাগোনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকশো পাখি এসেছে। শীত বাড়লে আরও পাখি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফি বছর পরিযায়ীরা ভিড় করে সাগরদিঘিতে। দূষণের জন্য সেখানে গত বছর কম পাখি এসেছিল। কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “সাগরদিঘিতে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় পরিযায়ীরা ডেরা পাল্টে রাজবাড়ির জলাশয়ে ভিড় করছে বলে মনে হচ্ছে। পর্যটকদের কাছে এটা বাড়তি পাওনা।” ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কলকাতা সার্কেলের সুপার তপনজ্যোতি বৈদ্য জানান, “পরিযায়ীদের যেন সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে।”

নিতান্তই সাধারণ একটা পাথুরে কুয়ো। কিন্তু সেই কুয়োর গভীরেই প্রায় সাড়ে আট হাজার বছরের পুরনো ইতিহাসকে খোঁজার চেষ্টা করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সম্প্রতি উত্তর ইজরায়েলের জেজরিল উপত্যকার মাটি খুঁড়ে তার সন্ধান পেয়েছেন এক দল প্রত্নতত্ত্ববিদ। তার ভিতর থেকে মিলেছে এক তরুণী ও এক পুরুষের দেহাবশেষও। সব কিছু দেখে প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি, নব্যপ্রস্তর যুগ সম্পর্কে নয়া তথ্য যোগাতে পারে এই আপাত সাদামাটা কুয়োটি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সাড়ে আট হাজার বছর আগে কুয়োটির জল ব্যবহার করা হত কৃষি কাজে। তবে, স্থানীয়রা পানীয় জলের উৎস হিসেবেও কুয়োটিকে ব্যবহার করতেন। অন্তত কুয়োর গঠন-বৈশিষ্ট্য ও তার আশপাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নানা প্রমাণ দেখে এই ধারণা করছেন তাঁরা। প্রত্নতত্ত্ববিদদের বিস্ময়, এত বছর আগেও কী ভাবে প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে চাষবাসের পরিকল্পনা করেছিলেন ইজরায়েলের যুগপ্রাচীন পূর্বসুরীরা!

প্রশাসনের সদিচ্ছা ও নজরদারির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরের এক পুরাকীর্তি। শাঁখারি বাজারে মদনমোহন মন্দির লাগোয়া প্রাচীন জলাধার এখন আবর্জনায় ক্রমশ মজে যাচ্ছে। এ নিয়ে পর্যটকেরা হতাশা প্রকাশ করলেও প্রশাসন অবশ্য নির্বিকার। বিষ্ণুপুরের ইতিহাস গবেষক চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্তের মতে, “সারা ভারতে এমন বিশাল ও প্রাচীন জলাধার অল্প কয়েকটি রয়েছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের লালগড়ে ও শাঁখারিবাজারে তেমন দু’টি জলাধার রয়েছে। লালগড়েরটি সংস্কার ও সংরক্ষণ হলেও, শাঁখারি বাজারের জলাধারটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিচার করে ওই জলাধারটি অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার।” ১৬৯৪ সালে মল্লরাজা দুর্জন সিংহ শাঁখারি বাজারে তৈরি করেছিলেন অনন্য শিল্প শৈলীর নিদর্শন মদনমোহন মন্দির। যার গায়ে রয়েছে টেরাকোটার দশাবতার, কৃষ্ণলীলার পৌরাণিক কাহিনির দৃশ্য। রয়েছে পশু-পাখি, হংসলতার অপূর্ব প্যানেল। মন্দিরের বিগ্রহের স্নানের জন্য মন্দির লাগোয়া একটি জলাধার তৈরি করা হয়েছিল। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ মদনমোহন মন্দিরের সংরক্ষণের দায়িত্ব নিলেও প্রাচীন স্থাপত্যের দর্শনীয় ওই জলাধারটির দায়িত্ব নেয়নি। ফলে কালে কালে জলাধারটি সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে।

