তৃতীয় বারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও মেটেলির ইনডং চা বাগান খোলার কোনও সম্ভাবনা তৈরি হল না। সোমবার শিলিগুড়ির যুগ্ম শ্রম কমিশনার দফতরে ইনডং চা বাগান নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এ দিনের বৈঠকে ইনডং চা বাগানের কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ছিলেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের কোনও ইউনিট না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা বাগান খোলার বৈঠকে উপস্থিত থাকায় ক্ষোভে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক বয়কট করেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের চা শ্রমিক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং এনইউপিডব্লু। শ্রমিক-মালিক বিরোধে ২৩ জানুয়ারি থেকে ইনডং চা বাগানটি বন্ধ হয়ে যায়। গত ৩০ জানুয়ারি এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি ইনডং নিয়ে জেলা পর্যায়ে বৈঠকে মালিক পক্ষ না আসায় জট কাটেনি। বাগানে শ্রমিক সংখ্যা ১২৩৯ জন। তবে তৃতীয় বার ডাকা এই বৈঠকে তাঁরা এসেছিলেন। বাগানের ম্যানেজার রজত দেব বলেন, “আমরা আলোচনায় বসতে চাই বলেই বৈঠকে এসেছিলাম। ফের বৈঠকের দিন স্থির হলে আমরা সেদিনও আসব।” প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্সের পক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা তুলসী ওঁরাও বলেন, “ইনডং বাগানে কখনওই তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের ইউনিট গঠন হয়নি। তা হলে ওঁরা কেন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আসবে? সেই প্রশ্নেই আমরা আজকের বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছি।”
তৃণমূল জলপাইগুড়ি জেলা শ্রমিক সংগঠন সভাপতি মিঠু মোহন্ত জানান, বাগান বন্ধের পর সেখানে সংগঠনের ইউনিট তৈরি হয়। তাঁর যুক্তি, “বাগান কর্তৃপক্ষকে ইউনিট গঠনের বিষয়ে বিশদ তথ্য জানাতে পারিনি। আমরা বাগানের জট কাটাতে উদ্যোগী হলে অন্য সংগঠনের দুর্বলতা বোঝা যাবে। সে জন্য আমাদের বিরোধিতা করা হয়েছে।” যুগ্ম শ্রম কমিশনার মহম্মদ রিজওয়ান জানান, তৃণমূল ইউনিট গঠনের বিষয়ে লিখিত জানালে তাদের ডাকা হয়। ফের বৈঠক ডাকা হবে। |