অঞ্জলিকে প্রেমপত্র লেখা ব্যাটিংয়ের থেকে বেশি কঠিন: সচিন

২৬ ফেব্রুয়ারি
চিকিৎসকদের হাতের লেখা অপাঠ্য প্রচলিত এই সরলীকরণ উড়িয়ে দিচ্ছেন সচিন তেন্ডুলকর!
বরং সম্পর্কের পূর্বরাগ পর্বে এক চিকিৎসকের মুক্তাক্ষরই মোহিত করে দিয়েছিল তাঁকে! আজও করে। “লোকে বলে ডাক্তারদের হাতের লেখা নাকি পড়া যায় না। আমার স্ত্রী তা হলে বড় ব্যতিক্রম। ডাক্তার হলেও ওর হাতের লেখা এত সুন্দর যে, লোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবে!” বলতে বলতে বেশ গদগদ সচিন। যাঁর সাফ স্বীকারোক্তি, ব্যটিং করার থেকে প্রেমিকা অঞ্জলিকে চিঠি লেখাটা ঢের বেশি কঠিন ছিল।
এত দিন নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে প্রচারের আলোর আড়ালে রেখে এসেছিলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি। এ দিন কিন্তু নিজেই আড়াল সরিয়ে বের করে আনলেন প্রেমিক সচিনকে। অঞ্জলি এবং তাঁর রোম্যান্সের শুরুর দিনগুলোয় ফিরে গিয়ে বললেন, “সেই সময় তো মোবাইল বা ইন্টারনেট ছিল না। যোগাযোগ রাখতে হয় ল্যান্ডলাইন নয় চিঠিই ছিল ভরসা। আমরা দু’জনে দু’জনকে চিঠিটাই বেশি লিখতাম।”
তবে ছোটবেলায় বাবা-মাকে চিঠি লেখা ছিল এক জিনিস। অঞ্জলিকে প্রেমপত্র লিখতে বসে টের পান, ব্যাপারটা সেরা ফর্মের গ্লেন ম্যাকগ্রাকে সামলানোর থেকেও অনেক বেশি মুশকিলের। ঔপন্যাসিক বাবার ছেলে হলেও সাহিত্য তাঁর শক্তি নয়। এমনকী বড় দাদা নীতিনের মতো কবিও নন। দাদার মতো কাব্যপ্রতিভা না থাকা নিয়ে বছর দুই আগে সচিন মজা করে বলেছিলেন, “আমার জন্য ওকে ক্রিকেট ছাড়তে হয়েছিল। ওর জন্য আমাকে একটা কিছু তো ছাড়তেই হত!” অঞ্জলিকে প্রেমপত্র লেখার সময় কিন্তু কাব্যের অভাবটাই আসল হয়ে ওঠে। সচিনের কথায়, “ব্যাট দিয়ে ক্রিকেট বল মারা খুব স্বাভাবিক ভাবে আসে। কিন্তু অঞ্জলিকে চিঠি লিখতে বসে...। কী লিখছি সেটা কমসে কম দু’-তিন বার তো চেক করে নিতেই হত।”
হাতের লেখার প্রচারে আসা সচিন জানান কী ভাবে বাবা-মা প্রথম তাঁকে হাতে ধরে লিখতে শিখিয়েছিলেন। আরও বলেন, নিজের মেয়ে সারা এবং ছেলে অর্জুনকে কখনও দেওয়ালে আঁকিবুকি কাটা থেকে আটকাননি। সচিনের কথায়, “কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতাম, এগুলো উঠতি শিল্পীদের চিহ্ন। ওরা যেমন যেমন বড় হয়েছে আমাদের বাড়ির দেওয়ালে গ্রাফিতির উচ্চতাও তেমন তেমনই বেড়েছে!”
ক্রিকেট মহলে অনিল কুম্বলের হাতের লেখাকেই সেরার মর্যাদা দিচ্ছেন সচিন। আর বলছেন, “ভাষায় দখল দেখেছি সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” কার হাতের লেখা সব থেকে খারাপ? সচিনের স্ট্রেট ড্রাইভ, “আরে মশাই আমরা সাধারণত সুন্দর হাতের লেখাটাই তো নজর করি, তাই না?” বাচ্চাদের হাতের লেখার অভ্যাসে উৎসাহও দিলেন নিজের মতো করে। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে লেখার তুলনা টেনে বললেন, “জীবনের সব ক্ষেত্রেই প্রাথমিক ব্যাপারগুলো ভীষণ জরুরি। এক বার শিখে গেলে সারা জীবন ভুলবে না।”
নিজে ডান হাতে ব্যাট করলেও লিখতে পারেন শুধু বাঁ-হাতে। সেটা একটা গোপন দুঃখ সচিনের। বলেছেন, “আমি দু’হাতেই খেতে পারি। কিন্তু ডান হাতে একদম লিখতে পারি না। আশা করি এমন একটা প্রযুক্তি আবিষ্কার হবে যার সাহায্যে আমরা ডান হাতটাও ব্যবহার করতে শিখব।”
প্রযুক্তির আবিষ্কর্তারা শুনছেন কি?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.