জন্মভিটে জর্ডনেই সন্ধান মিলল ফ্রান্সের ‘ফ্যাসিস্ট হটাও’ আন্দোলনের পথিকৃত ‘স্পাই প্রিন্সেস’-এর একটি আবক্ষ ব্রোঞ্জ মূর্তির। ‘স্পাই প্রিন্সেস’ ওরফে নুর ইনায়াত খান ওরফে ম্যাডেলাইন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও জন্ম ব্রিটেনে, আর লালন পালন ফ্রান্সে। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নাৎসি অধিকৃত ফ্রান্স ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন নুর খান ও তাঁর পরিবার। তার পর তাঁরা ফিরে আসেন ব্রিটেনে। সামরিক শিক্ষার হাতেখড়ি সেখানেই। সুফি আদর্শে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও বেছে নিলেন লড়াইয়ের পথ। নুর খান যোগ দিলেন ব্রিটেনের নারী বাহিনীতে। হঠাৎই মিত্র শক্তির হয়ে লড়াই করার সুযোগ এল তাঁর হাতে। ফ্যাসিবাদ দমনে ব্রিটেনের তরফে ফ্রান্সে পাঠানো হল নুর খানের নেতৃত্বাধীন এক গুপ্তচর বাহিনী। সঙ্গীরা ধরা পড়ে গেলেও টানা তিন মাস নিজের দায়িত্বে অটল ছিলেন নুর খান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হিটলার বাহিনীর নজরে পড়ে যান ‘স্পাই প্রিন্সেস’। জার্মান রোষের শিকার হন তিনি। অকথ্য অত্যাচারের পর গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, টানা ১০ মাস জার্মান সেনার নৃশংস অত্যাচার সহ্য করেও ফাঁস করেননি কোনও গোপন তথ্য। প্রকাশ্যে আসতে দেননি ব্রিটেনের কোনও গোপন পরিকল্পনা। এই সাহসিকতার দাম অবশ্য পেয়েছেন নুর। ফ্রান্সের তরফে জর্জ ক্রস পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁকে।

১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে শিকাগো মিডওয়ে বিমানবন্দরে নেমেছিলেন জন এফ কেনেডি। পরে ওই বিমানের ময়লা ফেলার পাত্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর একটি বক্তৃতার পাণ্ডুলিপির চারটি পাতা। এ বার লন্ডনে নিলামে উঠতে চলেছে ১৯৬০ সালের সেই বক্তৃতা। কেনেডি আমেরিকার ৩৫তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে লেখা হয়েছিল বক্তৃতাটি। তিনি তখন ম্যাসাচুসেটসের সেনেটর। কেনেডির বক্তৃতা-লিখিয়েদের কেউ এক জন লিখেছিলেন এটি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চলাকালীনই এই বক্তৃতা কেনেডি দিয়েছিলেন ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর উটায় সল্ট লেক সিটিতে। তার পরের বছরই প্রেসিডেন্ট হন মাত্র ৪৩ বছর বছরের কেনেডি। বিমানের সাফাইকর্মী আর্ন সোয়ানসন নামে এক মহিলা পরে জঞ্জালের ভেতর থেকে খুঁজে পান কেনেডির বক্তৃতার পাণ্ডুলিপি। সেই কাগজ তিনি বাড়ি নিয়ে গিয়ে রেখে দেন। অন্তত ৫০ বছর সেই পাণ্ডুলিপি তাঁর বাড়িতেই রাখা ছিল। বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে কমিউনিজম থেকে আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই বক্তৃতায়। লন্ডনের একটি নিলাম সংস্থার পক্ষে ম্যাক্স হাসলার অবশ্য বলছেন, “এটা বক্তৃতার প্রাথমিক খসড়া মাত্র। এতে যা লেখা আছে, তার সঙ্গে কেনেডি আদতে যা বলেছিলেন, তার মিল খুব কমই আছে। তাই হয়তো এটার ঠাঁই হয়েছিল জঞ্জালে।”