হস্টেলে ফি বৃদ্ধি, ভাঙচুর কলেজে
স্টেল ফি মাথাপিছু ২০০ টাকা করে বাড়ানোর প্রতিবাদে কলেজে ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রীরা। মঙ্গলবার রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে তথা গোপ কলেজের ঘটনা।
এই ঘটনায় হতবাক কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীরা যে উত্তেজিত হয়ে এ ভাবে অধ্যক্ষের ঘরের দরজা ভাঙতে পারেন, গাছের টব তুলে আছড়ে ভাঙতে পারেন, ভাবেননি কেউই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদিকা উপাসনা গুরুং বলেন, “মাঝপথে হস্টেল ফি না বাড়ানোর দাবি জানান সব ছাত্রী। ফি বাড়াতেই হলে যাতে ১০০ টাকার বেশি ফি না বাড়ে, সেকথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তবু ২০০ টাকা ফি বাড়ানো হয়েছে। কমানোর আবেদন জানিয়ে সুফল মেলেনি, উল্টে খারাপ ব্যবহার জুটেছে। তাই ছাত্রীরা এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।” কলেজের টিচার-ইন-চার্জ কৃষ্ণা মাইতির বক্তব্য, “গত শনিবার ফি বৃদ্ধির নোটিস দেওয়া হয়। তারপর কেউ প্রতিবাদ করেনি। উল্টে অনেকে বর্ধিত ফি দিতে শুরু করে। তবু কেন ভাঙচুর হল বুঝতে পারছি না।” পরিস্থিতি দেখতে শুক্রবার কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। কৃষ্ণাদেবীর কথায়, “পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত মেনে ফি বৃদ্ধি করা হয়ে। পরিচালন সমিতিই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।”
গোপ কলেজে ভাঙচুর চালাচ্ছে ছাত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দু’বছর হস্টেলের ফি ছাত্রীপিছু ৮০০ টাকা ছিল। বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির জেরে ওই টাকায় হস্টেল চালানো যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় সাড়ে তিনশো ছাত্রীর জন্য মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। তা দিতে হচ্ছে কলেজের অন্য তহবিল থেকে। হস্টেলে দু’বেলা ভাত ও এক বার টিফিন দেওয়া হয়। ভাতের সঙ্গে সকালে দু’রকমের তরকারি, মাছ ও রাতে তরকারির সঙ্গে ডিম থাকে। কৃষ্ণাদেবী বলেন, “কলেজের অন্য তহবিল থেকে নিয়মিত হস্টেলের খরচ দেওয়া যায় না। আমরা ছাত্রীদের জানাই, তারা নিজেরা হস্টেল চালিয়ে দেখুক। তাহলেই বুঝবে, আমরা বেশি নিচ্ছি কিনা। ছাত্রীরা রাজি হয়নি।” ছাত্রীদের অভিযোগ, হস্টেলের খাবার মুখে দেওয়া যায় না। সাধারণ সম্পাদিকা বলেন, “ভাতের সঙ্গে প্রায় শশার তরকারি ও ডাল দেওয়া হয়।” কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শ’তিনেক ছাত্রী অধ্যক্ষের ঘরের সামনে জড়ো হন। অধ্যক্ষকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। অধ্যক্ষ বলেন, “আমি ক’দিন কলেজে আসিনি। এ দিনই যোগ দিয়েছি। ব্যাপারটা শুনব বলে ৪ জন প্রতিনিধিকে ডাকি। কিন্তু ওদের দাবি ছিল, বাইরে বেরিয়ে কথা বলতে হবে।” ছাত্রীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হননি। এরপরই ভাঙচুর শুরু হয়। ধস্তাধস্তিতে অ্যাকাউন্টস বিভাগের কম্পিউটার ভেঙে যায়। ছাত্রীদের দাবি, ২০০ টাকা ফি বাড়ানো চলবে না। সকলেই এখন শুক্রবার পরিচালন সমিতির বৈঠকের দিকে তাকিয়ে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.